কলকাতা, 15 এপ্রিল: সবুজ-মেরুনে রাঙা যুবভারতী ৷ বাংলা নববর্ষের দ্বিতীয় দিনে স্বপ্নপূরণের আনন্দ বাগানে। সোমবার মুম্বই সিটি এফসিকে 2-1 গোলে হারিয়ে লিগ শিল্ড চ্যাম্পিয়ন হল মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট। তিনবার আইএসএল ট্রফি ঘরে এলেও আইএসএল লিগ শিল্ড জিততে পারেনি সুপার জায়ান্ট। ঘরের মাঠে মুম্বই সিটি এফসিকে 2-1 গোলে 'থেঁতলে' দিয়ে এএফসি চ্যাম্পিয়ন্স লিগে জয় ছিনিয়ে নিল সবুজ-মেরুন। 29 মিনিটে লিস্টন কোলাসোর প্রথম গোলের পরে দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই 80 মিনিটে পেত্রাতোসের বাড়ানো লম্বা পাসে বল ধরে চোখ ধাঁধাঁনো গোল করেন পরিবর্ত হিসেবে নামা কামিংস। ম্যাচের সেরা পেত্রাতোস।
88 মিনিটে ব্যবধান কমান মুম্বই সিটি এফসির ছাংতে। তবে শেষ হাসিটা হাসল সবুজ-মেরুন শিবির ৷ 22 ম্যাচে 48 পয়েন্ট নিয়ে এক নম্বরে লিগ শেষ করল মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট। ব্যান্ড্রন হামিল লাল কার্ড দেখায় শেষ আট মিনিট হাবাসের দল 10 জনে লড়াই চালায়। ম্যাচের শেষ কয়েক মিনিটে মোহনবাগান যখন 10 জনে খেলছে, তখন ম্যাচ জিততে মরিয়া চেষ্টা চালায় মুম্বই ৷ ফলে টানটান উত্তেজনা তৈরি হয় মাঠে। উত্তেজনার পারদ এতটাই চড়েছিল যে একসঙ্গে দুই দলের চারজন হলুদ কার্ড দেখেন। এই ম্যাচের বল গড়ানোর আগে পর্যন্ত মুম্বই সিটি এফসি 2 পয়েন্টে এগিয়ে ছিল। আজ ঘরের মাঠে ড্র করলেও লিগ শিল্ড জিতে নিত মুম্বই ৷ কিন্তু শেষ 8 মিনিট মুম্বইয়ের 11 জনের বিরুদ্ধে 10 জনে খেলেও হাবাসের ছেলেরা আইএসএল লিগ শিল্ড নিজেদের পকেটে পুড়ে নিলেন ৷
গ্যালারিজুড়ে আনন্দ-স্রোতে গা ভাসান সবুজ-মেরুন সমর্থকরা। এদিন ম্যাচ দেখতে আসেন ভরতীয় তারকা ক্রিকেটার তথা চলতি আইপিএলে লখনউ সুপার জায়ান্টসের অধিনায়ক কে এল রাহুল ৷ গতকাল তাঁরা সবুজ-মেরুন জার্সিতে কেকেআর বিরুদ্ধে ইডেনে নেমেছিলেন ৷ তাতে হারের মুখ দেখেছেন তাঁরা ৷ উল্লেখ্য, এর আগে যতবার মুম্বইয়ের সামনাসামনি মোহনবাগান হয়েছে ততবার হারের মুখ দেখেছে সবুজ-মেরুন জার্সিধারীরা ৷ তবে আসল ম্যাচে শেষ হাসি হাবাসের দলের ৷
এদিন আইএসএলে লিগ শিল্ড চ্যাম্পিয়ন হওয়ার জন্য মোহনবাগান ক্লাবের খেলোয়াড়, কোচ, কর্মকর্তা থেকে শুরু করে সমর্থকদের অভিনন্দন জানিয়েছেন, রাজ্যের মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস ৷ তিনি বলেন, "এ জয় শুধু মোহনবাগানের নয়, এ জয় সারা বাংলার জয়।" পুরস্কার তুলে দেন ফেডারেশন প্রেসিডেন্ট কল্যাণ চৌবে।
প্রসঙ্গত, চলতি মরশুমে বাংলার ফুটবল ডানা মেলছে। ডুরান্ড থেকে সুপার কাপ এরপরে আইএসএল লিগ শিল্ড চ্যাম্পিয়ন ট্রফির ঠিকানা বাংলা। যা বাংলার ফুটবলের আধিপত্যের ছবি। স্বপ্নপূরণের রাতে দর্শকরাও মাঠ ছাড়লেন সবার শেষে।
আরও পড়ুন: