নয়াদিল্লি, 17 অগস্ট: প্রেমের শহরে মেডেল ঘরে আনতে পারেননি, কিন্তু দেশবাসীর হৃদয় জিতে নিয়েছেন ৷ দুর্ভাগ্যের জেরে প্যারিসে পোডিয়াম ফিনিশ করতে পারেননি ভিনেশ ফোগত ৷ যদিও ‘দঙ্গল গার্ল’কে দেশবাসী বরণ করল ‘সোনার মেয়ে’র সম্মানেই ৷ অলিম্পিক্স শেষে দিল্লি এয়ারপোর্টে নামা ভিনেশকে বরণ করা হল জমকালো রোড শো’য়ে ৷
দেশের প্রথম মহিলা কুস্তিগীর হিসেবে অলিম্পিক্সের ফাইনালে পৌঁছে ইতিহাস গড়েছিলেন এশিয়াড, কমনওয়েলথে সোনাজয়ী ফোগত ৷ 140 কোটি দেশবাসী চলতি অলিম্পিক্সে প্রথম সোনার প্রত্যাশা করেছিল তাঁরই কুস্তির প্যাঁচে ৷ যদিও মেডেল গলায় ঝোলানো হয়নি ৷ শনিবার প্যারিস অলিম্পিক্সে ইতিহাস গড়া ভিনেশ দেশে ফিরলেন ৷
সকাল 10:30টায় দিল্লি বিমানবন্দরে নামেন ‘সোনার মেয়ে’, উষ্ণ অভ্যর্থনা জানানো হয় ভিনেশকে । ছিলেন বজরং পুনিয়া এবং সাক্ষী মালিক, ফুলের তোড়া দিয়ে স্বাগত জানান ‘সহযোদ্ধা’কে ।বিমানবন্দরের বাইরে ভিনেশের অপেক্ষায় ছিলেন কয়েক হাজার ভক্ত । তাঁকে ঢোল বাজিয়ে স্বাগত জানানো হয় ।
সোনার পদক জয়ের বাউটের সকালে ভিনেশকে 'অযোগ্য' বলে ঘোষণা করা হয় ৷ সেমিফাইনালের পর দেখা যায় ভিনেশের ওজন 52 কেজি 700 গ্রাম ৷ 50 কেজি ফ্রিস্টাইলে লড়া ভিনেশকে ফাইনালের আগে ওজন কমাতে হত ৷ তা কমাতে গিয়েই গোটা রাত অমানুষিক পরিশ্রম করেন ভিনেশ ৷ ওই পরিশ্রম করতে গিয়ে মারাও যেতে পারতেন তিনি ৷ তা নিয়ে সম্প্রতি মুখ খুলেছেন ভিনেশের কোচ ওলার আকোস ৷
ডিসকোয়ালিফিকেশনের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে সিএএসে আবেদন জানিয়েছিলেন ভিনেশ ফোগত ও তাঁর টিম ৷ ভিনেশ ফোগতের আর্জি খারিজ করে দিয়েছে কোর্ট অফ আরবিট্রেশন ফর স্পোর্টস ৷ ফলে প্যারিস অলিম্পিক্স থেকে খালি হাতেই দেশে ফিরেথেন ‘দঙ্গল গার্ল’ ৷ প্যারিসে ষষ্ঠতেই থেমেছে ভারতের মেডেল সংখ্যা ৷