কলকাতা, 18 নভেম্বর: মুখ্যমন্ত্রীকে অভিযোগ জানাতে গিয়েছিলেন ৷ পাল্টা ওই যুবককেই আটক করা হল । সোমবার নবান্ন সভাঘরে বৈঠক ছিল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের । সেখানেই মুখ্যমন্ত্রীকে স্বাগত জানাতে উপস্থিত ছিলেন কিছু সাধারণ মানুষ । তার মধ্যে থেকেই একজন মুখ্যমন্ত্রী সঙ্গে দেখা করতে চেয়ে জেদাজেদি করতে থাকেন।
চাকরি চাই বলে আচমকাই হল্লা করতে থাকেন এক যুবক। পুলিশ প্রাথমিকভাবে তাকে শান্তভাবে বিষয়টি বোঝানোর চেষ্টা করলেও তিনি মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতের জন্য সাওয়াল করতে থাকেন। কোনও পূর্বনির্ধারিত অ্য়াপয়েন্টমেন্ট ছাড়া এভাবে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করা যায় না বললেও, তাকে নিরস্ত করা যায়নি। এই অবস্থায় তড়িঘড়ি পুলিশ তাকে আটক করে বলে জানা গিয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য শিবপুর থানায় তাকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। বাস্তবিকই সমস্যায় পড়ে মানসিক অবসাদ থেকে এ ধরনের আচরণ করলেন নাকি, এর পিছনে অন্য কোনও উদ্দেশ্য আছে সেটাই খতিয়ে দেখার চেষ্টা করছে পুলিশ ৷
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ব্যক্তিগত সমস্যা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী সঙ্গে দেখা করার জন্য জোর করতে থাকেন ওই ব্যক্তি। এই অবস্থায় পুলিশ তড়িঘড়ি তাকে আটক করেছে। পুলিশ শিবপুর থানায় নিয়ে গিয়ে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে। যতদূর জানা গিয়েছে, আটক এই যুবকের নাম শেখ সামিরুল। বয়স 35 বছর। হাওড়ার বাকরার বাসিন্দা। ব্যক্তিগত সমস্যায় পড়েই তিনি মুখ্যমন্ত্রীর শরণাপন্ন হয়েছিলেন। প্রাথমিকভাবে জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশ জানতে পেরেছে, ওই যুবক কাপড়ের ব্যবসায়ী। দীর্ঘ সময় ধরে ব্যবসা ভালো যাচ্ছিল না তার।
এসব নিয়েই নাকি মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলতে চেয়েছিলেন তিনি। প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে, ওই যুবক মানসিক অবসাদগ্রস্ত। কিন্তু এই অবস্থায় এখনই কোনও সিদ্ধান্তে পৌঁছতে চাইছে না পুলিশ। নিতান্তই সংকটে পড়ে মুখ্যমন্ত্রী সাহায্য চাইতে এদিন ওই যুবক এসেছিলেন নাকি অন্য কোনও উদ্দেশ্য ছিল তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। প্রসঙ্গত, এদিন নবান্ন সভাঘরে আদিবাসী উন্নয়ন নিয়ে বৈঠক ছিল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। তার মাঝেই এভাবে আচমকা মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতের জন্য এই ধরনের আচরণ যথেষ্ট সন্দেহজনক বলেই মনে করছে পুলিশ।
তবে মুখ্যমন্ত্রীর কনভয় যাওয়ার ক্ষেত্রে কোনও সমস্যা তৈরি করেনি বলেই জানা যাচ্ছে ৷ কারণ মুখ্যমন্ত্রীর কনভয় নবান্ন থেকে বের হওয়ার আগেই এই যুবককে আটক করে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়।