সন্দেশখালি, 16 ফেব্রুয়ারি: সন্দেশখালি ঢোকার প্রায় এক কিলোমিটার আগেই প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী-সহ বাকি নেতৃত্বকে আটকে দিল পুলিশ ৷ সরবেড়িয়াতেই পুলিশ কংগ্রেস প্রতিনিধি দলকে আটকে দিয়েছে ৷ তার দেরে ব্যারিকেডের সামনেই রাস্তায় বসে বিক্ষোভ শুরু করেছে কংগ্রেস নেতৃত্ব ৷ এক ঘণ্টার উপর পেরিয়ে গেলেও অধীরের এই অবস্থান বিক্ষোভ জারি রয়েছে ৷ সন্দেশখালির ঘটনা নিয়ে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে 'নৃশংসতার রানি'বলে কটাক্ষ করেছেন তিনি ৷
গত 7 ফেব্রুয়ারি থেকে অশান্ত হয়ে রয়েছে সন্দেশখালি এলাকা ৷ সন্দেশখালির তৃণমূল নেতা শিবপ্রসাদ হাজরার পোলট্রি ফার্ম ও বাড়িতে অগ্নি সংযোগের ঘটনা থেকে অশান্ত হয়ে ওঠে ৷ এমনকি গ্রামবাসীদের উপর পুলিশের বিরুদ্ধে অত্যাচারের অভিযোগও উঠেছে ৷ যার পরেই বারেবারে বিরোধী বিজেপি ও সিপিআইএমের প্রতিনিধি দলকে সন্দেশখালিতে ঢুকতে বাধা দেওয়া হয় পুলিশের তরফে ৷ যে ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রায় একসপ্তাহ ধরে উত্তপ্ত হয়ে রয়েছে সন্দেশখালি ও রাজ্যের রাজনৈতিক আবহ ৷
এবার কংগ্রেসের প্রতিনিধি দলকেও আটকালো পুলিশ ৷ উল্লেখ্য, গতকাল বিজেপিকে প্রায় 6 কিলোমিটার দূরে আটকেছিল পুলিশ ৷ আজকে অধীর চৌধুরীর নেতৃত্বে কংগ্রেসের প্রতিনিধিদলকে 1 কিলোমিটার দূরে সরবেড়িয়া এলাকায় ব্যারিকেড করে আটকে দেয় ৷ পুলিশের কাছে বাধা পেয়ে, কংগ্রেস নেতা-কর্মীরা ধাক্কাধাক্কি শুরু করেন বলে অভিযোগ ৷ এর পরেই অধীর-সহ বাকি কংগ্রেস নেতৃত্ব রাস্তায় বসে পড়ে প্রতিবাদ জানাতে শুরু করেন ৷ সঙ্গে স্থানীয় কংগ্রেস নেতৃত্ব রয়েছে ৷ প্রাক্তন বিধায়ক অমিতাভ মজুমদার অধীরদের সঙ্গে রয়েছে ৷ অন্যদিকে, বিজেপির ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটিকেও শুক্রবার সন্দেশখালিতে ঢুকতে বাধা দেওয়া হয়েছে ৷
কেন রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিদের সন্দেশখালিতে ঢুকতে দিচ্ছে না মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তাঁর পুলিশ ? সেই প্রশ্ন তুলেছেন অধীর ৷ সঙ্গে শেখ শাহজাহান এবং শিবপ্রসাদ হাজরার গ্রেফতারির দাবিতে সরব হয়েছেন তিনি ৷ উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে পুরো সন্দেশখালি থেকে 144 ধারা প্রত্যাহার করে নেয় বসিরহাট পুলিশ প্রশাসন ৷ এরপর আদালতের নির্দেশ মতো, বুধবার বাছাই করা 19টি জায়গায় নতুন করে অশান্তি ছড়াতে পারে, এই আশঙ্কা প্রকাশ করে 144 ধারা ফের জারি করা হয়েছে ৷
আরও পড়ুন: