কলকাতা, 14 জানুয়ারি: ইস্টবেঙ্গল জনতা মোহনবাগানের বড় ম্যাচ জয়কে যতই কটাক্ষ করুক না কেন, লাল-হলুদকে পেনাল্টি না-দেওয়ার সিদ্ধান্ত সঠিকই ছিল ৷ রেফারি আর ভেঙ্কটেশের মাথায় হাত রেখে ঘোষণা ফেডারেশনের চিফ রেফারিং অফিসার ট্রেভর কেটেলের ৷
শনিবার গুয়াহাটিতে বড় ম্য়াচের প্রথমার্ধে লাল-হলুদ আক্রমণভাগের ফুটবলার পিভি বিষ্ণুর একটি শট মোহনবাগান বক্সে বিপক্ষ এক ডিফেন্ডারের হাতে লাগে ৷ ইস্টবেঙ্গল পেনাল্টির আবেদন করলেও তা নাকচ হয় ৷ 0-1 গোলে হেরে যাওয়া ইস্টবেঙ্গল সমর্থকেরা ম্যাচ শেষে ক্ষোভ উগরে দিতে থাকেন রেফারির বিরুদ্ধে ৷ সাংবাদিক সম্মেলনে রেফারিকে একহাত নেন লাল-হলুদ কোচ অস্কার ব্রুজোঁও ৷ ম্য়াচে রেফারির সিদ্ধান্তের ব্য়াখ্যা দিতে সোমবার নয়াদিল্লি থেকে ভার্চুয়াল সাংবাদিক সম্মেলন করেন ট্রেভর কেটেল ৷
বিতর্কিত ইস্যু নিয়ে প্রশ্নের উত্তরে কেটেল বলেন, "হ্যান্ডবল নিয়ে আমাদের ভুল ধারণা রয়েছে। বল হাতে লেগেছে নাকি হাত বলে লেগেছে, এই বিষয়টা দেখা দরকার আগে। পেনাল্টি বক্সের ভিতরে বল হাতে লাগলে রেফারির মনে প্রশ্ন জাগে সংশ্লিষ্ট ফুটবলারের হাত কি ন্যায্য অবস্থানে ছিল? যদি ন্যায্য অবস্থান বা জাস্টিফায়েড পজিশনে থাকে তাহলে তা হ্যান্ডবল নয়। সেদিনের ম্যাচে এই বিতর্কিত ঘটনার পরে আমি রিভিউ প্যানেলের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে কথা বলি। সেখানে প্রাক্তন ফিফা ম্যাচ অফিসিয়াল যেমন রয়েছেন, তেমনই এএফসির বর্তমান রেফারি অ্যাসেসররাও রয়েছেন। তাঁরা খুব ভালো করে সেদিনের ঘটনা দেখার পরে স্থির সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছেন যে ওটা হ্যান্ডবল ছিল না এবং রেফারি খেলা চালু রেখে সঠিক সিদ্ধান্তই নিয়েছেন।"
রেফারিং নিয়ে অভিযোগ করায় ম্যাচ শেষে মোহনবাগান কোচ হোসে মোলিনা ও ইস্টবেঙ্গল কোচ অস্কার ব্রুজোঁর মধ্যে পরোক্ষে বাগযুদ্ধ শুরু হয়ে যায়। মোলিনা বলেন, "আমি অনেক কাছে ছিলাম। আমার মনে হয়নি ওটা পেনাল্টি ছিল। ও (অস্কার ব্রুজোঁ) অনেকটা দূরে ছিল, তবুও তাঁর মনে হয়েছে ওটা পেনাল্টি। হয়তো টিভিতে দেখে ও এমন মন্তব্য করেছে।" যদিও কেবল ডার্বিতে নয় ৷ চলতি আইএসএলজুড়ে অনেক সিদ্ধান্ত ইস্টবেঙ্গলের বিপক্ষে গিয়েছে বলে খালি চোখে মনে হয়েছে ৷ ফলত রেফারিং নিয়ে অভিযোগ জানিয়ে এআইএফএফ'কে চিঠি দিয়েছে লাল-হলুদ।
শুধু ইস্টবেঙ্গল নয়, আইএসএলের অন্যান্য দলগুলোও দেশের টপ টিয়ার লিগে রেফারিংয়ের মান নিয়ে সরব। রেফারির ভুল সিদ্ধান্তে ভুগতে হচ্ছে বলে পঞ্জাব এফসি ইতিমধ্যেই সুর চড়িয়েছে রেফারিং নিয়ে। সবমিলিয়ে ট্রেভর কেটেল রেফারিদের হয়ে ব্যাট ধরলেও তাতে সমস্যা আদৌ মিটল কি? প্রশ্ন রয়েই যাচ্ছে ৷