কলকাতা, 4 মে: দিনকয়েক আগের কথা ৷ এই যুবভারতীতেই তাঁদের শিল্ড জয়ের পথে কাঁটা ছড়িয়ে দিয়েছিল মোহনবাগান ৷ ঊনিশ দিনের মাথায় সেই হারের বদলা নিয়ে আইএসএল ট্রফি জয় মুম্বই সিটি এফসি'র ৷ শনিবাসরীয় যুবভারতীতে নাকের ডগা দিয়ে কাপ জিতে নিয়ে গেল আইল্যান্ডার্স, আর তা দাঁড়িয়ে দেখলেন শুভাশিস, পেত্রাতোসরা ৷ হাবাসের মগজাস্ত্রকে টেক্কা দিয়ে 3-1 গোলে ম্য়াচ জিতল পিটার ক্র্য়াটকির ছেলেরা ৷
অথচ খেলার গতির বিরুদ্ধে এদিন ম্যাচে এগিয়ে গিয়েছিল বাগানই ৷ 44 মিনিটে দিমিত্রি পেত্রাতোসের বক্সের অনেকটা বাইরে থেকে নেওয়া জোরালো শট বিপক্ষ গোলরক্ষক প্রতিহত করতেই শিকারির মত অপেক্ষায় থাকা জেসন কামিংস তা জালে পাঠাতে ভুল করেননি। প্রথমবার কলকাতায় আইএসএল ফাইনাল। ঘরের মাঠে সমর্থকদের সামনে তখন মনে হচ্ছিল আইএসএল চ্যাম্পিয়ন কেবল সময়ের অপেক্ষা মোহনবাগানের ৷ কিন্তু দিনের শেষে স্বপ্নভঙ্গের বেদনা নিয়ে মাঠ ছাড়লেন 62 হাজার সবুজ-মেরুন জনতা।
যুবভারতীর উচ্ছ্বাসকে হাহাকারে পরিণত করার হুঙ্কার দিয়েছিল মুম্বই। শনিবার সন্ধ্যায় প্রথম থেকেই তারা ছিল ম্যাচের নিয়ন্ত্রক। পজেশনাল ফুটবলে সুপার জায়ান্টকে ব্যাকফুটে রেখেছিল তারা। প্রতিপক্ষের চাপের সামনে কার্যত গুটিয়েছিল আন্তেনিও লোপেজ হাবাসের ছেলেরা। ছাংতের ফ্রি-কিক এবং শট পোস্টে লেগে প্রতিহত না-হলে মুম্বই এগিয়ে যেতে পারত আগেই। কিন্তু প্রথমার্ধে তা হয়নি ৷
তবে বিরতির পর ফের নিয়ন্ত্রকের আসনে 'স্কাই ব্লুজ'। 52 মিনিটে নগুয়েরার লম্বা পাস ধরে দলকে সমতায় ফেরান পেরেরা দিয়াজ। এরপর খেলার নিয়ন্ত্রণ পুরোটাই ক্র্যাটকির ছেলেদের পায়ে। 80 মিনিটে মুম্বইয়ের চেক কোচের দুই পরিবর্তন ম্যাচের ফলাফল নির্ধারণ করে দেয়। পরিবর্ত জাকুবের পাস থেকে 81 মিনিটে গোল আরেক পরিবর্ত বিপিনের। ম্যাচের অতিরিক্ত সময়ে ব্যবধান বাড়িয়ে নেন খোদ জাকুব। সবমিলিয়ে 2020-21 স্মৃতি ফিরিয়ে ফের আইএসএল জয় মুম্বইয়ের ৷
আরও পড়ুন:
- যুবভারতীকে স্তব্ধ করতে চান ক্রাতকি, বাগানের স্বপ্নে কাঁটা ছড়াতে তৈরি মুম্বই
- আইএসএল চ্যাম্পিয়ন হয়ে বৃত্ত সম্পূর্ণ করার লক্ষ্যে স্থির হাবাস