দার্জিলিং, 21 মে: উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে মহিলা গবেষকের অস্বাভাবিক মৃত্যু ৷ ঘটনায় নাম জুড়ল সমাজবিজ্ঞান বিভাগের প্রধান সিদ্ধার্থশঙ্কর লাহার বিরুদ্ধে । ইতিমধ্যে মাটিগাড়া থানায় তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছে মৃতার পরিবার ৷ ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত বিশ্ববিদ্যালয় চত্বর ৷
জানা গিয়েছে, মৃত গবেষকের নাম ববিতা দত্ত ৷ বাড়ি তুফানগঞ্জে ৷ উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের গবেষক ছিলেন তিনি । বৃহস্পতিবার ভাড়া বাড়ি থেকে তাঁর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করা হয় । এরপর মৃতার পরিবারের পক্ষ থেকে অধ্যাপক সিদ্ধার্থশঙ্কর লাহার বিরুদ্ধে মাটিগাড়া থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয় । তাঁর বিরুদ্ধে আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগ তুলেছে মৃতার পরিবার। তাঁদের অভিযোগ, "বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে একাধিক বার গবেষকের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করেন বিভাগীয় প্রধান । সম্প্রতি গবেষককে তিনি জানান তাঁর পক্ষে বিয়ে করা সম্ভব নয় । এরপরই রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে ববিতার ।"
বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই সিদ্ধার্থশঙ্কর লাহাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সমস্ত দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দিয়েছে কর্তৃপক্ষ । যদিও সোমবার ওই অধ্যাপকের অপসারণ ও অবিলম্বে গ্রেফতারের দাবি করেছে অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদ (এবিভিপি) ৷ এমনকি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ দেখান সংগঠনের সদস্যরা ৷ এবিভিপির রাজ্য সম্পাদক দীপ্ত দে বলেন, "ববিতা দত্ত আত্মহত্যা করেননি । তাঁকে খুন করে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে । ববিতার ঘর থেকে একটি চিঠি উদ্ধার হয় । যা সুইসাইড নোট বলেই মনে করা হচ্ছে । সেখানে অধ্যাপকের নাম রয়েছে । চিঠিতে ববিতাকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি, পরীক্ষায় ভালো নম্বর পাইয়ে দেওয়া এবং ভয় দেখিয়ে তাঁর সঙ্গে একাধিক বার শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হওয়ার বিষয়ে অভিযোগ করা হয়েছে অধ্যাপকের বিরুদ্ধে ।"
উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার দেবাশিস দত্ত বলেন, "অত্যন্ত দুঃখজনক ঘটনা ।গবেষক-অধ্যাপকের সম্পর্ক সম্মানের ৷ শ্রদ্ধার এবং স্নেহের । সেখানে এই রকমের ঘটনা একেবারেই কাম্য নয় । এই ঘটনায় সিদ্ধার্থশঙ্কর লাহাকে সমস্ত পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়ার কথা জানানো হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে । বিষয়টি নিয়ে চিঠি দেওয়া হয়েছে । পুলিশকে তদন্তে সহযোগিতা করা হচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে।"
আরও পড়ুন: