হাঁসন, 23 এপ্রিল: অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে খুনের ষড়যন্ত্রের পেছনে বিজেপির হাত ছিল বলে ইঙ্গিত দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ হাঁসনের সভা থেকে তাঁরা বিস্ফোরক অভিযোগ, যাঁরা বিজেপির বিরুদ্ধে কথা বলে, তাঁদেরই বিজেপি হয় মেরে ফেলতে চায়, নয়তো জেরে ভরে দিতে চায় ৷
এ দিন মমতা বলেন, "নির্বাচন চলাকালীন বিজেপির এক গদ্দার বললেন, বোমা ফাটাব ৷ আরে বোমা ফাটিয়ে মমতার উপর রাগ হয় তো মেরে দে ৷ অভিষেককেও তো খুন করতে গিয়েছিলি ৷ ধরে ফেলেছিলাম আমরা ৷ কী ভাবে করেছিলি ? তাঁর বাড়ি পর্যন্ত রেইকি করেছে ৷ ফেসটাইমে ফোন করেছে ৷ আপকা সাথ বাত করনে চাহতি হুঁ ৷ সময় দিলেই গুলি করে দিয়ে পালিয়ে যেত ৷"
বিজেপির বিরুদ্ধে তোপ দেগে মমতা আরও বলেন, "এরা চায়, যারা ওদের বিরুদ্ধে কথা বলে, তাঁদের মেরে দাও ৷ তাঁদের জেলে ভরে দাও ৷ তাঁদের পৃথিবী থেকে সরিয়ে দাও ৷ যদি সত্যিই তোমাদের মনে হত যে, তোমরা জিতবে মানুষের ভোটে, তাহলে এত ভয় দেখানোর কী দরকার ছিল ৷"
বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী শনিবার বলেছিলেন, এই সপ্তাহে তিনি বড় বোমা ফাটাবেন ৷ তাঁর বক্তব্যের জবাব দিতে গিয়ে কুমারগঞ্জে রবিবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রাণসংশয়ের আশঙ্কার কথা শুনিয়েছিলেন ৷ সে দিন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, "এই যে বোমা ফাটানোর কথা বলছে, আমিও টার্গেট, অভিষেকও টার্গেট ৷ এরা আমাদের জীবন পর্যন্ত নিয়ে নিতে পারে ৷ এত ডেঞ্জারাস এরা ৷ মনে রাখবেন, নিজেদের নিরাপত্তা নিয়ে আমরা কখনও ভাবি না ৷ আমরা মানুষের নিরাপত্তা নিয়ে ভাবি ৷ এই সব নানারকম চক্রান্ত, যেমন পুলওয়ামায় করেছিল ৷ এগুলো হচ্ছে চক্রান্ত ৷ এই চক্রান্ত আমরা ভেঙে দেবই ৷"
রবিবার মমতার এই বক্তব্যের পরদিনই অর্থাৎ সোমবার তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপর হামলার ষড়যন্ত্রের অভিযোগে মুম্বই থেকে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে কলকাতা পুলিশ । অভিযুক্তের নাম রাজারাম রেগে ৷ লালবাজার সূত্রে জানা যায়, 26/11-এর মুম্বই হামলার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন রাজারাম ৷ পুলিশ সূত্রে এও জানা যায় যে, গত 18 এপ্রিল কলকাতায় এসেছিল রাজারাম রেগে । দু'দিন ছিলেন কলকাতায়। এই দু'দিনেই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়ি ও তাঁর অফিসে রেইকি করে 26/11-তে মুম্বইয়ে জঙ্গি হামলার মূল চক্রীর 'ঘনিষ্ঠ' রাজারাম। তাকে ভিডিয়োগ্রাফি করতেও দেখা যায়।
আরও পড়ুন: