কলকাতা, 4 মার্চ: দলবদলের জল্পনার মাঝেই দলের বরানগরের বিধায়ক তাপস রায়ের বাড়ি গেলেন তৃণমূল কংগ্রেসের দুই গুরুত্বপূর্ণ নেতা ব্রাত্য বসু এবং কুণাল ঘোষ । রবিবার রাত থেকেই তাপস রায়ের বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা ও দলবদল নিয়ে জল্পনা তৈরি হয়েছে । যদিও সংবাদমাধ্যমে এই নিয়ে মুখ খোলেননি তৃণমূল নেতা । তবে যত সময় গড়িয়েছে তাঁর নীরবতা নতুন করে জল্পনা বৃদ্ধি করেছে । একটা মহল থেকে এমনটাও চালু হয়ে যায় যে তিনি নাকি ফুল বদল করতে পারেন । এসবের মাঝে রবিবার রাতেই তাঁর সঙ্গে গিয়ে দেখা করেছিলেন দলের এক মন্ত্রী । তাতেও বরফ না-গলায় সোমবার সকালেই তাপস রায়ের বাড়িতে যান ব্রাত্য বসু ও কুণাল ঘোষ । 2 ঘণ্টা বৈঠক হয় তাঁদের মধ্যে ৷ এছাড়াও তাপস রায়ের সঙ্গে সোমবার কথা বলেন মন্ত্রী পার্থ ভৌমিকও ৷
বৈঠকের পর সোমবার সংবাদমাধ্যমের সামনে দলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে দিয়ে তাপস রায় বলেন,"এত দুর্নীতি ৷ তারপর সন্দেশখালি ৷ 23-24 বছর আমার সঙ্গে তৃণমূলের সম্পর্ক ৷ কিন্তু 12 জানুয়ারি আমার বাড়িতে ইডি অভিযান হলেও দল আমার পাশে দাঁড়ায়নি ৷ আজ 52 দিন পেরিয়ে গেলেও, আমার বাড়িতে ইডি অভিযান নিয়ে একটি বাক্যও ব্যয় করেননি মুখ্যমন্ত্রী ৷ আমার পরিবারের কাউকে ফোন করেননি ৷ আমার শুভাকাঙ্খীদের থেকে জানতে পেরেছি, দলেরই অনেকে রয়েছেন আমার বাড়িতে ইডি আসার পিছনে ৷ ব্রাত্য ও কুণাল আমার ছোট ভাইয়ের মতো ৷ ওরা এসেছিল আমাকে সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করে দেখার জন্য ৷ কিন্তু দুঃখের বিষয়, সেই মুহূর্তেই দলের তরফে কুণাল ঘোষকে শো-কজ নোটিস পাঠান সুব্রত বক্সি ৷" এরপরই তিনি বিধানসভার উদ্দেশ্যে বেরিয়ে যান ৷ বলেন,"পদত্যাগ করতে যাচ্ছি ৷"
বাড়িতে ইডি হানার পর থেকে কিছুটা নিষ্ক্রিয় হয়ে যান বরানগরের তৃণমূল বিধায়ক ৷ গত 21 ফেব্রুয়ারির পর নিজের বিধানসভা ক্ষেত্র বরানগরে আর যাচ্ছেন না তিনি । আর সেই জায়গা থেকেই তৃণমূলের তরফ থেকে তাঁর মান ভাঙানোর চেষ্টা হচ্ছে বলে মনে করা হচ্ছে। মূলত তৃণমূল নেতৃত্বের এই বিক্ষুব্ধ বিধায়কের বাড়িতে যাওয়া এরই অংশ বলে মনে করা হচ্ছে । রবিবার রাতেই তাপস রায়ের সঙ্গে কথা বলেছিল ইটিভি ভারত । স্পষ্টতই জানিয়েছিলেন নৈতিকতার কারণে তিনি এই বিষয় নিয়ে মুখ খুলবেন না । কিন্তু সোমবার সকলে ব্রাত্য বসু ও কুণাল ঘোষের সঙ্গে সাক্ষাতের পর দলের প্রতি তাঁর অসন্তোষ ব্যক্ত করেন বরানগরের বিধায়ক ৷
আরও পড়ুন :