চেন্নাই, 25 এপ্রিল: কিংবদন্তি দাবাড়ু গ্যারি কাসপরভের রেকর্ড ভেঙেছেন 17 বছর বয়সি গ্র্যান্ডমাস্টার ডি গুকেশ ৷ 22 এপ্রিল টরন্টোতে ক্যান্ডিডেটস চেস টুর্নামেন্ট জিতে ইতিহাস রচনা করেছেন তিনি ৷ জেতার পুরো কৃতিত্ব তিনি দিলেন গ্র্যান্ডমাস্টার বিশ্বনাথন আনন্দকে ৷
এদিন এক সাংবাদিক সম্মেলনে ডি গুকেশ বলেন, "ভিসি স্যর আমাকে ভীষণভাবে অনুপ্রাণিত করেছেন ৷ আমি তাঁর অ্যাকাডেমি থেকে অনেক কিছু শিখতে পেরেছি ৷ আমি স্যরের প্রতি সত্যই কৃতজ্ঞ ৷ আমি আজ যা হতে পেরেছে তাঁর জন্যই হতে পেরেছি ৷ বিশ্বনাথন আনন্দ স্যর না-থাকলে আমি এই জায়গায় পৌঁছতে পারতাম না ৷"
বিশ্বচ্যাম্পিয়ন চিনের ডিং লিরেনের বিরুদ্ধে হতে যাওয়া প্রতিদ্বন্দ্বিতা সম্পর্কে বলতে গিয়ে, গুকেশ জানান, "ডিংয়ের বিরুদ্ধে ময়দানে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হবে আমি কীভাবে নিজেকে প্রস্তুত করেছি এবং বড় ম্যাচ খেলার আগে মানসিকভাবে নিজেকে তৈরি করেছি ৷ অনেক প্রত্যাশার পাশাপাশি ঝুঁকিও রয়েছে। আমার নিজের উপর পূর্ণ আস্থা রয়েছে৷ আগের মতোই একই কৌশল নিয়ে খেলব। আশা করি, পুরো খেলাটা ভালোভাবেই হবে ৷
17 বছর বয়সি গ্র্যান্ডমাস্টার 22শে এপ্রিল টরন্টোতে ক্যান্ডিডেটস চেস টুর্নামেন্ট জিতে ইতিহাস রচনা করেছেন ৷ যা 40 বছর আগে কিংবদন্তি গ্যারি কাসপারভের তৈরি করা রেকর্ডকে হারিয়ে বিশ্ব শিরোপা জয়ের সর্বকনিষ্ঠ প্রতিদ্বন্দ্বী হিসাবে নাম লিখিয়েছেন ইতিহাসের পাতায় ৷ বিশ্ব শিরোপা জয়ের জন্য এবার 64 খোপের প্রতিদ্বন্দ্বিতায় গুকেশের মুখোমুখি হবেন চিনের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ডিং লিরেন ৷
বিশ্বনাথন আনন্দ 2020 সালে তৈরি করেন ওয়েস্টব্রিজ-আনন্দ চেস অ্যাকাডেমি ৷ সেখানেই প্রশিক্ষণ নেন ডি গুকেশ ৷ কাকতালীয়ভাবে, গুকেশের আগে আনন্দই একমাত্র ভারতীয় ছিলেন যিনি 2014 সালে ক্যান্ডিডেটস জিতেছিলেন। এদিন গুকেশকে অভ্যর্থনা জানাতে বিমানবন্দরে ছিলেন তার মা পদ্মা-সহ ভেলাম্মল বিদ্যালয়ের শত শত ছাত্র ৷ এই বিদ্যালয়ের পড়ুয়া গুকেশ ৷
আরও পড়ুন
1. তিরন্দাজি বিশ্বকাপের ফাইনালে পদক নিশ্চিত করল ভারতীয় ত্রয়ী
2. 'গুকেশ ভিন্ন ঘরানার', বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে সাফল্য নিয়ে আশাবাদী কোচ
3. ‘টরন্টোয় ভারতীয় ভূমিকম্প’, গুকেশকে প্রশংসায় ভরালেন কাসপারভ