কলকাতা, 5 মে: স্টিং অপারেশনের ভাইরাল ভিডিয়ো নিয়ে উত্তপ্ত ভোটবাজার ৷ শনিবার সকালে সন্দেশখালির স্টিং অপারেশনের ভিডিয়ো ভাইরাল হয় ৷ এরপর বিকেলেই এই ভিডিয়ো নিয়ে দেড় ঘণ্টার সাংবাদিক বৈঠক করেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ ওই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি ইটিভি ভারত ৷ তবে তৃণমূল এই ভিডিয়োকে প্রামাণ্য ধরেছে ৷ এই ভিডিয়োয় শোনা সন্দেশখালি 2 নম্বর ব্লকের মণ্ডল সভাপতি গঙ্গাধর কয়ালের গলায় শোনা যাচ্ছে, সন্দেশখালিতে নারী নির্যাতন, ধর্ষণের মতো কোনও ঘটনাই ঘটেনি ৷ এই সব সুপরিকল্পিত এবং এর নেপথ্যে রয়েছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ৷
এদিন একদিকে তৃণমূল ভবনে সাংবাদিক বৈঠকে শুভেন্দুকে কড়া আক্রমণ করেন অভিষেক ৷ তিনি বারবার অভিযোগ করেন, বাংলার মান-সম্মান ভূলুণ্ঠিত করতে এমন কাজ করেছেন বিরোধী দলনেতা ৷ অন্যদিকে এই সন্দেশখালির ভাইরাল ভিডিয়োর নেপথ্যে তৃণমূলের চক্রান্ত আছে বলে তোপ দাগেন নন্দীগ্রামের বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু ৷
এই ভাইরাল ভিডিয়ো নিয়ে শুভেন্দু অধিকারী প্রতিক্রিয়ায় বলেন, "এটা নিয়ে আমরা অনেক দূরে যাব ৷ পুরো ঘটনার পিছনে চক্রান্ত ৷ আইপ্যাক আর ভাইপোর কাঁচা স্ক্রিপ্ট ৷ সবটাই ম্যানুফ্যাকচার্ড বাই ভাইপো ৷ গঙ্গাধর ইতিমধ্যে সিবিআইকে মেল করেছে ৷ আমি ভাইপোর বিরুদ্ধে সিবিআইয়ের কাছে যাচ্ছি ।"
অন্যদিকে অভিষেক চ্যালেঞ্জের সুরে বলেন, "ক্ষমতা থাকলে আমাকে সিবিআই তুলে নিয়ে যাক ৷ সিবিআই দেখিয়ে রাজনীতি অন্য জায়গায় করতে বলবেন ৷ বিজেপি বাংলার মানুষকে সেকেন্ড ক্লাস সিটিজন ভাবে ৷ সিবিআইয়ের তল্পিবাহকতা করার জন্য বাংলার মানুষ বেঁচে আছে ৷ এই বাংলার লজ্জা যে এখানে শুভেন্দু অধিকারীর মতো গদ্দারাও আছে ৷"
তিনি আরও বলেন, "যাঁদের তিনজনকে দেখা গিয়েছে গঙ্গাধর কয়াল, জবা রানি সিং, শান্তি দলুই- সবাই মিথ্যা বলছে ? তাহলে গঙ্গাধর কয়াল সকালে স্বীকার করল কেন স্বরটা আমার ৷ আগে তাঁকে কনভিন্স করুন ৷ বিরোধী দলনেতা পাঁচ বছর ধরে আমাকে সিবিআই ইডি'র ভয় দেখাচ্ছেন ৷ এজেন্সি আমাকে দিল্লিতে ডেকে পাঠিয়েছে ৷ সিবিআই কি সত্যি কথা বলার জন্য আমাকে গ্রেফতার করবে ? শুভেন্দু অধিকারীকে কাগজে মুড়িয়ে টিভির পর্দায় টাকা নিতে দেখা গিয়েছে ৷ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে দেখা যায়নি ৷ গদ্দারটাকে আমার নাম করে বলবেন ৷ আমি বেইমান ঘুষখোর গদ্দার বলছি ৷ পারলে আমার নামে মানহানির মামলা করতে বলুন ৷"
আরও পড়ুন: