কলকাতা, 6 ফেব্রুয়ারি: একইদিনে প্রথমে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী রাজ্যপালের কাছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তাঁর ক্যাবিনেটের বিরুদ্ধে এফআইআর করার দাবি নিয়ে যাবেন বলে হুঁশিয়ারি দিলেন। কয়েকঘণ্টার মধ্যে বিজেপি নেতা রাজর্ষি লাহিড়ী মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে রবীন্দ্র সরোবর থানায় এফআইআর করলেন ৷ অভিযোগ এই যে, মুখ্যমন্ত্রী 'উস্কানিমূলক' বার্তা দিচ্ছেন। মঙ্গলবার রবীন্দ্র সরোবর থানায় প্রথমে বিজেপি নেতা রাজর্ষি লাহিড়ী মেল করে এফআইআরের কপি পাঠান তারপর তিনি সশরীরে গিয়ে হার্ডকপি জমা দিয়ে আসেন থানায়।
মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে সিআরপিস-154 ধারা অনুসারে রবীন্দ্র সরোবর থানায় অনলাইনে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে বিভ্রান্তিকর মন্তব্য এবং ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করে এমন বক্তৃতা দেওয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে। এও অভিযোগ করা হয়েছে যে জনসমক্ষে ও বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম-সহ ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সামনে নির্দিষ্ট এক ধর্মীয় গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে অবমাননাকর শব্দ ব্যবহার করে বিভিন্ন গোষ্ঠীর মধ্যে শত্রুতা ও ক্ষোভের সঞ্চার করার চেষ্টা করছেন তিনি।
শুধুমাত্র এফআইআর-ই নয় এরপর আদালতের দ্বারস্থ হবেন বলেও জানান রাজর্ষি লাহিড়ী। মুখ্যমন্ত্রী এই ধরনের বক্তব্য 'উস্কানি' বলে দাবি করেন বিজেপি নেতা ৷ তিনি বলেন, "মুখ্যমন্ত্রী বক্তব্যে বলেছেন প্রাণ থাকতে দক্ষিণেশ্বর ভাঙতে দেব না। পরবর্তী আরও একটি বক্তব্যে তিনি বলেছেন, মন্দির ভাঙতে দেব না। মসজিদ ভাঙতে দেব না। গুরুদুয়ারা ভাঙতে দেব না। এছাড়াও উনি বলেছেন বিএসএফ কার্ড (যারা ওই কার্ড নেবে তারা এনআরসি'র আয়তায় পড়ে যাবে) দিচ্ছে। এমনকী তিনি এও বলেছেন, বিজেপি শাসিত রাজ্যে মাছ-মাংস-ডিমের দোকান বুলডোজার দিয়ে ভেঙে গুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।"
বিজেপি নেতা দাবি করেন, বিজেপি জানতে চায় মন্দির, মসজিদ এবং গুরুদুয়ারা ভাঙার কথা কে কোথায় কবে এবং কাকে বলেছে? দ্বিতীয়ত কোথায় লিখিত রয়েছে যে দক্ষিণেশ্বর বা দক্ষিণেশ্বরের স্কাইওয়াক ভেঙে ফেলার কথা বলা হয়েছে? না-হলে জনতার কাছে মুখ্যমন্ত্রীকে ক্ষমা চাইতে হবে বলে দাবি করেন রাজর্ষি লাহিড়ী।
আরও পড়ুন: