কলকাতা, 2 মে: 'পদ নয়, পথে আছি ৷' আগের দিন গিয়েছিল দলের পদ, বৃহস্পতিবার তৃণমূলের তারকা প্রচারকের তালিকা থেকেও নাম বাদ গিয়েছে ৷ আর তারপরই ক্ষোভ উগরে দিলেন কুণাল ঘোষ ৷ তবে দল যে ছাড়ছেন না তিনি তাও স্পষ্ট করে দিয়েছেন তিনি ৷ এদিনও তাঁর গলায় উঠে এসেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের নাম ৷ তিনি বলেন, "কর্মীদের কাছে কৃতজ্ঞ ৷ কী হবে পদ নিয়ে ?"
সত্যজিৎ রায়ের জন্মদিনে কুণাল ঘোষকে পাওয়া গেল ময়ূখ ভবনে। গতকালের পর আজও ইঙ্গিতবাহী মন্তব্য করছেন তিনি। তাঁর গলায় শোনা গিয়েছে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর কথা। আক্রমণ করছেন সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়কেও। পরে দেখা যায়, লোকসভা ভোটে দলের তারকা প্রচারকের তালিকাতেও নেই কুণাল ঘোষের নাম ৷ যার উত্তরে অবশ্য কুণাল ঘোষ বলছেন, "আপশোষ নেই। গরমে আর ঘোরাঘুরি করতে হবে না ।" পাশাপাশি দলের ভবিষ্যৎ নিয়েও প্রশ্ন তুলে দিলেন কুণাল।
এদিন সাংবাদিক বৈঠক থেকে বেরিয়ে কেঁদে ফেলেন কুণাল ৷ কর্মীদের আবেগ দেখেই তাঁর চোখে জল চলে এসেছে বলেও দাবি করেছেন তিনি ৷ কুণালের কথায়, "দু-একটা কথা বলে ফেলি তাতে দল অস্বস্তি পড়ে। তারকার প্রচারকের তালিকায় কে শুভেন্দু চোর বলার ক্ষমতা রাখে ? মতাদিকে তুলে নিয়ে হাসপাতালে নিয়ে গিয়েছিলাম। আমি তৃণমূলের কর্মী । ঘরে বসে থাকা নেতাদের চামচা না হলে পুলিশ দিয়ে হেনস্তা করা হয়। মমতাদি নেত্রী, অভিষেক সেনাপতি।"
পাশাপাশি তিনি আরও বলেন, "দলের উন্নতির সঙ্গে কর্মীদের আবেগকে গুরুত্ব দিতে হবে। কর্মীদের অপমান করা যাবে না।" বুধবার রক্তদানের মঞ্চে তাপস রায়ের সঙ্গে উপস্থিত হওয়া এবং তাঁর প্রশংসা করার জন্য সেদিনই কুণাল ঘোষকে রাজ্য সাধারণ সম্পাদকের পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। তারপর বৃহস্পতিবারও তিনি এই নিয়ে সংবাদমাধ্যমে মুখ খুলেছেন।
রাজ্যের বিরোধী দলনেতার সঙ্গে সুদীপের তুলনা টেনে বুঝিয়ে দিলেন বিরোধী দলনেতা হিসেবে শুভেন্দু তাঁর ভূমিকা পালনে যতটা সফল, সেই ভূমিকায় কেন দেখতে পাওয়া যাচ্ছে না সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়কে ! এদিন স্পষ্ট ভাষায় তিনি বলেন, "শুভেন্দু অধিকারীকে দেখে শেখা উচিত সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের। আমি তাঁর সবচেয়ে বড় বিরোধী। সবসময় সমালোচনা, আক্রমণ করি। কিন্তু বিরোধী দলনেতা হিসেবে নিজের দলের জন্য তিনি পারফর্ম করে চলেছেন। ঘুরে ঘুরে দলীয় প্রার্থীর হয়ে প্রচার করছেন। আর সুদীপ দা, তিনি আমাদের লোকসভার দলনেতা। তিনি নিজের জায়গায় বের হচ্ছেন না। এই যে নরেন্দ্র মোদি, অমিত শাহ, জেপি নাড্ডারা আসছেন, কেন তার পালটা সভা করছেন না উনি ? কেন তিনি মোদি-শাহ-নাড্ডাদের আক্রমণ করছেন না ?"
আরও পড়ুন
চাকরি বিক্রির সব তথ্য একুশের ভোটের আগেই তৃণমূলের কাছে ছিল, বিস্ফোরক দাবি কুণাল ঘোষের
'কুণালকে সরাতে বলুন নেত্রীকে', সুদীপকে বাবলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট প্রকাশ্যে