দত্তপুকুর, 19 ফেব্রুয়ারি: গত লোকসভা ও বিধানসভা নির্বাচনে বারাসত 1 নম্বর ব্লকের দত্তপুকুর 2 নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের একাধিক বুথে তৃণমূলকে হারতে হয়েছে ৷ আবার পঞ্চায়েত নির্বাচনে সেই বুথগুলিতেই জয় পেয়েছে শাসকদল ৷ এই বিষয়টি শীর্ষ নেতৃত্বের নজর যে এড়ায়নি, তা আজ স্পষ্ট করে দিলেন রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষ ৷ কিন্তু, কেন এমনটা হচ্ছে ? তারও ব্যাখ্যা দিলেন তিনি ৷ সঙ্গে ইঙ্গিত দিলেন, প্রয়োজনে ফেরিওয়ালার বদল হবে ৷ অর্থাৎ, রাজ্য সরকারের উন্নয়নকে মানুষের কাছে সঠিকভাবে পৌঁছে দিতে না পারলে প্রয়োজনে বুথের নেতৃত্বে বদল করা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি ৷
লোকসভা নির্বাচনের আগে প্রতিটি বুথে কর্মিসভা করছেন সংশ্লিষ্ট এলাকার বিধায়করা ৷ সোমবার 2 নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতে কর্মিসভায় তিনি বলেন, "একটা বুথে আমরা লোকসভা আর বিধানসভা ভোটে হারছি ৷ কিন্তু, পঞ্চায়েত ভোটে সেখান থেকে জিতছি ৷ এটা কেন হবে ? একই তো জিনিস ৷ এর কারণ, ফেরিওয়ালা মানুষের কাছে প্রোডাক্ট তুলে ধরতে পারছেন না ৷ ফেরিওয়ালা কে ? আপনারা, আমাদের বুথের নেতা ও কর্মীরা ৷ আর প্রোডাক্ট হলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ তাঁর উন্নয়নকে আপনাদের মতো ফেরিওয়ালারা ঠিক মতো মানুষের কাছে তুলে ধরতে পারছেন না ৷"
কোথায় ঘাটতি থাকছে ? তাও এ দিন উল্লেখ করেছেন রথীন ঘোষ ৷ তিনি বলেন, "একই প্রোডাক্ট, একটা বুথে মানুষ ভালোভাবে গ্রহণ করছে ৷ আর অন্য বুথে মানুষ সেটাকে গ্রহণ করছে না ৷ কেন এটা হচ্ছ ? কারণ আপনারা যাঁরা ফেরিওয়ালা, তাঁরা উন্নয়নমূলক প্রকল্পগুলিকে মানুষের দরজায় পৌঁছে দিতে ৷" মঞ্চ থেকে এই কথাগুলি বললেও, সেখানে বুথ স্তরে নেতৃত্বে বদল নিয়ে সরাসরি কোনও কথা বলেননি তিনি ৷
রথীন ঘোষ জানিয়েছেন, প্রতি বুথ থেকে মূল সংগঠনের দু’জন এবং মহিলা ও যুব তৃণমূলের (40 বছরের নিচে) একজন করে নেতা, অর্থাৎ মোট 4 জনের নাম শীর্ষ নেতৃত্বের কাছে পাঠাতে হবে ৷ এই চারজনের মধ্যেই কয়েকজনকে আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে বুথ ভিত্তিক প্রচারে কাজে লাগানো হবে বলে জানিয়েছেন তিনি ৷ পরে সংবাদ মাধ্যমের সামনে তিনি দাবি করেন, প্রোডাক্ট অর্থাৎ, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তাঁর উন্নয়নে কোনও সমস্যা নেই ৷ সমস্যা সেই সব উন্নয়নের বার্তা মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়ার ক্ষেত্রে ৷ তাই প্রয়োজন পড়লে 'ফেরিওয়ালা' বদল করতে হবে ৷
আরও পড়ুন: