ETV Bharat / politics

এবার কলকাতা উত্তরে ফুটবে পদ্ম, আশাবাদী ভূমিপুত্র তাপস রায় - Lok Sabha Election 2024

Tapas Roy: কলকাতা উত্তর লোকসভা আসনে বিজেপির প্রার্থী তাপস রায় ৷ তাঁর প্রতিপক্ষ তৃণমূল কংগ্রেসের সুদীপ বন্দ্যোপাধ্য়ায় ৷ টানা তিনবার তিনি কলকাতা উত্তর আসন থেকে জিতেছেন ৷ তার পরও 2024 সালের লোকসভা নির্বাচনে সুদীপকে হারানোর বিষয়ে আত্মবিশ্বাসী তাপস রায় ৷

Tapas Roy
Tapas Roy
author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Apr 9, 2024, 3:48 PM IST

Updated : Apr 9, 2024, 6:04 PM IST

এবার কলকাতা উত্তরে ফুটবে পদ্ম, আশাবাদী ভূমিপুত্র তাপস রায়

কলকাতা, 9 এপ্রিল: তাপস রায় ৷ কলকাতা উত্তর লোকসভা আসনে বিজেপি প্রার্থী ৷ এই আসনে পদ্ম ফোটাতে এখন তিনিই ভরসা গেরুয়া শিবিরের ৷ বিজেপির কর্মী-সমর্থকদের সেই আশা পূরণ হবে কি না, তার উত্তর মিলবে আগামী 4 জুন ৷ কিন্তু এই নিয়ে তাপস রায় শুধু আশাবাদীই নন, আত্মবিশ্বাসীও ৷ ইটিভি ভারতকে তিনি বলেন, ‘‘দেবতার আশীর্বাদ ও গণদেবতার আশীর্বাদ আমার উপরই বর্ষিত হবে ৷ মোদিজির উপরই বর্ষিত হবে ৷ বিজেপির উপরই বর্ষিত হবে ৷ পদ্মফুলের উপরই বর্ষিত হবে ৷’’

কলকাতা উত্তর আসনটি ডিলিমিটেশনের পর 2009 সালে তৈরি হয় ৷ সেই থেকে ওই আসনে সাংসদ তৃণমূল কংগ্রেসের সুদীপ বন্দ্য়োপাধ্যায় ৷ জয়ের হ্যাটট্রিক তিনি সেরে ফেলেছেন ৷ এবার লক্ষ্য টানা চারবার জয়ের রেকর্ড করা ৷ তাছাড়া সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় 1998 ও 1999 সালে এই এলাকা (লোকসভা আসনের নাম ছিল কলকাতা উত্তর পশ্চিম) থেকে ভোটে জিতে সাংসদ হন ৷ মাঝে হেরেছেন শুধু 2004 সালে ৷ ফলে তাপস রায়ের প্রতিপক্ষ যে হেভিওয়েট, তা বলাই বাহুল্য ৷

যদিও সুদীপের বিরুদ্ধে লড়াইকে ‘কড়া টক্কর’ হিসেবে মানতে নারাজ তাপস ৷ তাঁর কথায়, ‘‘সেটা তোমরা (সংবাদমাধ্য়ম) বলছো৷ কলকাতা উত্তরের মানুষ বলছে না ৷ কঠিন নয় ৷ কারণ, উনি (সুদীপ বন্দ্যোপাধ্য়ায়) না দলের, না দিদির (মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়), না কর্মীদের, না উত্তর কলকাতার মানুষের ৷ উনি নিজের আর ওঁর স্ত্রীর (নয়না বন্দ্যোপাধ্য়ায়) ৷’’

অথচ এই সুদীপ বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের সঙ্গেই 23 বছর তৃণমূল কংগ্রেসেই কাটিয়েছেন ৷ লোকসভা নির্বাচনে সুদীপকে জেতানোর দায়িত্বও পালন করেছেন বলে জানিয়েছেন তাপস রায় ৷ তাছাড়া আরও একাধিক হেভিওয়েট নেতার সঙ্গে কাজ করার অভিজ্ঞতা থেকেই যে জয়ের বিষয়ে তিনি আত্মবিশ্বাসী, সেটা বুঝিয়েও দিয়েছেন ৷ তাপস রায় বলেন, ‘‘আমার পৌঁছানোর (রাজনৈতিক সাফল্য) পিছনে জীবনের অনেক ঝুঁকি ছিল ৷ একবার নয়, একাধিকবার৷ ছাত্র-যুব আন্দোলন ছিল ৷ সিপিএমের বিরুদ্ধে লড়াই, সংগ্রাম ছিল ৷’’

উল্লেখ্য, 1996 সালে কংগ্রেসের হয় প্রথমবার তৎকালীন বিদ্যাসাগর কেন্দ্র থেকে প্রথমবার বিধায়ক হন তিনি । এরপর 2001 সালে কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করেন এবং প্রার্থী হন বড়বাজার কেন্দ্র থেকে । তবে 2006 সালে বড়বাজার কেন্দ্রে পরাজিত হন তিনি । পরবর্তীতে 2011 সালে বরানগর কেন্দ্রের প্রার্থী করা হয় তাপস রায়কে । সেই থেকেই টানা বরানগরের বিধায়ক থেকেছেন তিনি ।

তাছাড়া তিনি উত্তর কলকাতার ভূমিপুত্র৷ তাপস রায়ের ছোটবেলা কেটেছে কলকাতা উত্তরের চাপাতলা বাইলেনে । সেই কারণে সংসদীয় রাজনীতির অভিজ্ঞতার পাশাপাশি উত্তর কলকাতার ভূমিপুত্র হিসেবেও তিনি অ্যাডভান্টেজ পাবেন বলেই মনে করছেন তাপস রায় ৷ একই সঙ্গে তিনি মনে করিয়ে দিচ্ছেন যে সুদীপ কিন্তু উত্তর কলকাতার ভূমিপুত্র নন ৷ বহরমপুর থেকে প্রিয়রঞ্জন দাশমুন্সির হাত ধরে উত্তর কলকাতার রাজনীতিতে তাঁর প্রবেশ ৷

ফলে তাঁর এই আত্মবিশ্বাস আগামী 4 জুনও অটুট থাকে কি না, সেটাই এখন দেখার !

আরও পড়ুন:

  1. সুদীপের ‘নো কমেন্টেস’-এর পালটা মুখোমুখি প্রশ্নোত্তরে বসার চ্যালেঞ্জ তাপসের
  2. 'সংসদে প্রশ্ন করেননি, ভোট চাওয়ার অধিকার নেই'; সুদীপকে নিশানা তাপসের
  3. কলকাতা উত্তরের বিজেপি প্রার্থী হয়েই সুদীপের বিরুদ্ধে সুর চড়ালেন তাপস রায়

এবার কলকাতা উত্তরে ফুটবে পদ্ম, আশাবাদী ভূমিপুত্র তাপস রায়

কলকাতা, 9 এপ্রিল: তাপস রায় ৷ কলকাতা উত্তর লোকসভা আসনে বিজেপি প্রার্থী ৷ এই আসনে পদ্ম ফোটাতে এখন তিনিই ভরসা গেরুয়া শিবিরের ৷ বিজেপির কর্মী-সমর্থকদের সেই আশা পূরণ হবে কি না, তার উত্তর মিলবে আগামী 4 জুন ৷ কিন্তু এই নিয়ে তাপস রায় শুধু আশাবাদীই নন, আত্মবিশ্বাসীও ৷ ইটিভি ভারতকে তিনি বলেন, ‘‘দেবতার আশীর্বাদ ও গণদেবতার আশীর্বাদ আমার উপরই বর্ষিত হবে ৷ মোদিজির উপরই বর্ষিত হবে ৷ বিজেপির উপরই বর্ষিত হবে ৷ পদ্মফুলের উপরই বর্ষিত হবে ৷’’

কলকাতা উত্তর আসনটি ডিলিমিটেশনের পর 2009 সালে তৈরি হয় ৷ সেই থেকে ওই আসনে সাংসদ তৃণমূল কংগ্রেসের সুদীপ বন্দ্য়োপাধ্যায় ৷ জয়ের হ্যাটট্রিক তিনি সেরে ফেলেছেন ৷ এবার লক্ষ্য টানা চারবার জয়ের রেকর্ড করা ৷ তাছাড়া সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় 1998 ও 1999 সালে এই এলাকা (লোকসভা আসনের নাম ছিল কলকাতা উত্তর পশ্চিম) থেকে ভোটে জিতে সাংসদ হন ৷ মাঝে হেরেছেন শুধু 2004 সালে ৷ ফলে তাপস রায়ের প্রতিপক্ষ যে হেভিওয়েট, তা বলাই বাহুল্য ৷

যদিও সুদীপের বিরুদ্ধে লড়াইকে ‘কড়া টক্কর’ হিসেবে মানতে নারাজ তাপস ৷ তাঁর কথায়, ‘‘সেটা তোমরা (সংবাদমাধ্য়ম) বলছো৷ কলকাতা উত্তরের মানুষ বলছে না ৷ কঠিন নয় ৷ কারণ, উনি (সুদীপ বন্দ্যোপাধ্য়ায়) না দলের, না দিদির (মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়), না কর্মীদের, না উত্তর কলকাতার মানুষের ৷ উনি নিজের আর ওঁর স্ত্রীর (নয়না বন্দ্যোপাধ্য়ায়) ৷’’

অথচ এই সুদীপ বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের সঙ্গেই 23 বছর তৃণমূল কংগ্রেসেই কাটিয়েছেন ৷ লোকসভা নির্বাচনে সুদীপকে জেতানোর দায়িত্বও পালন করেছেন বলে জানিয়েছেন তাপস রায় ৷ তাছাড়া আরও একাধিক হেভিওয়েট নেতার সঙ্গে কাজ করার অভিজ্ঞতা থেকেই যে জয়ের বিষয়ে তিনি আত্মবিশ্বাসী, সেটা বুঝিয়েও দিয়েছেন ৷ তাপস রায় বলেন, ‘‘আমার পৌঁছানোর (রাজনৈতিক সাফল্য) পিছনে জীবনের অনেক ঝুঁকি ছিল ৷ একবার নয়, একাধিকবার৷ ছাত্র-যুব আন্দোলন ছিল ৷ সিপিএমের বিরুদ্ধে লড়াই, সংগ্রাম ছিল ৷’’

উল্লেখ্য, 1996 সালে কংগ্রেসের হয় প্রথমবার তৎকালীন বিদ্যাসাগর কেন্দ্র থেকে প্রথমবার বিধায়ক হন তিনি । এরপর 2001 সালে কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করেন এবং প্রার্থী হন বড়বাজার কেন্দ্র থেকে । তবে 2006 সালে বড়বাজার কেন্দ্রে পরাজিত হন তিনি । পরবর্তীতে 2011 সালে বরানগর কেন্দ্রের প্রার্থী করা হয় তাপস রায়কে । সেই থেকেই টানা বরানগরের বিধায়ক থেকেছেন তিনি ।

তাছাড়া তিনি উত্তর কলকাতার ভূমিপুত্র৷ তাপস রায়ের ছোটবেলা কেটেছে কলকাতা উত্তরের চাপাতলা বাইলেনে । সেই কারণে সংসদীয় রাজনীতির অভিজ্ঞতার পাশাপাশি উত্তর কলকাতার ভূমিপুত্র হিসেবেও তিনি অ্যাডভান্টেজ পাবেন বলেই মনে করছেন তাপস রায় ৷ একই সঙ্গে তিনি মনে করিয়ে দিচ্ছেন যে সুদীপ কিন্তু উত্তর কলকাতার ভূমিপুত্র নন ৷ বহরমপুর থেকে প্রিয়রঞ্জন দাশমুন্সির হাত ধরে উত্তর কলকাতার রাজনীতিতে তাঁর প্রবেশ ৷

ফলে তাঁর এই আত্মবিশ্বাস আগামী 4 জুনও অটুট থাকে কি না, সেটাই এখন দেখার !

আরও পড়ুন:

  1. সুদীপের ‘নো কমেন্টেস’-এর পালটা মুখোমুখি প্রশ্নোত্তরে বসার চ্যালেঞ্জ তাপসের
  2. 'সংসদে প্রশ্ন করেননি, ভোট চাওয়ার অধিকার নেই'; সুদীপকে নিশানা তাপসের
  3. কলকাতা উত্তরের বিজেপি প্রার্থী হয়েই সুদীপের বিরুদ্ধে সুর চড়ালেন তাপস রায়
Last Updated : Apr 9, 2024, 6:04 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.