দুর্গাপুর, 20 এপ্রিল: দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানায় আবারও বিষাক্ত গ্যাস লিক করে দুর্ঘটনা। শনিবার ডিএসপি'র দু'নম্বর ব্লাস্ট ফার্নেসের কার্বন মনোক্সাইড গ্যাস যা সাধারণত ওপরে উঠে আগুন হয়ে পুড়ে যায় ৷ আচমকা সেই গ্যাস হটাৎ নীচে বাতাসের সঙ্গে মিশে যাওয়ায় এই বিপত্তি বলে জানা গিয়েছে। শ্রমিকরা হঠাৎ অসুস্থবোধ করার কারণে তাঁদের দ্রুত নিয়ে আসা হয় দুর্গাপুর ইস্পাত হাসপাতালে। ঘটনায় পাঁচ জন শ্রমিক অসুস্থ হয়ে পড়েন ৷
অসুস্থ হওয়া শ্রমিকদের মধ্যে তিন জনকে দুর্গাপুর ইস্পাত হাসপাতালের আইসিইউ-তে ভরতি করা হয়েছে বলে জানান দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানার আইএনটিটি ইউসি নেতা স্নেহাশিস ঘোষ। সুনীল হাজরা এবং পরিমল মণ্ডল নামের দুই স্থায়ী শ্রমিক ছাড়াও নুর আলম জামাদার, বিকাশ কাবাড়ি এবং টোটন খাওয়াল নামের তিন জন ঠিকাকর্মী কার্বন মনোক্সাইডের জেরে অসুস্থ হয়ে দুর্গাপুর ইস্পাত হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। দুর্গাপুর ইস্পাত হাসপাতালে চিকিৎসাধীন শ্রমিক সুনীল হাজরা বলেন, "হঠাৎ করে মনিটরে আমরা দেখি গ্যাসের মাত্রা বেশি। আমরা একটু অসুস্থবোধ করছিলাম। আমাদেরকে জল খেতে বলা হয়। কিন্তু তারপরে হঠাৎ গ্যাসের মাত্রা এত বেশি হয়ে যায় আমরা সকলেই ঝিমিয়ে পড়ি। এরপরেই তড়িঘড়ি আমাদেরকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়।"
এই ঘটনার জেরে ফের রীতিমতো আতঙ্ক দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানার শ্রমিক মহলে। দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানা শ্রমিক নিরাপত্তা বারবার প্রশ্নচিহ্নের মুখে দাঁড়াচ্ছে। দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানার আধুনিকীকরণের প্রয়োজনীয়তা প্রতিদিন দুর্ঘটনার মধ্য দিয়ে প্রমাণিত হয়ে উঠছে বলেও ক্ষোভপ্রকাশ করেন শ্রমিক শ্রেণির একাংশ।
আরও পড়ুন: