কলকাতা, 2 জুন: মাঝে আর একটা দিন ৷ মঙ্গলে লোকসভা নির্বাচনের ভোট গণনা দেশজুড়ে ৷ এদিকে শেষ দফার ভোট না-মিটতেই এক্সিট পোলের পূর্বাভাস, 2024 লোকসভায় রাজ্যে তৃণমূল কংগ্রেসের ভরাডুবি হবে ৷ যদিও তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, তিনি এই এক্সিট পোল মানছেন না ৷ এই অবস্থায় কর্মীদের চাঙ্গা করতে রবিবার বিকেলে ভার্চুয়াল বৈঠক করেন দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ তিনি দলের নেতা-কর্মীদের গণনা না-হওয়া পর্যন্ত মনোবল অটুট রাখার বার্তা দিলেন ৷
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, গত দু'মাস বাংলার মানুষের মন যদি তিনি বুঝে থাকেন তাহলে এক্সিট পোল যা ভবিষ্যদ্বাণী করেছে, তা হতে পারে না ৷ তাঁর পাশাপাশি দলের একেবারে নিচুতলার কর্মীদের মনোবল অক্ষত রাখতে তড়িঘড়ি বৈঠক করেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
এদিন বিকেল পাঁচটায় ভার্চুয়াল মাধ্যমে তিনি দলীয় নেতৃত্ব, জেলা সভাপতি, নির্বাচনী এজেন্টের সঙ্গে বৈঠক করেন ৷ সেখানেই দলীয় কর্মীদের আতঙ্কিত না-হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন তৃণমূলের সেকেন্ড-ইন কম্যান্ড ৷ পাশাপাশি গণনার দিনের জন্য একগুচ্ছ নির্দেশও দিয়েছেন ৷ তৃণমূল সূত্রের খবর, অভিষেক দলের কর্মীদের বাহ্যিক প্রচারে কান না-দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন । তাঁর স্পষ্ট নির্দেশ, গণনা সম্পূর্ণ না-হওয়া পর্যন্ত কোনওভাবে গণনা কেন্দ্র থেকে বের হওয়া যাবে না ৷ সবাইকে গণনার একদিন আগে গণনা কেন্দ্রে পৌঁছতে হবে ৷ গণনা কেন্দ্রের বাইরে যে ক্যাম্পগুলি হয়, সেখানে সবসময় 4-5 পাঁচ হাজার কর্মীর উপস্থিতি থাকবে ৷ 17সি এবং ভিভি প্যাট মেলাতে হবে ৷
অভিষেক কর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, "এমনটা হতেই পারে কোনও কেন্দ্রে দেখা যাচ্ছে বিরোধীরা এগিয়ে রয়েছে ৷ তার জন্য মনোবল হারিয়ে গণনা কেন্দ্র থেকে বেরিয়ে আসা যাবে না ৷ যাঁরা গণনা কেন্দ্রে থাকবেন, গণনা শেষ না-হওয়া পর্যন্ত কোনওভাবে বাইরে আসবেন না ৷" এছাড়া গণনা কেন্দ্রে যাঁরা থাকবেন এবং গণনার অন্য ক্ষেত্রে নির্বাচনী এজেন্ট হিসেবে কাজ করেছেন এমন কর্মীদের তৃণমূল পুরস্কৃত করার কথা ভাবছে, আশ্বস্ত করেছেন অভিষেক ৷ তাঁর কড়া নির্দেশ, বিভিন্ন লোকসভা কেন্দ্রের প্রার্থী যেন প্রতি মুহূর্তে গণনা কেন্দ্রে থাকা কর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখেন ৷
অভিষেকের আশঙ্কা, গণনার ক্ষেত্রে নানা চক্রান্ত হতে পারে ৷ সে ক্ষেত্রে দলীয় কর্মীরা যেন কোনওভাবে কোনও চক্রান্তে বা প্ররোচনায় পা না দেন ৷ যেখানে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হচ্ছে সেখানে প্রত্যেক কর্মীকে গণনার ক্ষেত্রে বাড়তি নজর দিতে হবে ৷ এদিন গণনার জন্য বিভিন্ন নেতাদের বাড়তি দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে ৷ এক্ষেত্রে ঘাটালে দায়িত্ব পেয়েছেন অজিত মাইতি এবং মানস ভুঁইয়া ৷ মেদিনীপুরে দায়িত্ব পেয়েছেন জয়প্রকাশ মজুমদার ৷ আরামবাগে দায়িত্ব পেয়েছেন শান্তনু সেন, তমলুকে থাকবেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ এভাবে রাজ্যের 42টি কেন্দ্রে দলের নেতৃত্বের একাংশ উপস্থিত থাকবেন ৷