বহরমপুর, 31 জানুয়ারি: কংগ্রেসের সঙ্গে তৃণমূলের সম্পর্ক খারাপ হয়ে যাওয়া নিয়ে সিপিএমের ঘাড়ে দায় চাপালেন মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল কংগ্রেসের সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ বুধবার মুর্শিদাবাদের বহরমপুরে প্রশাসনিক সভার মঞ্চ থেকে এই অভিযোগ করেছেন তিনি ৷
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্য, ‘‘কংগ্রেসের সঙ্গে আমাদের বোঝাপড়া ভালো ছিল । সিপিএম সেই সম্পর্ক খারাপ করেছে । সিপিএম বিজেপির একমাত্র দালাল । বৃহত্তর স্বার্থে আমরা বলেছিলাম মালদায় তোমাদের দু’টো আসন দিচ্ছি । জেতানোর দায়িত্ব আমাদের । কিন্তু ওরা মানতে চায়নি । আমার একার ক্ষমতা আছে । আমি বিজেপিকে রুখতে পারি ।’’
বিরোধীদের জোট ‘ইন্ডিয়া’ জোট নিয়ে সম্প্রতি তৃণমূল ও কংগ্রেসের মধ্যে জলঘোলা শুরু হয়েছে ৷ কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সভাপতি মল্লিকার্জুন খাগড়ে চেষ্টা করেও বরফ গলাতে পারেননি । এর আগে একা চলার কথা একাধিকবার বলেছেন । তবে বুধবার বহরমপুরে প্রশাসনিক সভায় মমতার গলায় কংগ্রেস নিয়ে কিছুটা হলেও সুর নরম দেখা গেল । বরং তিনি কংগ্রেসের সঙ্গে সম্পর্ক খারাপ নিয়ে সিপিএমের ঘাড়ে দোষ চাপালেন ৷
এদিকে বৃহস্পতিবার মুর্শিদাবাদে ঢুকছে রাহুল গান্ধির ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রা । বৃহস্পতিবার বিকেলে অধীর গড়ে ঢুকবে রাহুলের কনভয় । তবে রাহুলের রাত্রিবাসের জন্য বহরমপুরে জায়গা দেওয়া হয়নি । এই প্রেক্ষাপটে নাম না করে গান্ধি পরিবারকে ইঙ্গিত করে মমতা বলেন, ‘‘ওই পরিবারের সঙ্গে আমার পারিবারিক সম্পর্ক রয়েছে ।’’ তবে রাজনৈতিক সম্পর্ক নেই বলে তিনি দাবি করেন ৷
এ দিন বহরমপুরে প্রশাসনিক সভা করেই নদিয়া রওনা দেন মুখ্যমন্ত্রী । কিন্তু এ দিন বহরমপুরে দু'ঘণ্টা আগে পৌঁছে যান তিনি । দুপুর আড়াইটে নাগাদ বহরমপুর স্টেডিয়াম নাঠে নামেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । প্রশাসনিক সভার পর পদযাত্রাও করেন ৷ তার পর বিকেল সাড়ে 4টে নাগাদ নদিয়া রওনা দেন । এদিন 1100 কোটি টাকার প্রকল্পের উদ্বোধন ও শিলান্যাস করেন মুখ্যমন্ত্রী । পাশাপাশ এক লক্ষ চব্বিশ হাজার উপভোক্তাকে পরিষেবা প্রদান করেন ।
আরও পড়ুন: