চুঁচুড়া, 10 মার্চ: হুগলি লোকসভার বিজেপির সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়ের তৃণমূলের চ্যালেঞ্জ অভিনেত্রী রচনা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ লোকসভা ভোটে বিজেপি এই কেন্দ্রে প্রার্থী হিসাবে লকেটের নাম আগেই ঘোষণা করেছিল। সেইমত বুথে বুথে প্রচার ও দেওয়াল লিখনও শুরু করেছেন বিজেপি সাংসদ।রবিবার কলকাতার ব্রিগেডের মঞ্চ থেকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় তৃণমূল প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেন। আর সেই তালিকায় হুগলি থেকে রচনার নাম ঘোষণা করে চমক দেয় তৃণমূল। রচনা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রার্থী হতেই হুগলিতে তৃণমূল কর্মীরা নেমে পড়ল দেওয়াল লিখতে। চুনকাম করাই ছিল, এবার সেই সাদা দেওয়ালে রচনার নাম জোড়া ফুল প্রতীক এঁকে শুরু হয়ে গেল এই কেন্দ্রে তৃণমূলের প্রচার অভিযান। বিজেপি জেলা কার্যালয়ের কাছেও তৃণমূল প্রার্থীর সমর্থনে দেওয়াল লেখা হয়। এছাড়াও খন্যান, মগড়ার সপ্তগ্রামেও হয় দেওয়াল লেখা। যদিও রচনাকে প্রার্থী হিসাবে খুব একটা গুরুত্ব দিতে নারাজ লকেট ৷
অভিনেত্রী রচনা বন্দ্যোপাধ্যায় ও লকেট চট্টোপাধ্যায় এখন সমুখ সমরে লড়াই। এই রাজনৈতিক লড়াইটা কতটা কঠিন হবে, হুগলির জনতা কাকেই বা ভোট দিয়ে জেতাবেন, তার জন্য আরও কিছুটা সময় অপেক্ষা করতে হবে ৷ তবে রচনাকে জেতাতে মরিয়া তৃণমূল কংগ্রেস। যেহেতু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রিয় অভিনেত্রীর তালিকায় নাম আছে রচনার। তৃণমূলের বিধায়ক থেকে এলাকার নেতারাও অভিনেত্রী প্রার্থীকে জেতানোর মরিয়া চেষ্টা করবেন বলেই জানাচ্ছেন তাঁরা। এখন বিজেপির লকেট চট্টোপাধ্যায় না রচনা বন্দ্যোপাধ্যায় কে হবেন হুগলির দিদি নং 1 সেটাই দেখার।
অভিনেত্রী রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে রাজনৈতিক মঞ্চে লকেটের লড়াই কেমন হবে ? সিঙ্গুরে প্রচারে গিয়ে সেই প্রশ্নের উত্তরে লকেট চট্টোপাধ্যায় অবশ্য বলছেন, "আমরা দু'জনেই অনেক সিনেমায় সহ অভিনেত্রী হিসেবে কাজ করেছি। এটা লকেট ও রচনার লড়াই নয়। মোদি ও মমতার কাজের ভিত্তিতে লড়াই হবে।" রচনা বন্দ্যোপাধ্যায় ওড়িয়া, বাংলা, ভোজপুরী, তেলুগু, তামিল, কন্নড় ভাষার একাধিক ছবিতে কাজ করেছেন। 1993 সালে 'দান প্রতিদান' ছবির মাধ্যমে তাঁর বাংলায় ডেবিউ। তখন ছবির পরিচালক সুখেন দাস তাঁর নাম ঝুমঝুম পালটে রচনা রাখেন ৷ তিনি 40টিরও বেশি ছবিতে অভিনয় করেন সিদ্ধান্ত মহাপাত্রর সঙ্গে। অমিতাভ বচ্চনের সঙ্গে 'সূর্যবংশম' ছবিতেও অভিনয় করেন। অভিনয়ের মঞ্চে থেকে এই প্রথম রাজনৈতিক ময়দানে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত ধরেই এবছর তৃণমূলের প্রার্থী হওয়ায়। তৃণমূলের প্রার্থী হওয়ার পর রচনা বলেন, "আমি বাংলার মেয়ে। পশ্চিমবঙ্গের উন্নয়নের জন্য যারা কাজ করেন তাদের সঙ্গে আমি আছি।"
চুঁচুড়া পৌরসভার 15 নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ইন্দ্রজিৎ দত্ত তৃণমূল প্রার্থী ঘোষণার পরই দেওয়াল লেখা শুরু করেন। তিনি বলেন, "বিজেপির সাংসদ জয়ী করে মানুষ বুঝতে পেরেছে কোনও উপকারে আসেননি তিনি। আর যেভাবে রাজ্য সরকার উন্নয়ন করেছে তাতে আমাদের প্রার্থীর অনায়াসেই জয় আসবে হুগলি লোকসভায়।"
আরও পড়ুন
ব্রিগেডেই প্রথম দেখা মমতা-অভিষেকের সঙ্গে, কোন জাদুতে প্রার্থী হলেন ইউসুফ
কথা রাখলেন না অভিষেক, তোপ অর্জুনের; জিইয়ে রাখলেন দলবদলের সম্ভাবনা