ETV Bharat / state

উৎসবের মরশুমে দেশজুড়ে জাল নোট ছড়ানোর ছক, মালদায় গ্রেফতার 2 বিহারী যুবক - Fake Currency - FAKE CURRENCY

Fake Currency: উৎসবের মরশুমে দেশজুড়ে জাল নোট ছড়ানোর ছক কষেছে কারবারীরা ৷ এমনই তথ্য হাতে এল পুলিশের ৷ মালদায় 13 লাখ টাকার জাল নোট-সহ 2 জন বিহারী যুবককে গ্রেফতার করেছে রাজ্য পুলিশের স্পেশাল টাস্ক ফোর্স ৷

ETV BHARAT
মালদায় গ্রেফতার 2 বিহারী যুবক (নিজস্ব চিত্র)
author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Oct 3, 2024, 5:42 PM IST

মালদা, 3 অক্টোবর: উৎসব মরশুমে সক্রিয় হচ্ছে জাল নোটের কারবারীরা ৷ গোটা দেশের বাজারে জাল নোট ছড়িয়ে দেওয়ার নকশা তৈরি করেছে তারা ৷ বিহারের দুই কারবারীকে জেরা করে এমনটাই তথ্য পেয়েছে পুলিশ ৷

এই পরিস্থিতিতে মালদা জেলায় জাল নোট কারবারের বিরুদ্ধে কার্যত রেড অ্যালার্ট জারি করেছে পুলিশ প্রশাসন ৷ সাদা পোশাকের পুলিশে ছেয়ে রয়েছে গোটা জেলা ৷ সক্রিয় রয়েছে পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগও ৷ তারই ফলশ্রুতিতে বিহারের দুই কারবারীকে 13 লাখেরও বেশি টাকার জাল নোট-সহ গ্রেফতার করেছে রাজ্য পুলিশের স্পেশাল টাস্ক ফোর্স ৷

গোপন সূত্রে খবর পেয়ে মঙ্গলবার গভীর রাতে কালিয়াচক থানার সুলতানগঞ্জ এলাকায় একটি বহুজাতিক সংস্থার বিড়ি ফ্যাক্টরির কাছ থেকে দুই যুবককে আটক করে এসটিএফ ৷ তল্লাশি চালিয়ে তাদের হেফাজত থেকে বাজেয়াপ্ত করা হয় 13 লাখ 4 হাজার 500 টাকার জাল নোট ৷ নোটগুলি সবই 500 টাকা অর্থমূল্যের ৷ এর পরেই তাদের গ্রেফতার করা হয় ৷ এসটিএফের তরফে গতকাল ধৃতদের কালিয়াচক থানার পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয় ৷ গতকাল তাদের জেলা আদালতে পেশ করা হলে মুখ্য দায়রা বিচারকের অনুমতিতে দুই যুবককে আটদিনের হেফাজতে নিয়েছে কালিয়াচক থানার পুলিশ ৷

ধৃত দুই কারবারীর নাম সঞ্জয় প্রজাপত ও মঞ্জয় কুমার ৷ 32 বছর বয়সি সঞ্জয় এর আগেও জাল নোট পাচারের কাজে জড়িত ছিল ৷ তবে 19 বছর বয়সি মঞ্জয় এবারই প্রথম এই কারবারে নেমেছে ৷ দু’জনেরই বাড়ি বিহারের গয়া জেলার কোঠি থানা এলাকার শিবা বসতা গ্রামে ৷ প্রাথমিক জেরাতেই তাদের কাছ থেকে চমকে ওঠার মতো তথ্য পাওয়া গিয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর ৷

কালিয়াচক থানার এক আধিকারিক জানিয়েছেন, “ধৃত দুই কারবারীর বয়ান অনুযায়ী এই কারবারের পাণ্ডারা গোটা দেশে জাল নোট ছড়িয়ে দেওয়ার নীল নকশা তৈরি করেছে ৷ তার জন্য তারা উৎসব মরশুমকেই বেছে নিয়েছে ৷ শুধু পশ্চিমবঙ্গে দুর্গাপুজো নয়, এই সময় গোটা উত্তর ভারত জুড়ে নবরাত্রি পালিত হচ্ছে ৷ ফলে দেশের বিস্তীর্ণ এলাকায় এখন বাজার তুঙ্গে রয়েছে ৷ সেই বাজারে জাল নোট ছড়িয়ে দেওয়ার চক্রান্ত করেছে কারবারীরা ৷ ধৃতরা কোথা থেকে এত জাল নোট পেয়েছিল, কোথায় এসব সরবরাহ করত, কোথা থেকে এই কারবার পরিচালনা করা হচ্ছে, জেরা করে সবকিছুই জানার চেষ্টা চলছে ৷”

পুলিশ সুপার প্রদীপকুমার যাদব বলছেন, “আমরা জাল নোটের কারবার প্রায় বন্ধ করে দিতে পেরেছি ৷ উৎসব মরশুমের সুযোগ নিয়ে জাল নোটের কারবারীরা সক্রিয় হওয়ার চেষ্টা করছে ৷ 13 লাখেরও বেশি জাল নোট-সহ বিহারের দুই পাচারকারী কালিয়াচক এলাকায় পুলিশের জালে ধরা পড়েছে ৷ ধৃতদের জেরা করা হচ্ছে ৷ উৎসব মরশুমে জেলা জুড়ে সাদা পোশাকের পুলিশ নিয়োগ করা হয়েছে ৷ সবমিলিয়ে আমরা সতর্ক রয়েছি ৷”

মালদা, 3 অক্টোবর: উৎসব মরশুমে সক্রিয় হচ্ছে জাল নোটের কারবারীরা ৷ গোটা দেশের বাজারে জাল নোট ছড়িয়ে দেওয়ার নকশা তৈরি করেছে তারা ৷ বিহারের দুই কারবারীকে জেরা করে এমনটাই তথ্য পেয়েছে পুলিশ ৷

এই পরিস্থিতিতে মালদা জেলায় জাল নোট কারবারের বিরুদ্ধে কার্যত রেড অ্যালার্ট জারি করেছে পুলিশ প্রশাসন ৷ সাদা পোশাকের পুলিশে ছেয়ে রয়েছে গোটা জেলা ৷ সক্রিয় রয়েছে পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগও ৷ তারই ফলশ্রুতিতে বিহারের দুই কারবারীকে 13 লাখেরও বেশি টাকার জাল নোট-সহ গ্রেফতার করেছে রাজ্য পুলিশের স্পেশাল টাস্ক ফোর্স ৷

গোপন সূত্রে খবর পেয়ে মঙ্গলবার গভীর রাতে কালিয়াচক থানার সুলতানগঞ্জ এলাকায় একটি বহুজাতিক সংস্থার বিড়ি ফ্যাক্টরির কাছ থেকে দুই যুবককে আটক করে এসটিএফ ৷ তল্লাশি চালিয়ে তাদের হেফাজত থেকে বাজেয়াপ্ত করা হয় 13 লাখ 4 হাজার 500 টাকার জাল নোট ৷ নোটগুলি সবই 500 টাকা অর্থমূল্যের ৷ এর পরেই তাদের গ্রেফতার করা হয় ৷ এসটিএফের তরফে গতকাল ধৃতদের কালিয়াচক থানার পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয় ৷ গতকাল তাদের জেলা আদালতে পেশ করা হলে মুখ্য দায়রা বিচারকের অনুমতিতে দুই যুবককে আটদিনের হেফাজতে নিয়েছে কালিয়াচক থানার পুলিশ ৷

ধৃত দুই কারবারীর নাম সঞ্জয় প্রজাপত ও মঞ্জয় কুমার ৷ 32 বছর বয়সি সঞ্জয় এর আগেও জাল নোট পাচারের কাজে জড়িত ছিল ৷ তবে 19 বছর বয়সি মঞ্জয় এবারই প্রথম এই কারবারে নেমেছে ৷ দু’জনেরই বাড়ি বিহারের গয়া জেলার কোঠি থানা এলাকার শিবা বসতা গ্রামে ৷ প্রাথমিক জেরাতেই তাদের কাছ থেকে চমকে ওঠার মতো তথ্য পাওয়া গিয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর ৷

কালিয়াচক থানার এক আধিকারিক জানিয়েছেন, “ধৃত দুই কারবারীর বয়ান অনুযায়ী এই কারবারের পাণ্ডারা গোটা দেশে জাল নোট ছড়িয়ে দেওয়ার নীল নকশা তৈরি করেছে ৷ তার জন্য তারা উৎসব মরশুমকেই বেছে নিয়েছে ৷ শুধু পশ্চিমবঙ্গে দুর্গাপুজো নয়, এই সময় গোটা উত্তর ভারত জুড়ে নবরাত্রি পালিত হচ্ছে ৷ ফলে দেশের বিস্তীর্ণ এলাকায় এখন বাজার তুঙ্গে রয়েছে ৷ সেই বাজারে জাল নোট ছড়িয়ে দেওয়ার চক্রান্ত করেছে কারবারীরা ৷ ধৃতরা কোথা থেকে এত জাল নোট পেয়েছিল, কোথায় এসব সরবরাহ করত, কোথা থেকে এই কারবার পরিচালনা করা হচ্ছে, জেরা করে সবকিছুই জানার চেষ্টা চলছে ৷”

পুলিশ সুপার প্রদীপকুমার যাদব বলছেন, “আমরা জাল নোটের কারবার প্রায় বন্ধ করে দিতে পেরেছি ৷ উৎসব মরশুমের সুযোগ নিয়ে জাল নোটের কারবারীরা সক্রিয় হওয়ার চেষ্টা করছে ৷ 13 লাখেরও বেশি জাল নোট-সহ বিহারের দুই পাচারকারী কালিয়াচক এলাকায় পুলিশের জালে ধরা পড়েছে ৷ ধৃতদের জেরা করা হচ্ছে ৷ উৎসব মরশুমে জেলা জুড়ে সাদা পোশাকের পুলিশ নিয়োগ করা হয়েছে ৷ সবমিলিয়ে আমরা সতর্ক রয়েছি ৷”

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.