আসানসোল, 8 মার্চ: তিন লক্ষ ভোটে আসানসোলে লোকসভা আসন থেকে উপ-নির্বাচনে জয়ী হয়েছিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের শত্রুঘ্ন সিনহা । এরপর গত আড়াই বছর ধরে তাঁর সাংসদ কোটার টাকায় নানা কাজ করেছেন । তারই পরিসংখ্যান তুলে ধরলেন সাংসদ নিজেই ।
প্রায় 13 কোটি টাকার উন্নয়নমূলক কাজ তিনি আসানসোল লোকসভার জন্য গত আড়াই বছরে করেছেন । আর এই পরিসংখ্যান দিতে গিয়ে পার্শ্ববর্তী সংসদীয় এলাকার সাংসদ এসএস আলুওয়ালিয়ার সমালোচনা করলেন দুর্গাপুর পূর্বের বিধায়ক প্রদীপ মজুমদার । কার্যত এক সাংসদ শত্রুঘ্ন সিনহাকে পাশে বসিয়ে আরেক সাংসদের সমালোচনা করলেন মন্ত্রী প্রদীপ মজুমদার ।
শুক্রবার প্রদীপ মজুমদার আসানসোল সার্কিট হাউসে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বলেন, "আমি পার্শ্ববর্তী এলাকার বিধায়ক আপনারা জানেন । আমাদের এলাকায় অন্য আরেকটি দলের একজন সাংসদ আছেন । আমরা তাঁর দ্বারা গত 5 বছরে একটি বাতিস্তম্ভও পাইনি ।"
শুধু তাই নয়, তিনি আরও বলেন, "আমি দুঃখ করে বলি কেন্দ্রীয় সরকারের বেশ কিছু প্রকল্প আছে, যেখানে সাংসদের অনুমোদনের প্রয়োজন হয় । আমাদের সাংসদ 76 হাজার ভোটে জনসমর্থন পেয়েছিলেন । কিন্তু তারপরেও একটি গুরুত্বপূর্ণ রাস্তার কাজের অনুমোদন তিনি করতে পারেননি । প্রধানমন্ত্রী গ্রামীণ সড়ক যোজনায় এই রাস্তাটি হতো । কিন্তু সাংসদ অনুমোদন করে দেননি ।’’
তিনি আরও বলেন, ‘‘দুর্গাপুরে ভালুককোন্দা থেকে গোপালপুর মিতালি সংঘ পর্যন্ত এই 5 কিলোমিটার রাস্তার সংস্কারের জন্য আসিবাসীরা জাতীয় সড়ক অবরোধও করেছিল । কিন্তু সাংসদের অনুমোদনের জন্য 3 বছরের অপেক্ষা করেও রাস্তা আর হয়নি । শেষপর্যন্ত রাজ্য সরকারের কোষাগার থেকে অর্থ খরচ করে মুখ্যমন্ত্রী এই রাস্তা নির্মাণ করে দিয়েছেন ।" প্রদীপ মজুমদারের আরও দাবি, সাংসদ অনুমোদন করলেই প্রধানমন্ত্রী গ্রামীণ সড়ক যোজনায় ওই রাস্তাটি নির্মিত হতো । কিন্তু সংসদের অবহেলা ও গাফিলতির কারণে রাস্তাটি তৈরি হতে পারেনি ।
আরও পড়ুন: