ডেবরা, 26 অক্টোবর: ঘূর্ণিঝড় দানার প্রভাবে লাগাতার বৃষ্টি, এলাকা জলমগ্ন ৷ এই অবস্থায় মহিলাকে টিউবে চাপিয়ে হাসপাতালে নিয়ে গেলেন গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রতিনিধি ও আশা কর্মীরা ৷ খোঁজ নিতে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হলেন বিধায়ক ও দুই দফতরের কর্মাধ্যক্ষ ৷ ডেবরার বাড়াগড় এলাকার ঘটনা ৷ যদিও বিধায়কের বক্তব্য, ওই বধূ বাপের বাড়ি যাচ্ছিলেন ৷ পাশাপাশি তিনি স্বীকার করেন নেন, রাস্তাঘাট জলমগ্ন ৷
ঘটনাচক্রে জানা গিয়েছে, ঘূর্ণিঝড় দানার মধ্যে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার ডেবরা ব্লকের ডেবরা 5/1 গ্রাম পঞ্চায়েতের বাড়াগড় এলাকায় 9 দিন আগে সন্তানের জন্ম দেন লক্ষ্মী লায়েক ৷ তারপর ঘূর্ণিঝড়ের কারণে প্রবল বৃষ্টিতে তাঁর বাপের বাড়ি যাওয়া বাতিল করতে হয় ৷
তাই জল সামান্য কমতে শনিবার সকালে সদ্য মা হওয়া বধূকে টিউবে করে হাসপাতালে নিয়ে যায় গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান ও আশাকর্মীরা ৷ এই ঘটনার ভিডিয়ো ছড়িয়ে পড়ে সোশাল মিডিয়ায় ৷ খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন ডেবরা বিধানসভার বিধায়ক ডঃ হুমায়ুন কবীর ৷ পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা পরিষদের নারী শিশু কল্যাণ দফতরের কর্মাধ্যক্ষ শান্তি টুডু, ডেবরা পঞ্চায়েত সমিতির পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ সীতেশ ধাড়া-সহ অনান্যরা ৷ তিনি নিজে জমা জলে নামেন এবং লক্ষ্মী লায়েকের স্বামীর সঙ্গেও কথা বলেন ৷
এ বিষয়ে লক্ষ্মী লায়েকের স্বামী প্রসেনজিৎ লায়েক বলেন, "ক'দিন আগেই আমাদের সন্তান হয়েছে ৷ স্ত্রীর শরীরে অস্ত্রোপচার হয়েছে ৷ তাই তাঁকে দেখানোর জন্য আশা কর্মীরা হাসপাতালে নিয়ে যেতে চান ৷ এদিকে রাস্তায় জল জমে থাকায় আমার স্ত্রীকে টিউবের ভেলা করে নিয়ে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে ৷ হাসপাতাল চেয়েছিল তাঁকে ভর্তি রাখতে কিন্তু আমরাই তাঁকে বন্ডে ছুটি করিয়ে বাপের বাড়ি দিয়ে এসেছি ।"
বিধায়ক হুমায়ুন কবীর বলেন, "অন্তঃসত্ত্বা বলে যে ভিডিয়ো ভাইরাল হচ্ছে, তা সত্য নয় ৷ 9 দিন তাঁর সিজারের মাধ্যমে সন্তানের জন্ম হয়েছে ৷ এখানে নিচু জায়গায় জল জমে ছিল ৷ মেয়েটি বলছিল যে সে বাপের বাড়ি যাবে ৷ বৃষ্টি হচ্ছিল বলে আটকে গিয়েছিল ৷ একটা ভ্যান রিকশা জোগাড় করে নিয়ে গেলেই হত ৷ তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে গিয়েছে ৷ হাসপাতালে তিনি নিজে বন্ডে স্বাক্ষর করে তিনি এখন বাপের বাড়ি চলে গিয়েছেন ৷"