তারাপীঠ, 23 এপ্রিল: "কেষ্টকে ইলেকশনের পর ছেড়ে দেবে", তারাপীঠে নির্বাচনী প্রচার মঞ্চ থেকে আজ এমনটাই মন্তব্য করলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ বীরভূম লোকসভা কেন্দ্রের প্রার্থী শতাব্দী রায়ের সমর্থনে আজ তারাপীঠে প্রচার সভা করেন তিনি ৷ সেখানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে ফের 'প্রিয় কেষ্ট'র কথা তুলে ধরলেন তিনি ৷ এর আগেও একাধিবার বীরভূম সফরে এসে অনুব্রতর কথা বলতে শোনা গিয়েছে মুখ্যমন্ত্রীকে ৷ এমনকি বীরভূমে তৃণমূলের জেলা সভাপতির পদও খালি রখেছেন মমতা ৷
গরুপাচার ও মানি লন্ডারিংয়ের মামলায় তিহাড়ে বন্দি অনুব্রত মণ্ডল ৷ এই প্রথম তাঁকে ছাড়াই বীরভূম জেলার দু’টি লোকসভা কেন্দ্রে লড়াই করছে তৃণমূল কংগ্রেস ৷ 'প্রিয় কেষ্ট' তিহাড়ে বন্দি থাকলেও তাঁর কথা বার বার বলতে শোনা গিয়েছে মমতাকে ৷ এদিনও বীরভূমের সভা থেকে কেষ্টর কথা বললেন তিনি ৷ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, "কেষ্ট ও তাঁর মেয়েকে বন্দি করে রেখেছে ৷ দেখবেন ইলেকশনের পর ছেড়ে দেবে ৷ যাতে ইলেকশন তৃণমূল করতে না পারে ৷ চাঁদুর বাড়িতে কেন গিয়েছিল ? চাঁদু আমাকে না বলুক, আমি জানি ৷ তৃণমূল কোরো না, বসে যাও ৷ কোন দিন কাজলকে বলবে, রানাকে বলবে তৃণমূল কোরো না, বসে যাও ৷ খেলা চলছে ৷"
তবে, অনুব্রত না থাকলেও, বীরভূমের দুই লোকসভা আসন নিয়ে আত্মবিশ্বাসী মমতা ৷ তাই তাঁকে বলতে শোনা গেল, "ভোট এলেই কেষ্টকে ঘরবন্দি করত ৷ তাতে কি ভোট আটকাতো ? বীরভূমের মানুষ ঠিকই ভোট দিত ৷" প্রসঙ্গত, অনুব্রতহীন বীরভূমে এই প্রথম লোকসভা নির্বাচনের প্রচার করলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷
এদিন বীরভূম লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী তথা বিদায়ী সাংসদ শতাব্দী রায়ের সমর্থনে তারাপীঠের কড়কড়িয়া মাঠে সভা করেন মমতা ৷ উপস্থিত ছিলেন শতাব্দী রায়-সহ রাজ্যের ক্ষুদ্র, মাঝারি ও কুটির শিল্প মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহা, বিধানসভার উপাধ্যক্ষ আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়, জেলা পরিষদের সভাধিপতি কাজল শেখ, রাজ্যসভার সাংসদ সামিরুল ইসলাম-সহ বিধায়ক এবং নেতারা ৷ সিদ্ধপীঠ তারাপীঠ মন্দিরের দুই সেবাইত তারাময় মুখোপাধ্যায় ও ধ্রুব মুখোপাধ্যায়কেও এদিন মমতার সঙ্গে মঞ্চে দেখা গিয়েছে ৷
আরও পড়ুন: