কলকাতা, 11 মার্চ: প্রথমার্ধে তিন গোল হজমের পর রবিবার সমর্থকদের পাশাপাশি ইস্টবেঙ্গল সাজঘরেও গ্রাস করেছিল পাঁচ গোলের আতঙ্ক ৷ ম্যাচের পর স্বীকার করে নিলেন কোচ কার্লেস কুয়াদ্রাত ৷ 1975 থেকে 5-0 জয়ের রেকর্ড আজও অক্ষুণ্ণ রেখেছে লাল-হলুদ ৷ রবিবার সেই রেকর্ডে থাবা বসাতে পারত কিংবা ছাপিয়ে যেতে পারত মোহনবাগান ৷ হয়নি কারণ, দ্বিতীয়ার্ধে সায়ন বন্দ্যোপাধ্যায়, পিভি বিষ্ণুদের আগ্রাসী ফুটবল ৷ সবমিলিয়ে হাজারো হতাশার ভিড়ে বড় ম্যাচে রবিবার দ্বিতীয়ার্ধে দলের ছেলেদের লড়াইয়ে খুশি স্প্যানিয়ার্ড ৷ জানালেন, দ্বিতীয় গোলটা চলে এলে অন্যকিছু হতে পারত ৷
সেইসঙ্গে প্লে-অফের আশা এখনও ছাড়ছেন না ইস্টবেঙ্গল কোচ। ম্যাচ শেষে জানালেন, প্রথমার্ধে তিন গোল হজমই ম্যাচ শেষ করে দিয়েছিল। যদিও অধিনায়ক পেনাল্টি নষ্টের জন্য ক্লেইটন সিলভাকে কাঠগড়ায় দাঁড় করাতে রাজি নন তিনি ৷ এমনকী পেনাল্টি নষ্ট যে ম্যাচের টার্নিং পয়েন্ট এমনটাও মানতে নারাজ কুয়াদ্রাত ৷ বরং দলের অধিনায়ককের ঢাল করে কুয়াদ্রাত বলেছেন, "পেনাল্টি নষ্ট ম্যাচে হতেই পারে। দ্বিতীয়ার্ধে ছেলেরা অনেকটাই খেলায় ফিরে এসেছিল। ক্রেসপো অসাধারণ গোল করেছে। দ্বিতীয় গোল চলে এলে ম্যাচের ফলাফল অন্যরকম হতে পারত।"
দ্বিতীয়ার্ধে পরিবর্ত হিসেবে নেমে বিষ্ণু, সায়নরা মোহনবাগানকে একপ্রকার ব্যাকফুটে ঠেলে দিয়েছিল। যা দেখে তরুণ প্রতিভাদের প্রশংসা কুয়াদ্রাতের কণ্ঠে। লাল-হলুদের হেডস্যর বলছেন, "ওরা দ্বিতীয়ার্ধে নেমে খেলার গতিপ্রকৃতি অনেকটাই ঘুরিয়ে দিতে পেরেছিল। ওরা ভবিষ্যতের তারকা। দলের ছেলেদের পারফরম্যান্সে আমি গর্বিত।" হলুদ কার্ড দেখে পরের ম্যাচে আবারও ডাগ-আউটে নেই তিনি ৷ ম্যাচ পরবর্তী সাংবাদিক সম্মেলনে যদিও রেফারিং নিয়ে একটি বাক্যও উচ্চারণ করেননি কুয়াদ্রাত ৷
ডার্বি হেরে 19 ম্যাচে 18 পয়েন্ট নিয়ে এই মুহূর্তে লিগ টেবলে দশম স্থানে ইস্টবেঙ্গল। আশা কার্যত শেষ প্লে-অফের। কিন্তু লাল-হলুদ কোচ তা মানতে রাজি নন। এখনও প্লে-অফের ব্যাপারে কুয়াদ্রাত আশাবাদী। তিনি বলছেন, "বাকি তিন ম্যাচে জয় পেলে নয় পয়েন্ট পাব। আশা করি এই মরশুমে 27 পয়েন্ট নিয়ে প্লে-অফে পৌঁছতে পারব।" কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, ইস্টবেঙ্গলের যা হতশ্রী দশা, তাতে তিন ম্যাচে জয়ের স্বপ্ন কোচ দেখছেন কী করে?
আরও পড়ুন: