মধ্যমগ্রাম, 12 এপ্রিল: ভোটের মুখে ফের বেলাগাম বারাসতের পদ্ম প্রার্থী তথা বনগাঁ দক্ষিণের বিজেপি বিধায়ক স্বপন মজুমদার । এবার রাজ্যের শাসকদল তৃণমূলকে 'কুকুর'-এর সঙ্গে তুলনা করে বিতর্কে জড়ালেন গেরুয়া শিবিরের এই নেতা । শুধু তাই নয়, ভোট লুঠ রুখতে তৃণমূলকে 'মুগুর' দিয়ে জবাব দেওয়ার নিদানও দিয়েছেন বিজেপি প্রার্থী স্বপন মজুমদার । তবে, এবারই প্রথম নয় । এর আগেও নানান বিতর্কিত মন্তব্য করে সংবাদের শিরোনামে এসেছিলেন বারাসতের পদ্ম প্রার্থী । যার জেরে তাঁর নামে বারাসত থানায় এফআইআরও দায়ের হয় । কিন্তু তারপরও যে 'কুছ পরোয়া নাহি' স্বপনের ! তা কিন্তু ফের স্পষ্ট হল তৃণমূল সম্পর্কে তাঁর মনোভাব থেকেই ।
শুক্রবার নির্বাচনী প্রচারে উত্তর 24 পরগনার মধ্যমগ্রামে গিয়েছিলেন বারাসতের বিজেপি প্রার্থী স্বপন মজুমদার । সেই বৈঠকের ফাঁকে ইটিভি ভারতের মুখোমুখি হয়ে তিনি তৃণমূলকে 'কুকুর' বলে সম্বোধন করার পর 'মুগুর' দেওয়ার দাওয়াই দিয়েছেন । কিন্তু, কোন ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে তিনি এই কথা বলতে গেলেন ?
চোপড়ার তৃণমূল বিধায়ক হামিদুল রহমানের 'বাহিনী' নিয়ে হুঁশিয়ারি সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল স্বপন মজুমদারকে ৷ তার উত্তর দিতে গিয়ে তিনি ইটিভি ভারতের প্রতিনিধিকে বলেন,"এটাই তো তৃণমূলের ধর্ম ! তৃণমূলের যে বিধায়ক এই হুমকি দিয়েছেন ভোটের পর দেখা যাবে তাঁকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না । উনি যে অপকর্ম এবং পাপ করেছেন তার জন্য ওনাকে শাস্তি পেতে হবে একদিন । সেই কারণেই ভয় পেয় এই ধরণের মনোভাব পোষণ করছেন । মানুষ এবার সন্দেশখালির মতো এগিয়ে এসে প্রতিবাদ জানাবে । তার সামনে তৃণমূল বিধায়কের মতো কিছু অপদার্থ পড়লে তারও যোগ্য জবাব দেওয়া হবে ।"
কীভাবে জবাব দেবেন ? এই প্রশ্নের উত্তরে বারাসতের বিজেপি প্রার্থী বলেন,"কুকুর-কে কী দিতে হয় ! মুগুর দিতে হবে ।মুগুর দিয়েই তার জবাব দেওয়া হবে । তৃণমূল তো এখন পাগলা কুকুর হয়ে গিয়েছে । কুকুরকে সোজা করতে হলে মুগুর দিতেই হবে । আমি প্রশাসনকে বলব, অবিলম্বে ওই তৃণমূল বিধায়ককে গ্রেফতার করে জেলখানায় পুরতে হবে ।"
ভোটে সন্ত্রাস কিংবা ভোট লুঠ করতে এলে কী ধরণের 'মুগুর' দিতে হবে ? তার জবাবে স্বপন মজুমদার বলেন, "মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার যদি কেউ হরণ কিংবা লুঠ করতে আসে, সেই তামাশা বসে দেখব ? এটা হয় নাকি ! তার জন্য কেন্দ্রীয় বাহিনী তৈরি রয়েছে । তৈরি আছে বিজেপির কার্যকর্তা থেকে সাধারণ মানুষও । যে, যে ভাষা বোঝে তাঁকে সেই ভাষাতেই জবাব দেওয়া হবে । মারের সঙ্গে প্রতিরোধও চলবে সমানভাবে । চ্যালা কাঠের পাশাপাশি এবার মুগুরও থাকবে ভোট লুঠ রুখতে ।"
এই বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে মধ্যমগ্রাম পৌরসভার চেয়ারম্যান নিমাই ঘোষ বলেন, "ওদের শুভবুদ্ধির উদয় হোক ৷ এই মন্তব্যের কড়া নিন্দা করছি ৷ মানুষ এর জবাব দেবে ৷"
আরও পড়ুন :