শিলিগুড়ি, 9 মার্চ: শিলিগুড়িতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সভায় তাঁর উপস্থিতি নজর কাড়ার মতো ৷ তিনি হলেন সদ্য বিজেপিতে যোগ দেওয়া অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় । প্রাক্তন বিচারপতি এদিন মোদির সভায় প্রথম বক্তা । মঞ্চে উঠেই অভিজিৎ গলা চড়িয়ে বলেন, "নো ভোট টু তৃণমূল" । ঠিক যেন বিজেপি বিরোধী দলগুলির 'নো ভোট টু বিজেপি'র পালটা স্লোগান । সভার পারদ আরও বাড়িয়ে অভিজিতের বড়সড় দাবি, তৃণমূল কংগ্রেস ভিতর থেকে ভাঙছে ৷ 2026 বিধানসভা ভোটে প্রার্থী খুঁজে পাবে না মমতার দল।
আদ্যপ্রান্ত তৃণমূলকে একটি 'দুর্বৃত্তের দল' বলে গেলেন অভিজিৎ। তাঁর দাবি, একটা দলে শিক্ষা ও খাদ্য মন্ত্রী দুর্নীতির কারণে জেলে। এই অবস্থায় রাজ্যবাসীকে শপথ নিতে হবে, "নো ভোট টু তৃণমূল"। অবশ্যই নিজের বক্তব্যে চাকরিপ্রার্থীদের প্রসঙ্গ টানতে ভোলেননি কলকাতা হাইকোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি। তাঁর কটাক্ষ, "যোগ্য চাকরিপ্রার্থীরা অবহেলিত মমতার রাজ্যে"। একের পর এক প্রসঙ্গ তুলে তৃণমূলকে একহাত নিয়েই বিজেপি-র ব্যাট হাতে ময়দানে ছক্কা হাঁকালেন অভিজিৎ।
রাজনৈতিক খাতে যে বিষয়টি সবচেয়ে তাৎপর্যপূর্ণ, বিচারপতি থাকাকালীন তাঁকে যে বিষয়গুলি নিয়ে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছিল তৃণমূল, আজ মোদির মঞ্চে প্রথম রাজনৈতিক ভাষণে সেই বিষয়গুলিকে একের পর এক সামনে এনেই তৃণমূলকে কোণঠাসা করেছেন অভিজিৎ।
তবে এদিনে তাঁর বক্তব্যে ছিল না প্রাক্তন পেশার কোনওরকম রেশ । দুঁদে রাজনৈতিক নেতাদের মতোই অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, "42-এ 42 পেতে হবে আমাদের, এখানেই শপথ নিন।" তৃণমূলের ভাঙন নিয়ে অভিজিৎ জানান, তৃণমূলের ভিতরে যে ভাঙন চলছে, তা সম্পূর্ণভাবে ভাঙতে হবে । চব্বিশের লোকসভা ভোটেই তৃণমূলের শেষের শুরু হবে । সেই পথ রাজ্যবাসীকেই এতটা প্রশস্ত করতে হবে যে, 2026 বিধানসভায় তৃণমূল প্রার্থী দেওয়ার মতো অবস্থায় না-থাকে।
এই মুহূর্তে ভোটের বাংলায় অন্যতম প্রাসঙ্গিক রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব সদ্যপ্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। তাঁর 'বিতর্কিত' রায়দান আন্দোলনরত চাকরিপ্রার্থীদের কাছে ছিল আশার আলো। 'দুষ্টের দমন শিষ্টের পালন', 'মসিহা', এই ধরণের অজস্র নামেই তাঁকে ডাকা শুরু হয় । সেই অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় শুধু বিজেপিতে যোগই দিলেন না, মোদির সভায় আজ প্রথম বক্তা তিনিই। আগামীতে গেরুয়া রাজনীতিতে কতটা ক্রমবর্ধিত হন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়, ছবিটা স্পষ্ট হবে চব্বিশের ভোটেই।
আরও পড়ুন: