বর্ধমান, 21 এপ্রিল: তৃণমূল কংগ্রেসের তো গরম হাওয়া। ঠান্ডা মিষ্টি হাওয়া পেতে গেলে বিজেপিকে দরকার। রবিবার বর্ধমান টাউন হলে চা-চক্রে যোগ দিতে গিয়ে সাধারণ মানুষের হাতে হাতপাখা তুলে দিয়ে এই মন্তব্য করলেন বর্ধমান-দুর্গাপুর লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী দিলীপ ঘোষ।
দিলীপ ঘোষ এদিন হাওয়া নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসকে টিপ্পনী কাটতে ছাড়েননি। তার মতে বিজেপির পদ্মফুলের হাওয়া খুব মিষ্টি সেই হাওয়াই আজ মানুষকে গরম থেকে কিছুটা হলেও স্বস্তি জোগাচ্ছে। তৃণমূল কংগ্রেসের হাওয়া মানেই গরম হাওয়া। সেই হাওয়া কেউ খেতে চায় না। পাশাপাশি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কেও এদিন একহাত নেন বিজেপি'র প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি।
এদিন দিলীপ ঘোষ বলেন, "চা চক্রে চায়ের কাপে থাকে পদ্মফুল। এখন খুব গরম পড়েছে। এতো গরম সহ্য করা যাচ্ছে না। গ্রামের রাস্তায় দেখি মায়েরা আঁচল দিয়ে হাওয়া করার চেষ্টা করছে। সবাই বসে হাতপাখা দিয়ে হাওয়া খাচ্ছে। তাই আমার মনে হয়েছে সাধারণ মানুষের হাতে যদি হাতপাখা তুলে দিই খুব কাজে লাগবে। দোকানদার থেকে পথচলতি মানুষের উপকারে লাগবে হাতপাখা। পদ্মফুলের মিষ্টি হাওয়া। তৃণমূলের গরম হাওয়া কিন্তু নয়। তৃণমূল কংগ্রেসে তো লুঠ হয়। বিজেপির মিষ্টি হাওয়া। তৃণমূলের তো গরম হাওয়া। বিজেপির মিষ্টি ঠান্ডা হাওয়া খেয়েই দেখুন না।"
শুভেন্দু অধিকারী জানিয়েছেন, ফের বড় বোমা ফাটাতে চলেছেন তিনি ৷ সেই কথার রেশ ধরে দিলীপ ঘোষ বলেন, "এরকম অনেক ঘটনা ঘটেছে। যেটা বাস্তব পরিস্থিতি সেটাই হবে। তৃণমূল সরকার প্রত্যেকটা কেসেই হারছে।" অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, বিজেপিকে বিসর্জনের বার্তা দিয়ে বাংলার মহিলারা সার্জিক্যাল স্ট্রাইক করছে। দিলীপ ঘোষ তার পালটা বলেন, "সন্দেশখালির মহিলারা ঘুরে ঘুরে প্রচার করছেন। কীভাবে তাদের উপরে অত্যাচার হয়েছে সেই কথা বলছেন তারা। ওনারা ভোটে জবাব পাবেন।"
দিলীপ ঘোষ আরও বলেন, "আমরা জানতাম বাংলাদেশে চাল, ডাল ওষুধ ইত্যাদি পাঠানো হয়। জানতাম গরুও পাঠানো হয়। এখন আবার শুনছি সাইকেলও পাঠানো হচ্ছে। এখানকার মানুষের ট্যাক্সের টাকা বিলি করে ভোটও পাচ্ছে, বিদেশেও পাচার করে দিচ্ছে। আগে অ্যাম্বুলেন্সে করে তৃণমূল নেতাদের টাকা বাংলাদেশে গিয়েছে। এখানকার মানুষদের শোষণ করছে শাসক দল। যেভাবে অনৈতিক কাজকর্ম করছে তা থেকে বোঝাই যাচ্ছে পার্টিটা সমাজবিরোধীদের হাতে চলে গিয়েছে।"
আরও পড়ুন: