নিউজার্সি, 25 জুন: কোপা আমেরিকায় জয় দিয়ে শুরু করেছে আর্জেন্তিনা ৷ যদিও ফিফা ব়্যাঙ্কিংয়ে 48 নম্বরে থাকা কানাডার বিরুদ্ধে জয়টা প্রত্যাশিতই ছিল ৷ কিন্তু দ্বিতীয় ম্যাচেই কঠিন লড়াইয়ে ‘লা আলবিসেলেস্তে’ ৷ মেটলাইফ স্টেডিয়ামে চিলির বিরুদ্ধে নামছে বিশ্বজয়ীরা ৷ কোপা আমেরিকার সাম্প্রতিক ইতিহাসে প্রতিবেশী দেশই মেসি’দের সবচেয়ে কঠিন গাঁট ৷
2015 ও 2016 কোপা আমেরিকার ফাইনালে উঠেও চিলির কাছে হারতে হয়েছিল মেসি’দের ৷ 2016 ফাইনালে এই মেটলাইফ স্টেডিয়ামেই স্পটকিক থেকে বল জালে জড়াতে পারেননি খোদ মেসি ৷ কাপ নিয়ে গিয়েছিলেন অ্যালেক্সিজ সাঞ্চেজ, আর্তুরো ভিদালরা ৷ রাগে, হতাশায় দেশের জার্সি থেকে অবসর নিয়েছিলেন ‘এলএম10’ ৷ আট বছর বাদে একই স্টেডিয়ামে চিলির বিরুদ্ধে নামছেন মেসিরা ৷
তখনকার আর্জেন্তিনা ও এখনকার আর্জেন্তিনার মধ্যে ফারাক শুধু একটি কোপা আমেরিকা খেতাব, একটি ফাইনালিসিমা ও একটি বিশ্বকাপ ৷ আরেকটি জায়গায় বদলে গিয়েছে আর্জেন্তিনা ৷ সের্জিয়ো রোমেরোর থেকে স্পটকিক সেভ করায় দিবু মার্টিনেজের দক্ষতা ও পরিসংখ্যান খানিক বেশি ৷ ফলে ম্যাচ টাইব্রেকারে গড়ালে বা বিপক্ষ পেনাল্টি পেলেও খানিক স্বস্তিতে থাকে নীল-সাদা জার্সিধারীরা ৷
টানা দ্বিতীয়বার কোপা ঘরে তুলতে আর্জেন্তিনার ভরসা সেই মেসি ৷ মারাদোনা-পরবর্তী যুগে যিনি আর্জেন্তিনার জয়ধ্বজা ওড়ানোর কাজটা নিপূণভাবে করে যাচ্ছেন ৷ বিশ্বকাপের পর এবার নিজের সপ্তম কোপা আমেরিকায় দেশকে 16বার লাতিন আমেরিকা সেরা করার লক্ষ্যে নেমেছেন ৷ কানাডা ম্যাচ জিতে আত্মবিশ্বাসের তুঙ্গে রয়েছে লিয়োনেল স্কালোনির ছেলেরা ৷ অন্যদিকে প্রথম ম্যাচে পেরুর কাছে আটকে গিয়েছে চিলি ৷ ফলে বৃহস্পতিবার খানিক এগিয়ে থেকেই শুরু করবে ‘মেসি অ্যান্ড কোং’ ৷