বহরমপুর, 1 এপ্রিল: 2024 সালের লোকসভা নির্বাচনে বিজেপিকে হারাতে তৈরি হয়েছিল বিরোধীদের জোট ‘ইন্ডিয়া’ ৷ সেই জোট ভেঙে যাওয়ার দায় বাংলার মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘাড়ে চাপালেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীররঞ্জন চৌধুরী ৷ মমতার উদ্দেশ্যে তাঁর প্রশ্ন, ‘‘ইন্ডিয়া জোট ভাঙলেন কেন আপনি ?’’
সোমবার বহরমপুরে সাংবাদিক বৈঠক করেন অধীর চৌধুরী ৷ সেই সাংবাদিক বৈঠক থেকেই মমতার বিরুদ্ধে ইন্ডিয়া জোট ভাঙা নিয়ে সরাসরি অভিযোগের আঙুল তোলেন তিনি ৷ অধীর চৌধুরী বলেন, ‘‘অবরিন্দ কেজরিওয়াল বা হেমন্ত সোরেন ইন্ডিয়া জোট ভাঙেনি । তাই আজ তাঁরা প্রতিহিংসার জেরে জেলে রয়েছেন । মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিজেপির দালালি করেন বলেই আজ জেলের বাইরে । ভাইপো জেলের বাইরে । উনি যেদিন ইন্ডিয়া জোটের নামকরণ করেছিলেন, রাহুল গান্ধিকে নেতা বলে মেনে নিয়েছিলেন, সেদিনও আমি বিরোধিতা করেছিলাম । ইন্ডিয়া জোট যদি কেউ ভেঙে থাকে, তাহলে তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । বিজেপির দালালি করার জন্যই করেছেন ।’’
তৃণমূলকে ভোট না দিলে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার বন্ধ করে দেওয়া হবে বলে তৃণমূল নির্বাচনী প্রচারে বলছে, এমনই অভিযোগ উঠেছে ৷ সোমবার সাংবাদিক বৈঠক থেকে এই প্রসঙ্গে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী বলেন, ‘‘মানুষের দারিদ্রতাকে নিয়ে ব্ল্যাকমেলিং করা হচ্ছে । ভোটের আগে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার এক হাজার করা হয়েছে । কর্ণাটকে কংগ্রেস সরকার দু'হাজার টাকা দেয় লক্ষ্মীর ভাণ্ডারে ।’’
পাশাপাশি তিনি বলেন, ‘‘কংগ্রেস ঘোষণা করে দিয়েছে, ক্ষমতায় এলে প্রত্যেক মহিলাকে বছরে এক লক্ষ করে টাকা দেওয়া হবে । বেকার যুবকদের কারিগরী প্রশিক্ষণের জন্য সরকার এক লক্ষ টাকা খরচ করবে । যাতে তারা চাকরি পেতে পারে । প্রশিক্ষণ নিয়ে স্বনির্ভর হতে পারে ।’’
আরও পড়ুন: