পান্ডুয়া, 15 মে: সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের কারণে কোনও একজন ব্যক্তিকে দেশ ছাড়তে হয়, তাহলে জন সাধারণের থুতু চাটবেন তিনি ৷ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় হুগলির বিজেপি প্রার্থী লকেট চট্টোপাধ্যায়ের সমর্থনে প্রচারে এমনই মন্তব্য করলেন মিঠুন চক্রবর্তী ৷ পান্ডুয়ায় বিজেপির তারকা প্রচারকের বক্তব্য, বিরোধী শিবির মানুষকে প্রতিনিয়ত ভুল বুঝিয়ে যাচ্ছে ৷
মিঠুন বলেন, "আমি আপনাদের বলছি সিএএ কারও নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়ার আইন নয় ৷ বিরোধী শিবির আইন নিয়ে মিথ্যা প্রচার করছে ৷ এই আইন কাউকে দেশ থেকে তাড়িয়ে দেওয়ার জন্য নয় ৷ এই আইন নাগরিকত্ব দেওয়ার আইন ৷ এই আইন শুধু মুসলমান, শিখ, খ্রিস্টান ভাইদের জন্য নয় ৷ আমার-আপনার সকলের জন্য ৷" এ প্রসঙ্গে অনুপ্রবেশ ও ভুয়ো আধার কার্ড তৈরির অভিযোগেও রাজ্যের শাসক শিবিরকে নিশানা করেন মহাগুরু ৷
মিঠুনের বক্তব্য, "আপনার যদি সত্যিকারের আধার কার্ড থাকে, তাহলে আপনার ভয়ে কোনও কারণ নেই ৷ এই কথা বলছি, কারণ অনেকেই ভুয়ো আধার কার্ড তৈরি করেছে ৷ তাদের জন্য সমস্যা হবে ৷ কিন্তু, যাঁদের বৈধ আধার কার্ড তাদের কোনও সমস্যা হবে না ৷ এটা আমার চ্যালেঞ্জ ৷"
এই চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়ে মিঠুন চক্রবর্তী বলেন, "আমি চ্যালেঞ্জ করছি, যদি কারও সঙ্গে এমন হয়েছে ৷ যার সিএএ-র জন্য নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে ৷ একজনের সঙ্গেও যদি হয়, তাহলে এই মাঠ রইল, আর আমি আছি ৷ আমাকে ডাকবেন, আমি আপনাদের থুতু চাটব ৷" উল্লেখ্য, হুগলি লোকসভার পান্ডুয়া বিধানসভা কেন্দ্রের একটা বড় অংশ জুড়ে সংখ্যালঘুদের বসবাস ৷ এই ভোটগুলিকে সিএএ-কে হাতিয়ার করে পুরোপুরি নিজেদের দিকে করতে চাইছে তৃণমূল ৷ যা এই লোকসভা কেন্দ্রের ফলাফলে বড় ফারাক গড়ে দিতে পারে ৷
স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্বের অভিযোগ ৷ তৃণমূল সিএএ-কে ট্রাম কার্ড হিসেবে ব্যবহার করে সংখ্যালঘুদের মধ্যে ভয়ের সঞ্চার করতে চাইছে ৷ আর সেই উদ্দেশ্যকে সফল করতে একাধিক তৃণমূলের নেতা মাঠে নেমে পড়েছে হুগলি জেলায় ৷ তৃণমূলের এই উদ্দেশ্য ব্যর্থ করতে মিঠুন চক্রবর্তীর মতো ব্যক্তিত্বকে এবার হুগলি ভোট ময়দানে নামিয়েছে বিজেপি ৷ তবে, এই চেষ্টা কতটা কার্যকরী হবে, তা বোঝা যাবে আগামী 4 জুন ৷
আরও পড়ুন: