ETV Bharat / sports

26/11'র পরেও ডেকেছিলেন গিলানিকে, আজও চর্চিত মনমোহনের 'ক্রিকেট কূটনীতি' - MANMOHAN SINGH

বাইশ গজের মধ্যে দিয়ে পাকিস্তানের সঙ্গে শান্তি স্থাপনে প্রয়াসী হয়েছিলেন মনমোহন সিং ৷ কীভাবে? তাঁর মৃত্যুর পর ফিরে দেখল ইটিভি ভারত ৷

MANMOHAN SINGH DEMISE
2011 বিশ্বকাপে মনমোহনের ডাকে মোহালিতে গিলানি (GETTY)
author img

By ETV Bharat Sports Team

Published : 17 hours ago

Updated : 17 hours ago

হায়দরাবাদ, 27 ডিসেম্বর: ধীরস্থির, মিতভাষী অথচ চরম বিচক্ষণ ৷ তিনি এতটাই স্বল্প কথার মানুষ ছিলেন বিরোধীরা তাঁকে কটাক্ষ করে বলত 'মৌন প্রধানমন্ত্রী' ৷ তবে স্বল্প কথার মানুষ হলেও দেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে মনমোহন সিং যা করে গিয়েছেন তার প্রভাব বিরাট ৷ দেশের অর্থনৈতিক সংস্কারের পুরোধা প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী প্রয়াত হয়েছেন বৃহস্পতিবার ৷

92 বছর বয়সে নয়াদিল্লি এইমসে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি ৷ তবে রয়ে গেল তাঁর কাজ ৷ আর্থিক সংস্কারের পাশাপাশি ভারতের বিদেশনীতিতেও বদল এনেছিলেন তিনি ৷ শত্রুদেশ পাকিস্তানের সঙ্গে নয়া বিদেশনীতি স্থাপনে বাইশ গজকে হাতিয়ার করেছিলেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ৷ 2004-2014 দেশের প্রধানমন্ত্রীর পদে সামলানো মনমোহন সিংয়ের 'ক্রিকেট কূটনীতি' আজও প্রশংসিত হয় অনুরাগীদের মুখে মুখে ৷

  • পাকিস্তানের সঙ্গে শান্তি সমঝোতার চেষ্টা: নানা ঝড়ঝাপ্টা সত্ত্বেও তাঁর সময়কালে পাকিস্তানের সঙ্গে শাস্তি স্থাপনে বারংবার সচেষ্ট হয়েছিলেন মনমোহন সিং ৷ কিন্তু তাঁর প্রচেষ্টা যে বিফলে যায় তাঁর জ্বলন্ত উদাহরণ 2008 সালের মুম্বই হামলা ৷ পাক মুলুকের সঙ্গে মনমোহন সিংয়ের শান্তি স্থাপনের উদ্যোগ ভূলুণ্ঠিত হয় ৷ মুম্বই হামলা যে তাঁকে ভীষণভাবে নাড়া দিয়েছিল সেটা সংবাদসংস্থা পিটিআই'কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ঘনিষ্ঠ তথা তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীর (যুগ্ম) সচিব পঙ্কজ সরনকে জানিয়েছিলেন মনমোহন ৷
  • বিশ্বকাপে আমন্ত্রণ জানিয়ে গিলানিকে চিঠি: মুম্বই হামলা সাময়িকভাবে নাড়া দিলেও পাকিস্তানের সঙ্গে শান্তি সমঝোতার রাস্তা থেকে সরেননি মনমোহন ৷ 26/11'র তিনবছর পর অর্থাৎ, 2011 সালে ভারতের মাটিতে বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে তৎকালীন পাক প্রধানমন্ত্রী ইউসুফ রাজা গিলানিকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন মনমোহন সিং ৷ মোহালিতে হাইভোল্টেজ ভারত-পাক সেমিফাইনাল দেখতে আসার জন্য গিলানিকে চিঠি লিখেছিলেন তিনি ৷ মনমোহনের চিঠিতে সাড়া দিয়ে গিলানি পৌঁছে গিয়েছিলেন মোহালিতে ৷ পাশাপাশি বসে ম্য়াচ দেখেছিলেন দুই দেশের দুই রাষ্ট্রনেতা ৷ যা মনমোহনের 'ক্রিকেট কূটনীতি' হিসেবে পরিচিতি পেয়েছিল ৷ শুধুই কি তাই? ম্যাচের পর যৌথ বিবৃতিতে 'সন্ত্রাসবাদকে মূল হুমকি' বলেছিলেন মনমোহন ও গিলানি ৷
  • পরবর্তী সময়ে ধোপে টেকেনি মনমোহনের নীতি: মনমোহন সিং পরবর্তী সময় অবশ্য ক্রিকেটকে মাধ্যম করে দু'দেশের মধ্যে শান্তি আলোচনার বিষয়টি ধোপে টেকেনি ৷ কারণ মনমোহন সিং পরবর্তী ভারতের সরকার বিশ্বাস করে শান্তি আলোচনা এবং সন্ত্রাস কখনোই হাত ধরাধরি করে হাঁটতে পারে না ৷ তাই অচিরেই বিলোপ হয় মনমোহনের বহুল প্রশংসিত 'ক্রিকেট কূটনীতি' ৷

আরও পড়ুন:

হায়দরাবাদ, 27 ডিসেম্বর: ধীরস্থির, মিতভাষী অথচ চরম বিচক্ষণ ৷ তিনি এতটাই স্বল্প কথার মানুষ ছিলেন বিরোধীরা তাঁকে কটাক্ষ করে বলত 'মৌন প্রধানমন্ত্রী' ৷ তবে স্বল্প কথার মানুষ হলেও দেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে মনমোহন সিং যা করে গিয়েছেন তার প্রভাব বিরাট ৷ দেশের অর্থনৈতিক সংস্কারের পুরোধা প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী প্রয়াত হয়েছেন বৃহস্পতিবার ৷

92 বছর বয়সে নয়াদিল্লি এইমসে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি ৷ তবে রয়ে গেল তাঁর কাজ ৷ আর্থিক সংস্কারের পাশাপাশি ভারতের বিদেশনীতিতেও বদল এনেছিলেন তিনি ৷ শত্রুদেশ পাকিস্তানের সঙ্গে নয়া বিদেশনীতি স্থাপনে বাইশ গজকে হাতিয়ার করেছিলেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ৷ 2004-2014 দেশের প্রধানমন্ত্রীর পদে সামলানো মনমোহন সিংয়ের 'ক্রিকেট কূটনীতি' আজও প্রশংসিত হয় অনুরাগীদের মুখে মুখে ৷

  • পাকিস্তানের সঙ্গে শান্তি সমঝোতার চেষ্টা: নানা ঝড়ঝাপ্টা সত্ত্বেও তাঁর সময়কালে পাকিস্তানের সঙ্গে শাস্তি স্থাপনে বারংবার সচেষ্ট হয়েছিলেন মনমোহন সিং ৷ কিন্তু তাঁর প্রচেষ্টা যে বিফলে যায় তাঁর জ্বলন্ত উদাহরণ 2008 সালের মুম্বই হামলা ৷ পাক মুলুকের সঙ্গে মনমোহন সিংয়ের শান্তি স্থাপনের উদ্যোগ ভূলুণ্ঠিত হয় ৷ মুম্বই হামলা যে তাঁকে ভীষণভাবে নাড়া দিয়েছিল সেটা সংবাদসংস্থা পিটিআই'কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ঘনিষ্ঠ তথা তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীর (যুগ্ম) সচিব পঙ্কজ সরনকে জানিয়েছিলেন মনমোহন ৷
  • বিশ্বকাপে আমন্ত্রণ জানিয়ে গিলানিকে চিঠি: মুম্বই হামলা সাময়িকভাবে নাড়া দিলেও পাকিস্তানের সঙ্গে শান্তি সমঝোতার রাস্তা থেকে সরেননি মনমোহন ৷ 26/11'র তিনবছর পর অর্থাৎ, 2011 সালে ভারতের মাটিতে বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে তৎকালীন পাক প্রধানমন্ত্রী ইউসুফ রাজা গিলানিকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন মনমোহন সিং ৷ মোহালিতে হাইভোল্টেজ ভারত-পাক সেমিফাইনাল দেখতে আসার জন্য গিলানিকে চিঠি লিখেছিলেন তিনি ৷ মনমোহনের চিঠিতে সাড়া দিয়ে গিলানি পৌঁছে গিয়েছিলেন মোহালিতে ৷ পাশাপাশি বসে ম্য়াচ দেখেছিলেন দুই দেশের দুই রাষ্ট্রনেতা ৷ যা মনমোহনের 'ক্রিকেট কূটনীতি' হিসেবে পরিচিতি পেয়েছিল ৷ শুধুই কি তাই? ম্যাচের পর যৌথ বিবৃতিতে 'সন্ত্রাসবাদকে মূল হুমকি' বলেছিলেন মনমোহন ও গিলানি ৷
  • পরবর্তী সময়ে ধোপে টেকেনি মনমোহনের নীতি: মনমোহন সিং পরবর্তী সময় অবশ্য ক্রিকেটকে মাধ্যম করে দু'দেশের মধ্যে শান্তি আলোচনার বিষয়টি ধোপে টেকেনি ৷ কারণ মনমোহন সিং পরবর্তী ভারতের সরকার বিশ্বাস করে শান্তি আলোচনা এবং সন্ত্রাস কখনোই হাত ধরাধরি করে হাঁটতে পারে না ৷ তাই অচিরেই বিলোপ হয় মনমোহনের বহুল প্রশংসিত 'ক্রিকেট কূটনীতি' ৷

আরও পড়ুন:

Last Updated : 17 hours ago
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.