মালদা, 19 মার্চ: গত রবিবার ব্রিগেডের জনগর্জন সভায় তাঁকে শেষ দেখা গিয়েছিল ৷ তারপর আর দেখা যায়নি মালদার মৌসম নুরকে ৷ গত কয়েকদিন তাঁকে নিয়ে বিস্তর আলোচনা চলেছে বিভিন্ন মহলে ৷ কেউ বলেছে, প্রার্থী করা হয়নি বলে তাঁর 'গোঁসা' হয়েছে ৷ অনেকে তো আবার তাঁকে উত্তর মালদা লোকসভা কেন্দ্রের কংগ্রেস প্রার্থীই বানিয়ে দিয়েছে ৷ সব জল্পনার অবসান ঘটিয়ে অবশেষে মঙ্গলবার মালদায় ফিরেছেন তিনি ৷
এবার উত্তর মালদা কেন্দ্রে তাঁকে সরিয়ে কর্মক্ষেত্রে ইস্তফা দেওয়া আইপিএস প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়েকে প্রার্থী করেছে তৃণমূল ৷ শাসকদলের শীর্ষ নেতৃত্বের এই সিদ্ধান্তে হতচকিত হয়ে পড়ে জেলার ঘাসফুল মহল ৷ শুরু হয়ে যায় গুঞ্জন ৷ জেলার রাজনৈতিক মহল বলতে শুরু করে, রাজ্যসভার তৃণমূল সাংসদ থাকলেও রাজ্য নেতৃত্বের এই সিদ্ধান্তে মৌসমের রাজনৈতিক ভবিষ্যতই অনিশ্চিত হয়ে পড়ল ৷
এনিয়ে ইটিভি ভারতের ক্যামেরাতেও নিজের হতাশা গোপন করেননি মৌসম ৷ তিনি বলেন, “আমি উত্তর মালদা কেন্দ্রে দু’বার সাংসদ ছিলাম ৷ তৃণমূলের জেলা সভানেত্রীও ছিলাম ৷ গতবার নির্বাচনে আমি বিজেপির কাছে হেরে যাই ৷ সেবার একই পরিবার থেকে দু’জন দু’দলের হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করায় আমাদের ভোট ভাগাভাগি হয়েছিল ৷ তার লাভ তুলেছিল বিজেপি ৷ এবার আমার ধারণা ছিল, টিকিট পেলে আমি জিতবই ৷ বিজেপিকে হারাতে একটা প্রত্যাশাও তৈরি হয়েছিল ৷ যাই হোক, আমাদের নেত্রী এবং দলের সিদ্ধান্ত এই আসনে প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায় প্রার্থী হবেন ৷ দলের একজন সৈনিক হিসাবে সেই সিদ্ধান্তকে আমি স্বাগত জানাচ্ছি ৷ দল যেটা ঠিক মনে করেছে, সেটাকে মেনে নিয়েছি ৷ সেটা মেনেই চলব ৷"
গত কয়েকদিন মালদায় তাঁর অনুপস্থিতি প্রসঙ্গে মৌসম বলেন, "অসুস্থ থাকায় আমি কিছুদিন কলকাতায় ছিলাম ৷ ব্যক্তিগত কাজে দিল্লিতেও যেতে হয়েছিল ৷ এবার মালদায় ফিরে এসেছি ৷ প্রার্থীর হয়ে অবশ্যই প্রচারে নামব ৷ আশা করি, এবার জেলার দু’টি আসনেই তৃণমূল জিতবে ৷ প্রার্থী নিয়ে বিজেপি কী বলছে, তা নিয়ে আমার কিছু বলার নেই ৷ আজই আমি প্রচার নিয়ে আলোচনা করব ৷ তারপরেই ময়দানে নামব ৷”
অল্প সময়ের বক্তব্য ৷ কিন্তু তাতেই মৌসম নিজের অবস্থান যেন স্পষ্ট করে দিয়েছেন ৷ ঊনিশের ভোটে হেরে যাওয়ার পরেও তিনি নিয়মিত এলাকায় গিয়েছেন ৷ মানুষের সঙ্গে সম্পর্ক রেখেছেন ৷ হরিশ্চন্দ্রপুর থেকে হবিবপুর, মানুষ আশা করেছিল এবারও লোকসভা নির্বাচনে ঘাসফুলের প্রার্থী হবেন মৌসম ৷
আরও পড়ুন: