ETV Bharat / politics

মুখ খুললেই বিস্ফোরণ হবে, কুণালের ‘বিদ্রোহের’ মাঝে ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য ফিরহাদের - TMC

Firhad Hakim Comment on Kunal Ghosh: তৃণমূল কংগ্রেসের অন্দরে কার্যত বিদ্রোহ ঘোষণা করেছেন কুণাল ঘোষ ৷ সরাসরি তোপ দেগেছেন কলকাতা উত্তরের সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের বিরুদ্ধে ৷ দুর্নীতি জড়িত থাকার অভিযোগ তুলে সুদীপের গ্রেফতারির দাবিও করেছেন কুণাল ৷ এই নিয়ে ফিরহাদ হাকিমের বক্তব্য, তিনি মুখ খুললেই বিস্ফোরণ হবে ৷

Firhad Hakim
Firhad Hakim
author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Mar 2, 2024, 5:15 PM IST

Updated : Mar 2, 2024, 5:49 PM IST

মুখ খুললেই বিস্ফোরণ হবে, কুণালের ‘বিদ্রোহের’ মাঝে ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য ফিরহাদের

কলকাতা, 2 মার্চ: লোকসভা ভোট যখন দোরগোড়ায়, তখন শহর কলকাতায় বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকেই অস্বস্তিতে তৃণমূল কংগ্রেস ৷ প্রথমে নাম না করে, পরে একেবারে সরাসরি কলকাতা উত্তরের সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে তোপ দেগে চলেছেন তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা কুণাল ঘোষ ৷ এই পরিস্থিতি আচমকাই ফিরহাদ হাকিমের মন্তব্য নিয়ে জলঘোলা শুরু হয়েছে ৷

রাজ্যের মন্ত্রী, কলকাতার মেয়র, সেই সঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেসের শীর্ষসারির নেতা ফিরহাদ হাকিম শনিবার বলেন, "দেখুন এই নিয়ে আমি কিছু বলতে চাই না । বলতে গেলে আরও একটা বিস্ফোরণ হবে ।" তিনি খুব বেশি কিছু বলেননি যদিও ৷ তার পরও যেটুকু বলেছেন, তা নিয়ে রাজনীতির অন্দরে বিস্ফোরণ হতে বাধ্য ৷ হয়েছেও তাই৷ প্রশ্ন উঠেছে, কী এমন বলতে পারেন ফিরহাদ হাকিম, যা বললে একেবারে বিস্ফোরণ হয়ে যাতে পারে ! উত্তর খুঁজছে রাজনৈতিক মহল ৷

যদিও তৃণমূলের অন্দরের কাজিয়ার আসল কারণ গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকেই খুঁজছে রাজনৈতিক মহল ৷ ওই সন্ধ্যায় কুণাল ঘোষ সোশাল মিডিয়ায় নাম না করে দলেরই এক নেতার বিরুদ্ধে তোপ দাগেন ৷ পরদিন শুক্রবার জানিয়ে দেন যে তিনি আর তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সাধারণ সম্পাদকের পদে থাকতে চান না ৷ এমনকী মুখপাত্রের পদ থেকেও ইস্তফার কথা ঘোষণা করেন ৷

কেন তিনি এমন পদক্ষেপ করছেন, তা নিয়ে জল্পনা শুরু হয়ে যায় ৷ যেদিন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বাংলায় সভা করবেন, সেদিনই কুণালের এমন পদক্ষেপে অনেকে দলত্যাগের ‘আভাস’ দেখতে শুরু করেন ৷ কুণাল অবশ্য জানিয়ে দেন তিনি তৃণমূলেই আছেন ও থাকবেন ৷

এর পর তিনি কলকাতা উত্তরের সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে একের পর এক তোপ দাগতে শুরু করেন ৷ সুদীপ লোকসভায় তৃণমূলের দলনেতা ৷ তার পরও বিজেপির হয়ে সুদীপ কাজ করেন বলে অভিযোগ করেন কুণাল ৷ শনিবার সকালে আবার সুদীপের বিরুদ্ধে দুর্নীতিকে জড়িত থাকার অভিযোগ তুলে সরব হন তিনি ৷ সিবিআই ও ইডি-কে পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখতে বলেন ৷ না হলে আদালতে যাওয়ার হুঁশিয়ারিও দেন ৷

সুদীপ বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের গ্রেফতারির দাবিও তোলেন কুণাল ৷ আর সেই প্রসঙ্গেই এ দিন ফিরহাদ হাকিম বলেন, "দেখুন এই নিয়ে আমি কিছু বলতে চাই না । বলতে গেলে আরও একটা বিস্ফোরণ হবে ।" বাকি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, "আমি কিছু শুনিনি ৷ শুনলে বলব ।"

রাজনৈতিক মহলের প্রশ্ন, কলকাতা উত্তর লোকসভা আসনে তৃণমূলের প্রার্থী নিয়েই দ্বন্দ্ব কুণালের বক্তব্যের মাধ্যমে সামনে চলে এল ? এটা কি তৃণমূলের মূল সংগঠন ও যুব সংগঠনের মধ্যে লড়াই ? ওই আসনে সুদীপের বদলে কি অন্য কেউ প্রার্থী হতে চান ? লড়াই যে কারণেই হোক, লোকসভা নির্বাচন ঘোষণার মুখে কুণাল ঘোষের বিভিন্ন বক্তব্য শাসক দলের অন্দরে যে অস্বস্তি বাড়িয়েছে, তা বলাই বাহুল্য ৷

আরও পড়ুন:

  1. কাজ চালানো সম্ভব নয়, পদ ছাড়লেন তৃণমূলে 'মিসফিট' কুণাল; সুদীপকে তুলনা শাহজাহানের সঙ্গে
  2. ভোটে টিকিট পাওয়া নিয়ে সংশয়ে সৌগত, প্রার্থী হলে জয় সম্বন্ধেও সন্দিহান নেতা
  3. 'তৃণমূল আজ যা ভাবে, বাকিরা কাল'; সন্দেশখালিতে বিজেপিকে কটাক্ষ ফিরহাদের

মুখ খুললেই বিস্ফোরণ হবে, কুণালের ‘বিদ্রোহের’ মাঝে ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য ফিরহাদের

কলকাতা, 2 মার্চ: লোকসভা ভোট যখন দোরগোড়ায়, তখন শহর কলকাতায় বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকেই অস্বস্তিতে তৃণমূল কংগ্রেস ৷ প্রথমে নাম না করে, পরে একেবারে সরাসরি কলকাতা উত্তরের সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে তোপ দেগে চলেছেন তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা কুণাল ঘোষ ৷ এই পরিস্থিতি আচমকাই ফিরহাদ হাকিমের মন্তব্য নিয়ে জলঘোলা শুরু হয়েছে ৷

রাজ্যের মন্ত্রী, কলকাতার মেয়র, সেই সঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেসের শীর্ষসারির নেতা ফিরহাদ হাকিম শনিবার বলেন, "দেখুন এই নিয়ে আমি কিছু বলতে চাই না । বলতে গেলে আরও একটা বিস্ফোরণ হবে ।" তিনি খুব বেশি কিছু বলেননি যদিও ৷ তার পরও যেটুকু বলেছেন, তা নিয়ে রাজনীতির অন্দরে বিস্ফোরণ হতে বাধ্য ৷ হয়েছেও তাই৷ প্রশ্ন উঠেছে, কী এমন বলতে পারেন ফিরহাদ হাকিম, যা বললে একেবারে বিস্ফোরণ হয়ে যাতে পারে ! উত্তর খুঁজছে রাজনৈতিক মহল ৷

যদিও তৃণমূলের অন্দরের কাজিয়ার আসল কারণ গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকেই খুঁজছে রাজনৈতিক মহল ৷ ওই সন্ধ্যায় কুণাল ঘোষ সোশাল মিডিয়ায় নাম না করে দলেরই এক নেতার বিরুদ্ধে তোপ দাগেন ৷ পরদিন শুক্রবার জানিয়ে দেন যে তিনি আর তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সাধারণ সম্পাদকের পদে থাকতে চান না ৷ এমনকী মুখপাত্রের পদ থেকেও ইস্তফার কথা ঘোষণা করেন ৷

কেন তিনি এমন পদক্ষেপ করছেন, তা নিয়ে জল্পনা শুরু হয়ে যায় ৷ যেদিন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বাংলায় সভা করবেন, সেদিনই কুণালের এমন পদক্ষেপে অনেকে দলত্যাগের ‘আভাস’ দেখতে শুরু করেন ৷ কুণাল অবশ্য জানিয়ে দেন তিনি তৃণমূলেই আছেন ও থাকবেন ৷

এর পর তিনি কলকাতা উত্তরের সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে একের পর এক তোপ দাগতে শুরু করেন ৷ সুদীপ লোকসভায় তৃণমূলের দলনেতা ৷ তার পরও বিজেপির হয়ে সুদীপ কাজ করেন বলে অভিযোগ করেন কুণাল ৷ শনিবার সকালে আবার সুদীপের বিরুদ্ধে দুর্নীতিকে জড়িত থাকার অভিযোগ তুলে সরব হন তিনি ৷ সিবিআই ও ইডি-কে পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখতে বলেন ৷ না হলে আদালতে যাওয়ার হুঁশিয়ারিও দেন ৷

সুদীপ বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের গ্রেফতারির দাবিও তোলেন কুণাল ৷ আর সেই প্রসঙ্গেই এ দিন ফিরহাদ হাকিম বলেন, "দেখুন এই নিয়ে আমি কিছু বলতে চাই না । বলতে গেলে আরও একটা বিস্ফোরণ হবে ।" বাকি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, "আমি কিছু শুনিনি ৷ শুনলে বলব ।"

রাজনৈতিক মহলের প্রশ্ন, কলকাতা উত্তর লোকসভা আসনে তৃণমূলের প্রার্থী নিয়েই দ্বন্দ্ব কুণালের বক্তব্যের মাধ্যমে সামনে চলে এল ? এটা কি তৃণমূলের মূল সংগঠন ও যুব সংগঠনের মধ্যে লড়াই ? ওই আসনে সুদীপের বদলে কি অন্য কেউ প্রার্থী হতে চান ? লড়াই যে কারণেই হোক, লোকসভা নির্বাচন ঘোষণার মুখে কুণাল ঘোষের বিভিন্ন বক্তব্য শাসক দলের অন্দরে যে অস্বস্তি বাড়িয়েছে, তা বলাই বাহুল্য ৷

আরও পড়ুন:

  1. কাজ চালানো সম্ভব নয়, পদ ছাড়লেন তৃণমূলে 'মিসফিট' কুণাল; সুদীপকে তুলনা শাহজাহানের সঙ্গে
  2. ভোটে টিকিট পাওয়া নিয়ে সংশয়ে সৌগত, প্রার্থী হলে জয় সম্বন্ধেও সন্দিহান নেতা
  3. 'তৃণমূল আজ যা ভাবে, বাকিরা কাল'; সন্দেশখালিতে বিজেপিকে কটাক্ষ ফিরহাদের
Last Updated : Mar 2, 2024, 5:49 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.