কলকাতা, 21 জানুয়ারি: একুশে ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের মঞ্চ থেকে আধার কার্ড প্রসঙ্গে আরও একবার সরব হলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বুধবার সন্ধ্যায় তিনি বলেন, "আধার নিয়ে কেন্দ্রের চক্রান্ত আমরা রুখে দিলাম। কারণ এটা বাংলা। এটা অন্য জায়গা নয়।" মুখ্যমন্ত্রীর অভিযোগ, এনআরসি চালু করার লক্ষ্য নিয়ে, ডিটেনশন ক্যাম্প করতে চেয়েই আধার নিষ্ক্রিয় করে দেওয়া হয়েছিল।
তিনি এদিন প্রশ্ন তুলেছেন, সমস্ত মতুয়াদের আধার কার্ড ডিঅ্যাক্টিভেট করে দেওয়া হল কোন অধিকারে! কেউ কোনও কথা কেন জানতে পারল না। এমন করার অর্থ কি! মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, "কারও আধার কার্ড বাতিল করে দেওয়া মানে তিনি বিদেশি হয়ে গেলেন। এরপর পাঁচ বছর ধরে তাঁদের শুনতে হবে তাঁরা বিদেশি। তারপর ওরা (কেন্দ্রীয় সরকার) বলবে একটা কার্ড দিয়ে দেব। সবটাই রাজনীতি, ভোটের খেলা।"
অন্য একটি প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, "আমি ভোটের অংকে বিশ্বাস করি না। মানবিকতার অংকে বিশ্বাস করি। অধিকারের অংকে বিশ্বাস করি।" প্রসঙ্গত আধার নিষ্ক্রিয় হওয়ার খবর চাউর হতেই পাশে থাকার বার্তা দেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেছিলেন, "যাঁদের আধার নিষ্ক্রিয় হয়েছে প্রয়োজনে তাঁদের নাগরিক পরিষেবা দিতে বিকল্প কার্ড দেবে রাজ্য সরকার।" এখানেই শেষ নয় ৷ রাজ্য সরকারের তরফ থেকে আধার নিয়ে ভুক্তভোগী মানুষদের সমস্যা সমাধানে একটি পোর্টাল তৈরি করার কথাও মমতা ঘোষণা করেন। দেওয়া হয় একটি হেল্পলাইন নম্বর।
আর এসবের মাঝেই কেন্দ্রীয় সরকারের তরফ থেকে বলা হয়, প্রযুক্তিগত ত্রুটি থেকেই এই ধরনের ঘটনা ঘটছে। রাজ্য বিজেপির নেতা তথা কেন্দ্রীয় জাহাজ মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী শান্তনু ঠাকুরও সাংবাদিকদের এই একই কথা বলেন। বেশ কিছু নিষ্ক্রিয় আধার পরবর্তীতে সক্রিয় হবার খবরও পাওয়া যায়। এদিন এই সামগ্রিক পর্ব নিয়ে সরব হয়েছেন মমতা। তাঁদের চাপের কারণেই যে কেন্দ্র পিছু হটতে বাধ্য হয়েছে, তা বোঝানোর চেষ্টাও করেছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। একই সঙ্গে এটাও জানাতে ভোলেননি আধার নিষ্ক্রিয় করার ব্যাপারটি আদতে ভোট রাজনীতি ছাড়া আর কিছু নয়।
আরও পড়ুন: