ETV Bharat / politics

নির্বাচনী বিধিভঙ্গ, ব্রাত্যকে সরানোর সুপারিশ রাজ্যপালের - BRATYA BASU

Guv on Bratya Basu: গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে রাজনীতিবিদদের সঙ্গে বৈঠক করে 'ইচ্ছাকৃতভাবে' নির্বাচনী আদর্শ আচরণবিধি লঙ্ঘন করেছেন শিক্ষামন্ত্রী ৷ ব্রাত্য বসুকে শিক্ষামন্ত্রী পদ থেকে অপসারণের জন্য রাজ্য সরকারকে সুপারিশ রাজ্যপাল ৷

Etv Bharat
Etv Bharat
author img

By PTI

Published : Apr 4, 2024, 8:28 PM IST

Updated : Apr 4, 2024, 9:57 PM IST

কলকাতা, 4 এপ্রিল: ব্রাত্য বসুকে শিক্ষামন্ত্রী পদ থেকে অপসারণের জন্য রাজ্য সরকারকে সুপারিশ রাজ্যপাল ৷ সম্প্রতি গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে রাজনীতিবিদদের সঙ্গে বৈঠক করে 'ইচ্ছাকৃতভাবে' নির্বাচনী আদর্শ আচরণবিধি লঙ্ঘন করেছেন শিক্ষামন্ত্রী ৷ এরপরই রাজ্যপাল আনন্দ বোস বৃহস্পতিবার শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুকে পদ থেকে সরিয়ে দেওয়ার জন্য রাজ্যকে জানিয়েছেন ৷ রাজ্য সরকার তাঁকে মন্ত্রিসভা থেকে সরিয়ে দেবে বলে রাজ্যপালকে জানিয়েছেন বলে রাজভবন সূত্রে খবর ৷

রাজভবনের তরফে জানানো হয়েছে, বিশ্ববিদ্য়ালের প্রাঙ্গণে সভা করার বিষয়টি আদতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবস্থাকে অসম্মান করার সামিল বলেই মনে করছেন আচার্য আনন্দ বোস। উল্লেখ্য, 30 মার্চ রাজ্যের একাধিক মন্ত্রী, সাংসদ, বিধায়ক এবং রাজনৈতিক নেতাদের সঙ্গে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর নেতৃত্বে গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয় ৷ এরপরই নির্বাচনী বিধিভঙ্গের জন্য রাজ্য সরকারকে শিক্ষামন্ত্রীর বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। ব্রাত্যকে অবিলম্বে মন্ত্রিসভা থেকে অপসারণেরও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে রাজ্যপালের তরফে ৷

অন্যদিকে, রাজ্যপালের এই নির্দেশকে 'হাস্যকর' বলেছেন ব্রাত্য বসু ৷ তিনি এক্স হ্যান্ডেলে লিখেছেন, "আমিও রাষ্ট্রপতির কাছে রাজ্যপালকে অপসারণের সুপারিশ করলে যেমন বিষয়টা হাস্যকর হতো এটাও তেমনই ৷ নির্বাচনী বিধিভঙ্গ হলে সেটা কোনও রাজনৈতিক দলের তরফে নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ জানানো হত ৷ রাজ্যপাল তাঁর সাংবিধানিক পদের অবমাননা করছেন ৷ তিনি তাঁর রাজনৈতিক পরিচয়কেও সামনে আনছেন ৷ সংবিধান অনুযায়ী কোনও মন্ত্রীকে নিয়োগ বা বরখাস্ত করার অধিকার রয়েছে একমাত্র মুখ্যমন্ত্রীর ৷ রাজ্যপাল শুধু নিজের পদের অপপ্রয়োগ করছেন না বরং তিনি সাংবিধানিক সীমাও অতিক্রম করছেন ৷"

শিক্ষামন্ত্রীকে সরানোর পাশাপাশি রাজভবনের তরফে জারি করা বিবৃতিতে লেখা হয়েছে, "রাজ্য সরকারের উচ্চশিক্ষা দফতরের বেআইনি আদেশে যে সকল উপাচার্য বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজ স্তব্ধ করে করে রেখেছেন, আচার্য তাঁদের সতর্ক করছেন।" পশ্চিমবঙ্গ সরকার বিশ্ববিদ্যালয়গুলির ক্ষমতা কুক্ষিগত করতে চাইছে বলেও অভিযোগ করা হয় ওই বিবৃতিতে। (পিটিআই)

আরও পড়ুন:

  1. 'কে কাকে বিয়ে করবে তাও ঠিক করে দেবে', অভিন্ন দেওয়ানি বিধি নিয়ে বিজেপি'কে তোপ মুখ্যমন্ত্রীর
  2. 10 বছরে যা উন্নয়ন হয়েছে তা ট্রেলার, কোচবিহারের সভা থেকে দাবি মোদির

কলকাতা, 4 এপ্রিল: ব্রাত্য বসুকে শিক্ষামন্ত্রী পদ থেকে অপসারণের জন্য রাজ্য সরকারকে সুপারিশ রাজ্যপাল ৷ সম্প্রতি গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে রাজনীতিবিদদের সঙ্গে বৈঠক করে 'ইচ্ছাকৃতভাবে' নির্বাচনী আদর্শ আচরণবিধি লঙ্ঘন করেছেন শিক্ষামন্ত্রী ৷ এরপরই রাজ্যপাল আনন্দ বোস বৃহস্পতিবার শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুকে পদ থেকে সরিয়ে দেওয়ার জন্য রাজ্যকে জানিয়েছেন ৷ রাজ্য সরকার তাঁকে মন্ত্রিসভা থেকে সরিয়ে দেবে বলে রাজ্যপালকে জানিয়েছেন বলে রাজভবন সূত্রে খবর ৷

রাজভবনের তরফে জানানো হয়েছে, বিশ্ববিদ্য়ালের প্রাঙ্গণে সভা করার বিষয়টি আদতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবস্থাকে অসম্মান করার সামিল বলেই মনে করছেন আচার্য আনন্দ বোস। উল্লেখ্য, 30 মার্চ রাজ্যের একাধিক মন্ত্রী, সাংসদ, বিধায়ক এবং রাজনৈতিক নেতাদের সঙ্গে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর নেতৃত্বে গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয় ৷ এরপরই নির্বাচনী বিধিভঙ্গের জন্য রাজ্য সরকারকে শিক্ষামন্ত্রীর বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। ব্রাত্যকে অবিলম্বে মন্ত্রিসভা থেকে অপসারণেরও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে রাজ্যপালের তরফে ৷

অন্যদিকে, রাজ্যপালের এই নির্দেশকে 'হাস্যকর' বলেছেন ব্রাত্য বসু ৷ তিনি এক্স হ্যান্ডেলে লিখেছেন, "আমিও রাষ্ট্রপতির কাছে রাজ্যপালকে অপসারণের সুপারিশ করলে যেমন বিষয়টা হাস্যকর হতো এটাও তেমনই ৷ নির্বাচনী বিধিভঙ্গ হলে সেটা কোনও রাজনৈতিক দলের তরফে নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ জানানো হত ৷ রাজ্যপাল তাঁর সাংবিধানিক পদের অবমাননা করছেন ৷ তিনি তাঁর রাজনৈতিক পরিচয়কেও সামনে আনছেন ৷ সংবিধান অনুযায়ী কোনও মন্ত্রীকে নিয়োগ বা বরখাস্ত করার অধিকার রয়েছে একমাত্র মুখ্যমন্ত্রীর ৷ রাজ্যপাল শুধু নিজের পদের অপপ্রয়োগ করছেন না বরং তিনি সাংবিধানিক সীমাও অতিক্রম করছেন ৷"

শিক্ষামন্ত্রীকে সরানোর পাশাপাশি রাজভবনের তরফে জারি করা বিবৃতিতে লেখা হয়েছে, "রাজ্য সরকারের উচ্চশিক্ষা দফতরের বেআইনি আদেশে যে সকল উপাচার্য বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজ স্তব্ধ করে করে রেখেছেন, আচার্য তাঁদের সতর্ক করছেন।" পশ্চিমবঙ্গ সরকার বিশ্ববিদ্যালয়গুলির ক্ষমতা কুক্ষিগত করতে চাইছে বলেও অভিযোগ করা হয় ওই বিবৃতিতে। (পিটিআই)

আরও পড়ুন:

  1. 'কে কাকে বিয়ে করবে তাও ঠিক করে দেবে', অভিন্ন দেওয়ানি বিধি নিয়ে বিজেপি'কে তোপ মুখ্যমন্ত্রীর
  2. 10 বছরে যা উন্নয়ন হয়েছে তা ট্রেলার, কোচবিহারের সভা থেকে দাবি মোদির
Last Updated : Apr 4, 2024, 9:57 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.