কলকাতা, 16 ফেব্রুয়ারি: মোহনবাগান সুপার জায়ান্টের বিরুদ্ধে দশটি সাক্ষাতে একটি ড্র, জয় নেই একটিতেও ৷ অবশেষে মহামেডান স্পোর্টিংকে হারিয়ে আইএসএলে প্রথম ডার্বি জয়ের স্বাদ পেল ইস্টবেঙ্গল ৷ হোক না মিনি ডার্বি, সম্মানের লড়াই জিতে সুপার সিক্সের সামান্য আশাটুকুও বেঁচে থাকল লাল-হলুদের ৷ যুবভারতীতে রবিবার সাদা-কালো ব্রিগেডকে 3-1 গোলে হারাল অস্কার ব্রুজোঁর ছেলেরা ৷ ইস্টবেঙ্গলের হয়ে গোল করলেন নাওরেম মহেশ সিং, সল ক্রেসপো এবং ডেভিড লালহ্লানসাঙ্গা ৷
সুন্দর ফুটবল নয়, কাজ চালানোর ফুটবল খেলে এদিন জয় ইস্টবেঙ্গলের। এই জয়ের ফলে 20 ম্য়াচে 21 পয়েন্টে পৌঁছলেও লিগ টেবলে অবস্থান বদলাল না ইস্টবেঙ্গলের। এগারো বনাম তেরোর লড়াই। বিজ্ঞাপনী চমকের জন্য 'মিনি ডার্বি' বলা হলেও তাতে দুই প্রধানের সমর্থকরা মাঠবিমুখ। ম্য়াচের আগে সমর্থকদের বিক্ষোভকে অনুপ্রেরণা বলে দলকে জ্বলে ওঠার বার্তা দিয়েছিলেন অস্কার ব্রুজো। পাল্টা ইস্টবেঙ্গল ম্যাচকে 'সম্মানের লড়াই' বলেছিলেন সাদা-কালো কোচ মেহরাজউদ্দিন ওয়াডু। তবে কোচেদের কথায় ফুটবলাররা মরিয়া হয়েছেন বলা যাবে না। তা সত্ত্বেও ম্যাচের রাশ ছিল ইস্টবেঙ্গলের পায়ে।
ফ্রাঙ্কা-অ্যালেক্সিস-রেমসাঙ্গাদের জোনাল মার্কিংয়ে আটকে ইস্টবেঙ্গল প্রতিপক্ষকে সেভাবে নড়তে দেয়নি। অস্কার ব্রুজোঁ এদিন দিমিত্রি দিয়ামান্তোকোসের সঙ্গে মেসি বাউলিকে জুড়ে দিয়েছিলেন। ক্যামেরুনের স্ট্রাইকার অনেক বেশি নড়াচড়া করায় সাদা-কালো রক্ষণ অস্বস্তিতে ছিল। 27 মিনিটে পিভি বিষ্ণুর পাস থেকে প্রথম গোল নাওরেম মহেশের। তবে প্রথম গোলের আগে অন্তত দু'বার গোলের পরিস্থিতি তৈরি করলেও তা থেকে ফায়দা তুলতে ব্যর্থ গ্রিক স্ট্রাইকার।
বিরতির পরে দ্বিতীয় গোল ইস্টবেঙ্গলের। 65 মিনিটে মেসি বাউলির পাস থেকে দ্বিতীয় গোল সল ক্রেসপোর। এই গোলের সময় মেসি স্কিমারের ভূমিকা পালন করলেন। দু'গোলে পিছিয়ে থাকা অবস্থা থেকে মহামেডানের প্রত্যাঘাত। 68 মিনিটে পরিবর্ত হিসেবে নামা রবি হাঁসদার পাস থেকে ফ্রাঙ্কার গোল। সন্তোষ ট্রফি জয়ের নায়ক আইএসএলে মঞ্চে যথেষ্ট সপ্রতিভ। ভাগ্য সুপ্রসন্ন থাকলে এদিন গোলও পেতে পারতেন।
JOY EAST BENGAL ❤️💛#ISL #MSCEBFC pic.twitter.com/p0vXskIU09
— East Bengal FC (@eastbengal_fc) February 16, 2025
মহামেডান যখন ম্যাচে ফেরার কথা ভাবছে তখন ইস্টবেঙ্গলের হয়ে তৃতীয় গোল ডেভিডের। দুরন্ত সাইডভলিতে পুরনো দলের বিরুদ্ধে গোল করলেন তিনি ৷ অন্তত দু'বার গোলের খুব কাছ থেকে ফিরে এল মহামেডান। প্রত্যাবর্তন ম্য়াচে একটি গোললাইন সেভ করলেন আনোয়ার আলি ৷ নইলে ম্য়াচের ফল অন্য হতেই পারত ৷ সে যাইহোক দু'ম্য়াচ পর জয়ে সুপার সিক্সের সূক্ষ্ম আশা বেঁচে রইল লাল-হলুদে ৷