ETV Bharat / sports

গ্রাম এখনও বাংলা ফুটবলের সাপ্লাই-লাইন, প্রমাণ করছেন পাণ্ডুয়ার চাঁদ, শিশির, দীপাঞ্জনরা - Supply Line of Bengal Football

author img

By ETV Bharat Sports Team

Published : Jul 30, 2024, 10:34 PM IST

Supply Line of Bengal Football: বাংলার ফুটবলের পরিকাঠামো নিয়ে অভিযোগ আজকের নয় ৷ প্রায় সব প্রাক্তন ফুটবলাররাই এনিয়ে অভিযোগ করে এসেছেন ৷ কিন্তু, প্রতিভা পরিকাঠামোর পরোয়া করে না ৷ আর সেটাই প্রমাণ করছে পান্ডুয়ার তিন উঠতি প্রতিভাবান ফুটবলার ৷

3 Teenage Footballer Get Chance in East Bengal
ইস্টবেঙ্গল জুনিয়র দলে সুযোগ পাণ্ডুয়ার তিন কিশোরের ৷ (নিজস্ব চিত্র)

পাণ্ডুয়া, 30 জুলাই: বাংলার ফুটবলে যত নামী ফুটবলার উঠে এসেছে, তার অধিকাংশটাই গ্রাম বাংলা থেকে ৷ এমনকী চলতি কলকাতা ফুটবল লিগেও গ্রাম বাংলার প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে উঠে আসা ফুটবলাররা দাপট দেখাচ্ছেন ৷ তেমনই বাংলা ফুটবলের তিন সম্ভাবনাময় ফুটবলার হল চাঁদ ক্ষেত্রপাল (13), শিশির সরকার (13) এবং দীপাঞ্জন টুডু (15) ৷

বাংলার ফুটবলের পরিকাঠামো নিয়ে হাতাশা প্রকাশ রহিম নবির ৷ (ইটিভি ভারত)

হুগলির পাণ্ডুয়ার বৈঁচি গ্রামে বাড়ি এই তিনজনের ৷ চাঁদ, শিশির এবং দীপাঞ্জন সম্প্রতি কলকাতা ময়দানের অন্যতম বড় ক্লাব ইস্টবেঙ্গলের অ্যাকাডেমিতে সুযোগ পেয়েছে ৷ চাঁদ এবং শিশির ইস্টবেঙ্গলের অনূর্ধ্ব-13 দলের হয়ে খেলবে ৷ আর দীপাঞ্জন খেলবে অনূর্ধ্ব-15 দলের হয়ে ৷ বৈঁচি গ্রামের এই তিন কিশোর দুঃস্থ পরিবার থেকে উঠে এসেছে ৷ কারও বাবা টোটো চালান, তো কারও পরিবার চলে দিনমজুরির উপর নির্ভর করে ৷ দারিদ্রতার সঙ্গে লড়াইয়ের মাঝেই ফুটবল খেলার স্বপ্ন দেখেছে এই তিন কিশোর ৷ তাদের সেই স্বপ্নপূরণ হওয়ার পথে ৷

এই পাণ্ডুয়া থেকেই ভারতীয় ফুটবল পেয়েছিল তার এক উজ্জ্বল নক্ষত্রকে ৷ পাণ্ডুয়ার রহিম নবি ৷ যিনি কলকাতা সেরা ক্লাবগুলিতে যেমন খেলেছেন ৷ তেমনি দেশের জার্সিতেও নিজের কৃতিত্ব স্থাপন করেছেন ৷ সেই পাণ্ডুয়া থেকেই আবারও তিন প্রতিভার উঠে আসা ৷ নবি নিজে পাণ্ডুয়ায় ফুটবল অ্যাকাডেমি চালান ৷ পরিবার এবং কাজের সূত্রে কলকাতায় থাকলেও, নিয়মিত অ্যাকাডেমিতে আসেন ৷ সময় পেলে নিজে প্রশিক্ষণ করান ৷ ফুটবলের খুঁটি-নাটি বুঝিয়ে দেন ৷ তাঁর নিজের অ্যাকাডেমি থেকেও এবছর মহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবে তিন ফুটবলার সুযোগ পেয়েছেন ৷

সব মিলিয়ে বাংলার ফুটবলের সাপ্লাই লাইন, সেই গ্রাম বাংলা ৷ কিন্তু, পরিকাঠামোর প্রশ্নে বাংলার ফুটবলের সাপ্লাই লাইন এখনও অনেক পিছিয়ে ৷ সেই নিয়ে আক্ষেপ করতে শোনা গেল প্রাক্তন ভারতীয় ফুটবলার রহিম নবিকে ৷ ইটিভি ভারতকে নবি জানালেন, তাঁরা যে পরিস্থিতির মধ্যেে দিয়ে উঠে এসেছিলেন ৷ আজকের খেলোয়াড়রা তার থেকেও খারাপ অবস্থার মধ্যে থেকে নিজেদের তৈরি করছেন বলে অভিযোগ করলেন নবি ৷ বিশেষত, ভালো মাঠের অভাব ৷ গ্রাম থেকে শুরু করে, মফঃস্বল, এমনকি কলকাতা শহরেও ভালো মাঠ না থাকার মতো ৷

রহিম নবি বলেন, "কলকাতা লিগে বাঙালি ফুটবলার খেলানোর জন্য শর্ত দেওয়া হচ্ছে ৷ চারজন বাঙালি খেলাতে হবে ৷ তা না হলে দল নামাতে পারবে না ৷ আগে যেখানে বাঙালি ফুটবলাররা দেশের জার্সিতে মাঠ কাঁপাতেন ৷ আগে এক ঝাঁক বাঙালি ফুটবল খেলত ৷ কিন্তু, পরিকাঠামোর জন্যই ফুটবলারের সংখ্যাটা কমেছে ৷" রহিম নবি ফুটবল অ্যাকাডেমি তৈরি করা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন ৷ তিনি বলেন, "বাংলায় আইএফএ যে অ্যাকাডেমি করেছে, তা কখনই যথেষ্ঠ নয় ৷ প্রতিটি জেলার আনাচকানাচেয় প্রতিভারা রয়েছে ৷ তাদের খুঁজে বের করতে হলে, গ্রামে গঞ্জে যেতে হবে ৷ ভালো মাঠ দিতে হবে ৷ ভালো ঘাসের মাঠের পাশাপাশি, অ্যাস্ট্রো টার্ফ বানাতে হবে ৷ কাদা মাঠে বল পাসিং, ড্রিবল, ট্যাকলের স্কিল বাড়ে না ৷"

পাণ্ডুয়া, 30 জুলাই: বাংলার ফুটবলে যত নামী ফুটবলার উঠে এসেছে, তার অধিকাংশটাই গ্রাম বাংলা থেকে ৷ এমনকী চলতি কলকাতা ফুটবল লিগেও গ্রাম বাংলার প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে উঠে আসা ফুটবলাররা দাপট দেখাচ্ছেন ৷ তেমনই বাংলা ফুটবলের তিন সম্ভাবনাময় ফুটবলার হল চাঁদ ক্ষেত্রপাল (13), শিশির সরকার (13) এবং দীপাঞ্জন টুডু (15) ৷

বাংলার ফুটবলের পরিকাঠামো নিয়ে হাতাশা প্রকাশ রহিম নবির ৷ (ইটিভি ভারত)

হুগলির পাণ্ডুয়ার বৈঁচি গ্রামে বাড়ি এই তিনজনের ৷ চাঁদ, শিশির এবং দীপাঞ্জন সম্প্রতি কলকাতা ময়দানের অন্যতম বড় ক্লাব ইস্টবেঙ্গলের অ্যাকাডেমিতে সুযোগ পেয়েছে ৷ চাঁদ এবং শিশির ইস্টবেঙ্গলের অনূর্ধ্ব-13 দলের হয়ে খেলবে ৷ আর দীপাঞ্জন খেলবে অনূর্ধ্ব-15 দলের হয়ে ৷ বৈঁচি গ্রামের এই তিন কিশোর দুঃস্থ পরিবার থেকে উঠে এসেছে ৷ কারও বাবা টোটো চালান, তো কারও পরিবার চলে দিনমজুরির উপর নির্ভর করে ৷ দারিদ্রতার সঙ্গে লড়াইয়ের মাঝেই ফুটবল খেলার স্বপ্ন দেখেছে এই তিন কিশোর ৷ তাদের সেই স্বপ্নপূরণ হওয়ার পথে ৷

এই পাণ্ডুয়া থেকেই ভারতীয় ফুটবল পেয়েছিল তার এক উজ্জ্বল নক্ষত্রকে ৷ পাণ্ডুয়ার রহিম নবি ৷ যিনি কলকাতা সেরা ক্লাবগুলিতে যেমন খেলেছেন ৷ তেমনি দেশের জার্সিতেও নিজের কৃতিত্ব স্থাপন করেছেন ৷ সেই পাণ্ডুয়া থেকেই আবারও তিন প্রতিভার উঠে আসা ৷ নবি নিজে পাণ্ডুয়ায় ফুটবল অ্যাকাডেমি চালান ৷ পরিবার এবং কাজের সূত্রে কলকাতায় থাকলেও, নিয়মিত অ্যাকাডেমিতে আসেন ৷ সময় পেলে নিজে প্রশিক্ষণ করান ৷ ফুটবলের খুঁটি-নাটি বুঝিয়ে দেন ৷ তাঁর নিজের অ্যাকাডেমি থেকেও এবছর মহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবে তিন ফুটবলার সুযোগ পেয়েছেন ৷

সব মিলিয়ে বাংলার ফুটবলের সাপ্লাই লাইন, সেই গ্রাম বাংলা ৷ কিন্তু, পরিকাঠামোর প্রশ্নে বাংলার ফুটবলের সাপ্লাই লাইন এখনও অনেক পিছিয়ে ৷ সেই নিয়ে আক্ষেপ করতে শোনা গেল প্রাক্তন ভারতীয় ফুটবলার রহিম নবিকে ৷ ইটিভি ভারতকে নবি জানালেন, তাঁরা যে পরিস্থিতির মধ্যেে দিয়ে উঠে এসেছিলেন ৷ আজকের খেলোয়াড়রা তার থেকেও খারাপ অবস্থার মধ্যে থেকে নিজেদের তৈরি করছেন বলে অভিযোগ করলেন নবি ৷ বিশেষত, ভালো মাঠের অভাব ৷ গ্রাম থেকে শুরু করে, মফঃস্বল, এমনকি কলকাতা শহরেও ভালো মাঠ না থাকার মতো ৷

রহিম নবি বলেন, "কলকাতা লিগে বাঙালি ফুটবলার খেলানোর জন্য শর্ত দেওয়া হচ্ছে ৷ চারজন বাঙালি খেলাতে হবে ৷ তা না হলে দল নামাতে পারবে না ৷ আগে যেখানে বাঙালি ফুটবলাররা দেশের জার্সিতে মাঠ কাঁপাতেন ৷ আগে এক ঝাঁক বাঙালি ফুটবল খেলত ৷ কিন্তু, পরিকাঠামোর জন্যই ফুটবলারের সংখ্যাটা কমেছে ৷" রহিম নবি ফুটবল অ্যাকাডেমি তৈরি করা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন ৷ তিনি বলেন, "বাংলায় আইএফএ যে অ্যাকাডেমি করেছে, তা কখনই যথেষ্ঠ নয় ৷ প্রতিটি জেলার আনাচকানাচেয় প্রতিভারা রয়েছে ৷ তাদের খুঁজে বের করতে হলে, গ্রামে গঞ্জে যেতে হবে ৷ ভালো মাঠ দিতে হবে ৷ ভালো ঘাসের মাঠের পাশাপাশি, অ্যাস্ট্রো টার্ফ বানাতে হবে ৷ কাদা মাঠে বল পাসিং, ড্রিবল, ট্যাকলের স্কিল বাড়ে না ৷"

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.