কলকাতা, 19 জুলাই: তিন ম্যাচ পরে অবশেষে জয়ের স্বাদ পেল মোহনবাগান । বৃহস্পতিবার নৈহাটিতে পিয়ারলেস স্পোর্টস ক্লাবকে 1-0 গোলে হারাল সবুজ-মেরুন । কলকাতা লিগের প্রিমিয়ার ডিভিশনে এই জয়ে চার ম্যাচে পাঁচ পয়েন্ট নিয়ে পয়েন্ট টেবিলে নয় নম্বরে উঠল ডেগি কার্ডেজোর ছেলেরা ।
খেলা শুরুর সময় জোরে বৃষ্টি শুরু হয় । পরে আকাশ পরিষ্কার হয়ে রোদ উঠলেও মোহনবাগানের ভাগ্যাকাশ কিন্তু জয়ের পরেও মেঘাচ্ছন্ন । কারণ, ছন্নছাড়া ফুটবল । প্রথমার্ধে ভুল পাসের প্রদর্শনীতে সমর্থকদের হতাস করেছে সবুজ-মেরুন । বোঝা যাচ্ছিল না এই দলে রাজ বাসফোর, অভিষেক সূর্যবংশীরা খেলছেন । দীপেন্দু বিশ্বাস না-থাকায় রক্ষণ সামলানোর দায়িত্ব ছিল সুমিত রাঠি, আমনদীপদের উপরে । এই পরীক্ষায় আপাতত তাঁরা উতরে গেলেন বলা যায় ।
3 points, a valuable win vs Peerless for the boys! Joy Mohun Bagan! 💚♥️#MBSG #JoyMohunBagan #আমরাসবুজমেরুন pic.twitter.com/yY8OMQPcC9
— Mohun Bagan Super Giant (@mohunbagansg) July 18, 2024
প্রথমার্ধে মোহনবাগানের উল্লেখযোগ্য আক্রমণ সংখ্যা একটি । 23 মিনিটে ফারদিন আলি মোল্লার পাস থেকে বল পেয়ে বক্সের বাইরে থেকে জোরালো শটে গোল থুমসোল টংসিনের । গোল করে এগিয়ে যাওয়ার পরে মনে হয়েছিল মোহনবাগান আক্রমণের ঝড় তুলবে । বদলে প্রতিপক্ষ পিয়ারলেসের প্রতিআক্রমণে ব্যাকফুটে গঙ্গাপাড়ের ক্লাব । প্রথমার্ধের শেষ দিকে চোট পেয়ে উঠে যান ফারদিন আলি মোল্লা । পরিবর্ত তপন হালদার নজর কাড়লেন ।
দ্বিতীয়ার্ধে গোলশোধের জন্য মরিয়া হয়ে ওঠে পিয়ারলেস । বাঁ-দিক থেকে বারবার অনায়াসে উঠে এসে সেন্টার রেখে গেলেন অমরনাথ বাস্কে । একজন প্রকৃত স্ট্রাইকারের অভাব প্রবলভাবে চোখে পড়ল পিয়ারলেসের খেলায় । কোচ হেমন্ত ডোরা দু’টো পেনাল্টি থেকে বঞ্চিত বলে সরব হয়েছেন । একই সঙ্গে মেনে নিয়েছেন স্ট্রাইকারের অভাবের কথা ।
নৈহাটি স্টেডিয়ামে লক্ষ্মীবারে প্রায় পাঁচশো সবুজ-মেরুন সমর্থক উপস্থিত ছিলেন । তাঁদের একটাই চাওয়া ছিল, প্রিয় দল যেন আবার পয়েন্ট নষ্ট না-করে । দল জয়ে ফিরলেও খেলা দেখে অখুশি সমর্থকরা । ড্রেসিংরুমে ফেরার সময় কয়েকজনকে কোচকে উদ্দেশ্য করে কটূক্তি করতেও শোনা গেল । অনি্যদিকে, জয়ে স্বাদ পেতেই তৃপ্ত ডেজি কার্ডেজো । বাগানের স্যর বলেন, “দ্বিতীয়ার্ধে ওদের ঘনঘন আক্রমণের সামনে কিছুটা চাপে পড়ে গেলেও নিজেদের সামলে নিয়েছি । আমাদের সৌভাগ্য যে গোল না-খেয়ে ফিরেছি । প্রত্যেক ম্যাচে তো সেরা খেলাটা সম্ভব নয় । আমরা মাত্র তিন সপ্তাহ প্রাক-মরশুম প্রস্তুতি সেরেছি । মরশুমের মাঝে গিয়েই দলের অন্যরকম খেলা দেখতে পাবেন ।”