কলকাতা, 1 অগস্ট: বাংলা ভাগের প্রচেষ্টা নিয়ে ইতিমধ্যেই বিধানসভায় প্রস্তাব আনছে তৃণমূল। এবার 'বিজেপির বাংলা ভাগের' চক্রান্তের বিরোধিতা করে রাজপথেও নামতে চলেছে তারা। নেতৃত্ব দেবেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ৷
অভিষেকের নির্দেশে রাজ্যের উত্তর থেকে দক্ষিণ-বিজেপির চক্রান্তের বিরুদ্ধে পথে নামতে বলা হয়েছে শাসকদলের নেতাদের। বিশেষ করে, উত্তরবঙ্গে ছোট ছোট সভা করে বিজেপির এই চক্রান্ত নিয়ে সরব হতে বলা হয়েছে দলকে। এছাড়াও, 100 দিনের কাজের টাকা আটকে রেখে রাজ্যকে বঞ্চিত করার বিষয়টিও তুলে ধরে আন্দোলনের নির্দেশও দিয়েছেন তিনি। এ ক্ষেত্রে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় যে শ্বেতপত্রের দাবি জানিয়েছেন, তা দিতেও যে কেন্দ্রীয় সরকার ব্যর্থ, তা-ও তুলে ধরতে বলা হয়েছে দলীয় নেতৃত্বকে।
সাম্প্রতিক সময়ে একের পর বিজেপি নেতাকে বাংলা ভাগের পক্ষে সওয়াল করতে দেখা গিয়েছে। রাজ্যের শাসক দল যে কোনওভাবে এই অবস্থানে সমর্থন করে না, সেটা তুলে ধরতেই এই নির্দেশ বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল ৷
প্রসঙ্গত, মনে করা হচ্ছে বাংলা ভাগ নিয়ে বিজেপির উপর চাপ বাড়াতে চাইছে রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল। আর সেই লক্ষ্যে আগামী সোমবার রাজ্য বিধানসভায় এই নিয়ে প্রস্তাব এনে সরকারের তরফ থেকে প্রস্তাবের বিরোধিতা করা হবে। পাশাপাশি, রাজনৈতিক দল হিসেবে রাজপথে নেমেও বিরোধিতা করা হবে ৷ এভাবে তৃণমূল 'চাপ তৈরি' করতে চাইছে বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল ।
প্রসঙ্গত, সাম্প্রতিক সময়ে বিজেপি নেতাদের মুখে বারবার বাংলা ভাগের পক্ষে যেভাবে উস্কানিমূলক মন্তব্য শোনা গিয়েছে, মূলত তাকেই রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলা করতে চাইছে তৃণমূল ৷ মানুষের কাছে যাতে ভুল বার্তা না যায়, সে জন্য আরও বেশি করে এই রাজনৈতিক কর্মসূচির প্রয়োজন বলে মনে করা হচ্ছে ।
রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যের কথায়, "বিজেপি এ রাজ্যে বারবার নির্বাচনে পরাজিত হয়েছে। বাংলার মানুষ তাদের সরাসরি প্রত্যাখ্যান করেছে ৷ তাই এই মুহূর্তে বাংলা ভাগের চক্রান্ত করে রাজ্যকে দুর্বল করার চেষ্টা করা হচ্ছে।" একই সঙ্গে তাঁর আরও বক্তব্য, "কেন্দ্রীয় সরকার 2021 সালে রাজ্যে পরাজিত হওয়ার পর থেকে একের পর এক কেন্দ্রীয় প্রকল্পে অর্থ বন্ধ করে দিচ্ছে। বাংলাকে তারা ভাতে মারার চেষ্টা করছে। এই অবস্থায় আমরা এবারের বাজেটেও দেখেছি বাংলাকে কীভাবে বঞ্চিত করা হয়েছে। তার পরেও লাগাতার মিথ্যাচার করা হচ্ছে । আমাদের দাবি, বাংলাকে কত টাকা দেওয়া হয়েছে, সে বিষয়ে শ্বেতপত্র প্রকাশ করা হোক। কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকার এ বিষয়ে শ্বেতপত্র প্রকাশ করছে না ৷ তাই আমরা সরাসরি মানুষের কাছে যাচ্ছি ।"