ETV Bharat / opinion

গ্রিন হাইড্রোজেনের ব্যবহার বৃদ্ধি ভারতের জন্য জরুরি

গ্রিন হাইড্রোজেন, পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তির উৎস ব্যবহার করে উৎপাদিত একটি জ্বালানি, টেকসই শক্তির দিকে সারা বিশ্বের পরিবর্তনের একটি মূল অংশীদার হিসাবে আবির্ভূত হচ্ছে ৷

Green Hydrogen
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি 28 ফেব্রুয়ারি, 2024-এ তামিলনাড়ুর থুথুকুডিতে একাধিক উন্নয়ন প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন এবং জাতির উদ্দেশে উৎসর্গ করার সময় হারিত নৌকা উদ্যোগের অধীনে ভারতের প্রথম দেশীয় গ্রিন হাইড্রোজেন ফুয়েল সেল ইনল্যান্ড ওয়াটারওয়ে ভেসেল চালু করেন। (ইটিভি ভারত ভায়া পিআইবি)
author img

By Milind Kumar Sharma

Published : Nov 5, 2024, 6:21 PM IST

জলবায়ুর পরিবর্তন, শক্তি-সুরক্ষা নিয়ে উদ্বেগ ও দূষণের মাত্রা ক্রমশ বৃদ্ধি হওয়া সারা বিশ্বের কাছে বড় চ্যালেঞ্জ উঠছে ৷ তাই স্বচ্ছ ও টেকসই জ্বালানির উৎসের প্রয়োজনীয়তা আগে এত জরুরি ছিল না, যা এখন হচ্ছে ৷ এই প্রেক্ষাপটে গ্রিন হাইড্রোজেন টেকসই শক্তির দিকে বিশ্বের আগ্রহী হওয়ার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে পারে ৷ গ্রিন হাইড্রোজেন পুনর্ব্যবহারযোগ্য শক্তি ব্যবহার করে তৈরি হওয়া জ্বালানি ৷

ভারতে শক্তির চাহিদা ক্রমশ বাড়ছে ৷ ভারত গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমন কমানোর প্রতিশ্রুতি দিয়ে রেখেছে ৷ তাই ভারত গ্রিন হাইড্রোজেনকে একটি সম্ভাব্য গেম-চেঞ্জার হিসাবে চিহ্নিত করেছে ৷ যেসব জায়গায় বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া কঠিন, সেখানে গ্রিন হাইড্রোজেনকে শক্তির উৎস হিসেবে ব্যবহার করলে একদিকে কার্বন নির্গমন কমানো যায়, অন্যদিকে ভারতে শক্তির ব্যবহারের ল্যান্ডস্কেপেও পরিবর্তন হয় ৷ এছাড়াও বাতাসের গুণমান উন্নত হওয়া, আমদানির নির্ভরতা কমা এবং দেশের জলবায়ু সংক্রান্ত লক্ষ্যপূরণের সম্ভাবনাও তৈরি হয় ৷

Green Hydrogen
গৌরী সিং, আন্তর্জাতিক পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তি সংস্থার (আইআরইএনএ) ডেপুটি ডিরেক্টর জেনারেল, 13 সেপ্টেম্বর, 2024-এ নয়াদিল্লিতে ভারত মণ্ডপমে গ্রিন হাইড্রোজেনের উপর দ্বিতীয় আন্তর্জাতিক সম্মেলনের পাশে ‘হাইড্রোজেন নিয়ে সিঙ্গাপুরের উদ্যোগ’ বিষয়ে বক্তৃতা করছেন। (ইটিভি ভারত ভায়া পিআইবি)

হাইড্রোজেন, যা মহাবিশ্বের সবচেয়ে প্রাচুর্য উপাদান, তা দীর্ঘকাল ধরে শক্তির সম্ভাব্য বাহক হিসেবে স্বীকৃত । যদিও, সমস্ত হাইড্রোজেন পরিবেশ বান্ধব উপায়ে উৎপাদিত হয় না । হাইড্রোজেনের উৎপাদন প্রক্রিয়ার উপর ভিত্তি করে একে শ্রেণীবদ্ধ করা যেতে পারে ৷ যেমন - গ্রে হাইড্রোজেন, ব্লু হাইড্রোজেন এবং গ্রিন হাইড্রোজেন ।

যদিও গ্রে হাইড্রোজেন ও ব্লু হাইড্রোজেন জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে উৎপাদিত হয়, যা কার্বন ডাই অক্সাইডকে বাইপ্রোডাক্ট হিসাবে মুক্ত করে ৷ এটা কার্বন নির্গমন কমাতে কার্বন ধরে রাখা এবং স্টোরেজ টেকনোলজির সঙ্গেও জড়িত ৷ গ্রিন হাইড্রোজেন পুনর্নবীকরণযোগ্য বিদ্যুৎ (সৌর বা বায়ু থেকে) ব্যবহার করে জলের ইলেক্ট্রোলাইসিসের মাধ্যমে উৎপাদিত হয় ৷ এটা বাইপ্রোডাক্ট হিসেবে শুধুমাত্র অক্সিজেন মুক্ত করে । আর এটাকে সম্পূর্ণরূপে কার্বন-মুক্ত জ্বালানি হিসাবে তৈরি করে । উল্লেখ করা বাহুল্য যে গ্রিন হাইড্রোজেন স্বচ্ছ ও টেকসই শক্তির প্রতিনিধিত্ব করে, যা উল্লেখযোগ্যভাবে কার্বন নির্গমন কমাতে ও জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার বন্ধ করে বিশ্বব্যাপী রূপান্তর ঘটাতে পারে ৷

বিভিন্ন বাণিজ্যিক ও ঘরোয়া কারণে ভারতের জ্বালানি চাহিদা দ্রুত বাড়ছে । বর্তমানে দেশ কয়লা ও আমদানি করা তেলের উপর ব্যাপকভাবে নির্ভরশীল ৷ এই দু’টিই ভারী গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমনের প্রধান উৎস । জাতীয় প্রয়োজনীয়তা হল - কার্বন নির্গমন হ্রাস, শক্তি নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, অর্থনৈতিক বৃদ্ধি, কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং বায়ুর গুণাবলীর উন্নতি ইত্যাদি ৷ এই প্রয়োজনীয়তাই ভারতে গ্রিন হাইড্রোজেন ব্যবহার বৃদ্ধির গুরুত্ব বাড়াচ্ছে ৷

Green Hydrogen
ভারত সরকারের প্রধান বৈজ্ঞানিক উপদেষ্টা, প্রফেসর অজয় ​​কুমার সুদ 13 সেপ্টেম্বর, 2024-এ নতুন দিল্লিতে গ্রিন হাইড্রোজেনের উপর দ্বিতীয় আন্তর্জাতিক সম্মেলনে ভাষণ দিচ্ছেন। (ইটিভি ভারত ভায়া পিআইবি)

চিন ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পরে ভারত বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম কার্বন ডাই অক্সাইড নির্গমনকারী দেশ । তা সত্ত্বেও ভারত 2070 সালের মধ্যে শূন্য কার্বন নির্গমন (নেট-জিরো এমিশন) এবং 2030 সালের মধ্যে 45 শতাংশ কার্বন নির্গমনের (2005 সালের নিরিখে) তীব্রতা হ্রাসের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন-সহ জলবায়ু সংক্রান্ত লক্ষ্যপূরণে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ । গ্রিন হাইড্রোজেনে বিনিয়োগ করে, ভারত তার শক্তির মিশ্রণকে উল্লেখযোগ্যভাবে ডিকার্বনাইজ বা কার্বনের ব্যবহার কমাতে পারবে ৷ ধাতু, সিমেন্ট, হেভি ইঞ্জিনিয়ারিং ও ভারী পরিবহণের মতো ক্ষেত্রগুলিতে কার্বনের ব্যবহার বেশি কমবে ৷

এটা লক্ষণীয় যে ভারত তার অপরিশোধিত তেলের প্রয়োজনীয়তার প্রায় 85 শতাংশ আমদানি করে ৷ ভূ-রাজনৈতিক সংকটের কারণে বিশ্বব্যাপী তেলের দামের ওঠানামা এবং ঘন ঘন সরবরাহ ব্যাহত হওয়ার ঝুঁকিও থাকে এই ক্ষেত্রে ৷ গ্রিন হাইড্রোজেনের ব্যবহার বৃদ্ধি পেলে ভারত তেল ও গ্যাসের আমদানির উপর নির্ভরতা কমাতে পারবে ৷ শক্তির ব্যবহারের নিরাপত্তা বাড়াতে পারবে এবং আরও স্বনির্ভর শক্তির ল্যান্ডস্কেপ তৈরি করতে পারবে ।

গ্রিন হাইড্রোজেন উৎপাদন ও পরিকাঠামো উন্নয়নের দিকে একটি পরিবর্তন অর্থনৈতিক বৃদ্ধিকে উদ্দীপিত করতে পারে এবং নতুন কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করতে পারে । গ্রিন হাইড্রোজেন শিল্প ইলেক্ট্রোলাইজারের উৎপাদন, পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তির উৎসগুলির বিকাশ ও পরিবহণ এবং স্টোরেজ সমাধান-সহ অনেক বড় কর্মকাণ্ডকে অন্তর্ভুক্ত করে ।

এই সেক্টরে বিনিয়োগের মাধ্যমে ভারতের গ্রিন হাইড্রোজেনে বিশ্বব্যাপী নেতা হয়ে ওঠার, উচ্চমানের চাকরি তৈরি ও জিডিপি বৃদ্ধির সম্ভাবনা রয়েছে । এছাড়াও, বায়ুদূষণ ভারতে একটি উল্লেখযোগ্য জনস্বাস্থ্য সংকট ৷ প্রধান শহরগুলি ঘন ঘন বায়ুদূষণকারীর বিপজ্জনক মাত্রা রেকর্ড করে । গ্রিন হাইড্রোজেনে রূপান্তর করা পরিবহণ এবং শিল্প প্রক্রিয়ার মতো ক্ষেত্রগুলিতে জীবাশ্ম জ্বালানির প্রয়োজনীয়তা হ্রাস করতে পারে, যার ফলে দূষণকারী নির্গমন কমাতে এবং বায়ুর গুণমান উন্নত হবে ৷ এর ফলে জনস্বাস্থ্যের বিষয়টি উন্নত হবে এবং স্বাস্থ্য পরিষেবা ক্ষেত্রে খরচ কমবে ৷

Green Hydrogen
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি 28 ফেব্রুয়ারি, 2024-এ তামিলনাড়ুর থুথুকুডিতে 'দেশের প্রথম গ্রিন হাইড্রোজেন হাব পোর্ট'-এ প্রদর্শিত প্রদর্শনী ঘুরে দেখছেন৷ (ইটিভি ভারত ভায়া পিআইবি)

যদিও গ্রিন হাইড্রোজেনের সম্ভাব্য সুবিধাগুলি যেমন স্পষ্ট, তেমনই এর কয়েকটি চ্যালেঞ্জও রয়েছে । উচ্চ উৎপাদন খরচ, পরিকাঠামোগত চাহিদা, ইলেক্ট্রোলাইজারের সীমিত অভ্যন্তরীণ উৎপাদন, শক্তির চাহিদা ইত্যাদি ৷ তাই গ্রিন হাইড্রোজেনকে ভারতে একটি কার্যকর শক্তি হিসেবে তুলে ধরতে এই সমস্যাগুলির সমাধান আগে করতে হবে । ইলেক্ট্রোলাইজার ও নবায়নযোগ্য বিদ্যুতের উচ্চমূল্যের কারণে গ্রিন হাইড্রোজেন বর্তমানে গ্রে এবং ব্লু হাইড্রোজেনের চেয়ে বেশি ব্যয়বহুল ।

জীবাশ্ম জ্বালানির সঙ্গে খরচ-প্রতিযোগিতা অর্জনের জন্য উল্লেখযোগ্য প্রযুক্তিগত অগ্রগতি, উৎপাদন বৃদ্ধি এবং খরচ কমানোর জন্য নীতি সহায়তা প্রয়োজন । ভারতে এর উৎপাদন, সঞ্চয়স্থান এবং পরিবহণ পরিকাঠামো এখনও প্রাথমিক অবস্থায় রয়েছে । দেশে প্রয়োজনীয় পাইপলাইন, ফুয়েলিং স্টেশন এবং স্টোরেজ সুবিধার অভাব রয়েছে ৷ এর ফলে গ্রিন হাইড্রোজেন বৃহৎ আকারে গ্রহণ করা চ্যালেঞ্জিং হয়ে উঠেছে ।

গ্রিন হাইড্রোজেনের সম্পূর্ণ ভ্যালু চেইনকে তৈরি করার জন্য পরিকাঠামোতে যথেষ্ট বিনিয়োগ প্রয়োজন । গ্রিন হাইড্রোজেন উৎপাদনের জন্য ইলেক্ট্রোলাইজার অপরিহার্য, তবুও ভারত বর্তমানে তার বেশিরভাগ ইলেক্ট্রোলাইজারের চাহিদার জন্য আমদানির উপর নির্ভর করে । গ্রিন হাইড্রোজেনের উৎপাদন বৃদ্ধি এবং খরচ কমাতে ইলেক্ট্রোলাইজারের জন্য দেশীয় উৎপাদন ক্ষমতা উন্নত করতে হবে ৷

এটা ছাড়াও, গ্রিন হাইড্রোজেন উৎপাদনের জন্য উল্লেখযোগ্য পরিমাণে নবায়নযোগ্য শক্তি প্রয়োজন । ক্রমবর্ধমান বিদ্যুতের চাহিদা এবং গ্রিন হাইড্রোজেন উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা উভয়ই পূরণ করতে, ভারতকে অবশ্যই পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তির ক্ষমতা দ্রুত প্রসারিত করতে হবে । পরিচ্ছন্ন বিদ্যুতের পর্যাপ্ত সরবরাহ নিশ্চিত করা একটি বড় চ্যালেঞ্জ হবে গ্রিন হাইড্রোজেন তৈরি করার জন্য ।

গ্রিন হাইড্রোজেনের গুরুত্ব স্বীকার করে ভারত সরকার 2021 সালে জাতীয় হাইড্রোজেন মিশন চালু করেছিল ৷ যার লক্ষ্য ছিল গ্রিন হাইড্রোজেন উৎপাদন ও রফতানির ক্ষেত্রে ভারতকে একটি গ্লোবাল হাব হিসেবে গড়ে তোলা ৷ এই মিশনের মাধ্যমে গ্রিন হাইড্রোজেনের উৎপাদন বৃদ্ধি করা, খরচ কমানো এবং হাইড্রোজেন প্রযুক্তিতে গবেষণা ও উন্নয়নের প্রচার করার লক্ষ্য নেওয়া হয়েছে ।

Green Hydrogen
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি 28 ফেব্রুয়ারি, 2024-এ তামিলনাড়ুর থুথুকুডিতে 'দেশের প্রথম গ্রিন হাইড্রোজেন হাব পোর্ট'-এ প্রদর্শিত প্রদর্শনী ঘুরে দেখছেন৷ (ইটিভি ভারত ভায়া পিআইবি)

এছাড়াও, সরকার গ্রিন হাইড্রোজেন খাতে বিনিয়োগ আকৃষ্ট করার জন্য বিভিন্ন ইনসেনটিভের রূপরেখা দিয়েছে ৷ এর মধ্যে কর ছাড়, ভর্তুকি এবং গবেষণা ও মানোন্নয়নের জন্য আর্থিক সহায়তার বিষয়টি রয়েছে । উৎপাদন খরচ কমাতে হাইড্রোজেন উৎপাদনের জন্য নবায়নযোগ্য শক্তি প্ল্যান্ট স্থাপনের ইনসেনটিভের বিবেচনা করা হচ্ছে ।

সরকার গ্রিন হাইড্রোজেন কেনা বাধ্যতামূলক করার কথা ভেবেছে ৷ যার জন্য সার ও শোধনাগারের মতো নির্দিষ্ট শিল্পগুলিকে গ্রিন উৎস থেকে তাদের হাইড্রোজেনের একটি নির্দিষ্ট শতাংশ কিনতে হবে । এই পদক্ষেপটি গ্রিন হাইড্রোজেনের জন্য একটি স্থিতিশীল চাহিদা তৈরি করবে এবং ভবিষ্যতে এর উৎপাদনে বিনিয়োগকে উৎসাহিত করবে বলে আশা করা হচ্ছে ।

এছাড়াও, ভারত হাইড্রোজেন উৎপাদন, সঞ্চয়স্থান এবং ব্যবহারে প্রযুক্তি ও দক্ষতা শেয়ার করার জন্য জাপান, জার্মানি এবং অস্ট্রেলিয়ার মতো দেশগুলির সঙ্গে অংশীদারিত্ব করেছে । ভারতে গ্রিন হাইড্রোজেন প্রযুক্তিগুলি দ্রুত গ্রহণ করা এবং বিশ্বব্যাপী গ্রিন হাইড্রোজেনের বাজারে একটি গুরুত্বপূর্ণ শক্তি হিসেবে আর্বিভূত হওয়াই আসল লক্ষ্য ৷ তাই, গ্রিন হাইড্রোজেনের জন্য প্রয়াস সত্যিই ভারতের জন্য প্রয়োজন ।

উচ্চ নির্গমনের ক্ষেত্রগুলিতে ডিকার্বনাইজ করার, জীবাশ্ম জ্বালানি আমদানির উপর নির্ভরতা কমিয়ে ও আরও অর্থনৈতিক বৃদ্ধির সম্ভাবনার সঙ্গে গ্রিন হাইড্রোজেন ভারতের শক্তি পরিবর্তনের ভিত্তি হতে পারে । যদিও, এই সম্ভাবনা উপলব্ধি করার জন্য পরিকাঠামো, গবেষণা ও উন্নয়ন, প্রযুক্তি এবং নীতি সহায়তায় বিনিয়োগ-সহ একটি টেকসই এবং সহযোগিতামূলক প্রচেষ্টা প্রয়োজন । গ্রিন হাইড্রোজেনের পরিসরে নিজেকে একজন নেতা হিসেবে অবস্থান করতে হলে ভারতকে একটি পরিচ্ছন্ন ও আরও স্থিতিস্থাপক এবং স্বয়ংসম্পূর্ণ শক্তির ভবিষ্যত গড়ে তুলতে পারে, পাশাপাশি বৈশ্বিক জলবায়ুর লক্ষ্যে অবদান রাখতে পারে ও অন্যান্য দেশগুলির অনুসরণ করার জন্য একটি উদাহরণ স্থাপন করতে পারে ।

(এই নিবন্ধে প্রকাশিত মতামত লেখকের ৷ এখানে প্রকাশিত তথ্য ও মতামত ইটিভি ভারত-এর মতামতকে প্রতিফলিত করে না ৷)

জলবায়ুর পরিবর্তন, শক্তি-সুরক্ষা নিয়ে উদ্বেগ ও দূষণের মাত্রা ক্রমশ বৃদ্ধি হওয়া সারা বিশ্বের কাছে বড় চ্যালেঞ্জ উঠছে ৷ তাই স্বচ্ছ ও টেকসই জ্বালানির উৎসের প্রয়োজনীয়তা আগে এত জরুরি ছিল না, যা এখন হচ্ছে ৷ এই প্রেক্ষাপটে গ্রিন হাইড্রোজেন টেকসই শক্তির দিকে বিশ্বের আগ্রহী হওয়ার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে পারে ৷ গ্রিন হাইড্রোজেন পুনর্ব্যবহারযোগ্য শক্তি ব্যবহার করে তৈরি হওয়া জ্বালানি ৷

ভারতে শক্তির চাহিদা ক্রমশ বাড়ছে ৷ ভারত গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমন কমানোর প্রতিশ্রুতি দিয়ে রেখেছে ৷ তাই ভারত গ্রিন হাইড্রোজেনকে একটি সম্ভাব্য গেম-চেঞ্জার হিসাবে চিহ্নিত করেছে ৷ যেসব জায়গায় বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া কঠিন, সেখানে গ্রিন হাইড্রোজেনকে শক্তির উৎস হিসেবে ব্যবহার করলে একদিকে কার্বন নির্গমন কমানো যায়, অন্যদিকে ভারতে শক্তির ব্যবহারের ল্যান্ডস্কেপেও পরিবর্তন হয় ৷ এছাড়াও বাতাসের গুণমান উন্নত হওয়া, আমদানির নির্ভরতা কমা এবং দেশের জলবায়ু সংক্রান্ত লক্ষ্যপূরণের সম্ভাবনাও তৈরি হয় ৷

Green Hydrogen
গৌরী সিং, আন্তর্জাতিক পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তি সংস্থার (আইআরইএনএ) ডেপুটি ডিরেক্টর জেনারেল, 13 সেপ্টেম্বর, 2024-এ নয়াদিল্লিতে ভারত মণ্ডপমে গ্রিন হাইড্রোজেনের উপর দ্বিতীয় আন্তর্জাতিক সম্মেলনের পাশে ‘হাইড্রোজেন নিয়ে সিঙ্গাপুরের উদ্যোগ’ বিষয়ে বক্তৃতা করছেন। (ইটিভি ভারত ভায়া পিআইবি)

হাইড্রোজেন, যা মহাবিশ্বের সবচেয়ে প্রাচুর্য উপাদান, তা দীর্ঘকাল ধরে শক্তির সম্ভাব্য বাহক হিসেবে স্বীকৃত । যদিও, সমস্ত হাইড্রোজেন পরিবেশ বান্ধব উপায়ে উৎপাদিত হয় না । হাইড্রোজেনের উৎপাদন প্রক্রিয়ার উপর ভিত্তি করে একে শ্রেণীবদ্ধ করা যেতে পারে ৷ যেমন - গ্রে হাইড্রোজেন, ব্লু হাইড্রোজেন এবং গ্রিন হাইড্রোজেন ।

যদিও গ্রে হাইড্রোজেন ও ব্লু হাইড্রোজেন জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে উৎপাদিত হয়, যা কার্বন ডাই অক্সাইডকে বাইপ্রোডাক্ট হিসাবে মুক্ত করে ৷ এটা কার্বন নির্গমন কমাতে কার্বন ধরে রাখা এবং স্টোরেজ টেকনোলজির সঙ্গেও জড়িত ৷ গ্রিন হাইড্রোজেন পুনর্নবীকরণযোগ্য বিদ্যুৎ (সৌর বা বায়ু থেকে) ব্যবহার করে জলের ইলেক্ট্রোলাইসিসের মাধ্যমে উৎপাদিত হয় ৷ এটা বাইপ্রোডাক্ট হিসেবে শুধুমাত্র অক্সিজেন মুক্ত করে । আর এটাকে সম্পূর্ণরূপে কার্বন-মুক্ত জ্বালানি হিসাবে তৈরি করে । উল্লেখ করা বাহুল্য যে গ্রিন হাইড্রোজেন স্বচ্ছ ও টেকসই শক্তির প্রতিনিধিত্ব করে, যা উল্লেখযোগ্যভাবে কার্বন নির্গমন কমাতে ও জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার বন্ধ করে বিশ্বব্যাপী রূপান্তর ঘটাতে পারে ৷

বিভিন্ন বাণিজ্যিক ও ঘরোয়া কারণে ভারতের জ্বালানি চাহিদা দ্রুত বাড়ছে । বর্তমানে দেশ কয়লা ও আমদানি করা তেলের উপর ব্যাপকভাবে নির্ভরশীল ৷ এই দু’টিই ভারী গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমনের প্রধান উৎস । জাতীয় প্রয়োজনীয়তা হল - কার্বন নির্গমন হ্রাস, শক্তি নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, অর্থনৈতিক বৃদ্ধি, কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং বায়ুর গুণাবলীর উন্নতি ইত্যাদি ৷ এই প্রয়োজনীয়তাই ভারতে গ্রিন হাইড্রোজেন ব্যবহার বৃদ্ধির গুরুত্ব বাড়াচ্ছে ৷

Green Hydrogen
ভারত সরকারের প্রধান বৈজ্ঞানিক উপদেষ্টা, প্রফেসর অজয় ​​কুমার সুদ 13 সেপ্টেম্বর, 2024-এ নতুন দিল্লিতে গ্রিন হাইড্রোজেনের উপর দ্বিতীয় আন্তর্জাতিক সম্মেলনে ভাষণ দিচ্ছেন। (ইটিভি ভারত ভায়া পিআইবি)

চিন ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পরে ভারত বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম কার্বন ডাই অক্সাইড নির্গমনকারী দেশ । তা সত্ত্বেও ভারত 2070 সালের মধ্যে শূন্য কার্বন নির্গমন (নেট-জিরো এমিশন) এবং 2030 সালের মধ্যে 45 শতাংশ কার্বন নির্গমনের (2005 সালের নিরিখে) তীব্রতা হ্রাসের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন-সহ জলবায়ু সংক্রান্ত লক্ষ্যপূরণে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ । গ্রিন হাইড্রোজেনে বিনিয়োগ করে, ভারত তার শক্তির মিশ্রণকে উল্লেখযোগ্যভাবে ডিকার্বনাইজ বা কার্বনের ব্যবহার কমাতে পারবে ৷ ধাতু, সিমেন্ট, হেভি ইঞ্জিনিয়ারিং ও ভারী পরিবহণের মতো ক্ষেত্রগুলিতে কার্বনের ব্যবহার বেশি কমবে ৷

এটা লক্ষণীয় যে ভারত তার অপরিশোধিত তেলের প্রয়োজনীয়তার প্রায় 85 শতাংশ আমদানি করে ৷ ভূ-রাজনৈতিক সংকটের কারণে বিশ্বব্যাপী তেলের দামের ওঠানামা এবং ঘন ঘন সরবরাহ ব্যাহত হওয়ার ঝুঁকিও থাকে এই ক্ষেত্রে ৷ গ্রিন হাইড্রোজেনের ব্যবহার বৃদ্ধি পেলে ভারত তেল ও গ্যাসের আমদানির উপর নির্ভরতা কমাতে পারবে ৷ শক্তির ব্যবহারের নিরাপত্তা বাড়াতে পারবে এবং আরও স্বনির্ভর শক্তির ল্যান্ডস্কেপ তৈরি করতে পারবে ।

গ্রিন হাইড্রোজেন উৎপাদন ও পরিকাঠামো উন্নয়নের দিকে একটি পরিবর্তন অর্থনৈতিক বৃদ্ধিকে উদ্দীপিত করতে পারে এবং নতুন কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করতে পারে । গ্রিন হাইড্রোজেন শিল্প ইলেক্ট্রোলাইজারের উৎপাদন, পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তির উৎসগুলির বিকাশ ও পরিবহণ এবং স্টোরেজ সমাধান-সহ অনেক বড় কর্মকাণ্ডকে অন্তর্ভুক্ত করে ।

এই সেক্টরে বিনিয়োগের মাধ্যমে ভারতের গ্রিন হাইড্রোজেনে বিশ্বব্যাপী নেতা হয়ে ওঠার, উচ্চমানের চাকরি তৈরি ও জিডিপি বৃদ্ধির সম্ভাবনা রয়েছে । এছাড়াও, বায়ুদূষণ ভারতে একটি উল্লেখযোগ্য জনস্বাস্থ্য সংকট ৷ প্রধান শহরগুলি ঘন ঘন বায়ুদূষণকারীর বিপজ্জনক মাত্রা রেকর্ড করে । গ্রিন হাইড্রোজেনে রূপান্তর করা পরিবহণ এবং শিল্প প্রক্রিয়ার মতো ক্ষেত্রগুলিতে জীবাশ্ম জ্বালানির প্রয়োজনীয়তা হ্রাস করতে পারে, যার ফলে দূষণকারী নির্গমন কমাতে এবং বায়ুর গুণমান উন্নত হবে ৷ এর ফলে জনস্বাস্থ্যের বিষয়টি উন্নত হবে এবং স্বাস্থ্য পরিষেবা ক্ষেত্রে খরচ কমবে ৷

Green Hydrogen
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি 28 ফেব্রুয়ারি, 2024-এ তামিলনাড়ুর থুথুকুডিতে 'দেশের প্রথম গ্রিন হাইড্রোজেন হাব পোর্ট'-এ প্রদর্শিত প্রদর্শনী ঘুরে দেখছেন৷ (ইটিভি ভারত ভায়া পিআইবি)

যদিও গ্রিন হাইড্রোজেনের সম্ভাব্য সুবিধাগুলি যেমন স্পষ্ট, তেমনই এর কয়েকটি চ্যালেঞ্জও রয়েছে । উচ্চ উৎপাদন খরচ, পরিকাঠামোগত চাহিদা, ইলেক্ট্রোলাইজারের সীমিত অভ্যন্তরীণ উৎপাদন, শক্তির চাহিদা ইত্যাদি ৷ তাই গ্রিন হাইড্রোজেনকে ভারতে একটি কার্যকর শক্তি হিসেবে তুলে ধরতে এই সমস্যাগুলির সমাধান আগে করতে হবে । ইলেক্ট্রোলাইজার ও নবায়নযোগ্য বিদ্যুতের উচ্চমূল্যের কারণে গ্রিন হাইড্রোজেন বর্তমানে গ্রে এবং ব্লু হাইড্রোজেনের চেয়ে বেশি ব্যয়বহুল ।

জীবাশ্ম জ্বালানির সঙ্গে খরচ-প্রতিযোগিতা অর্জনের জন্য উল্লেখযোগ্য প্রযুক্তিগত অগ্রগতি, উৎপাদন বৃদ্ধি এবং খরচ কমানোর জন্য নীতি সহায়তা প্রয়োজন । ভারতে এর উৎপাদন, সঞ্চয়স্থান এবং পরিবহণ পরিকাঠামো এখনও প্রাথমিক অবস্থায় রয়েছে । দেশে প্রয়োজনীয় পাইপলাইন, ফুয়েলিং স্টেশন এবং স্টোরেজ সুবিধার অভাব রয়েছে ৷ এর ফলে গ্রিন হাইড্রোজেন বৃহৎ আকারে গ্রহণ করা চ্যালেঞ্জিং হয়ে উঠেছে ।

গ্রিন হাইড্রোজেনের সম্পূর্ণ ভ্যালু চেইনকে তৈরি করার জন্য পরিকাঠামোতে যথেষ্ট বিনিয়োগ প্রয়োজন । গ্রিন হাইড্রোজেন উৎপাদনের জন্য ইলেক্ট্রোলাইজার অপরিহার্য, তবুও ভারত বর্তমানে তার বেশিরভাগ ইলেক্ট্রোলাইজারের চাহিদার জন্য আমদানির উপর নির্ভর করে । গ্রিন হাইড্রোজেনের উৎপাদন বৃদ্ধি এবং খরচ কমাতে ইলেক্ট্রোলাইজারের জন্য দেশীয় উৎপাদন ক্ষমতা উন্নত করতে হবে ৷

এটা ছাড়াও, গ্রিন হাইড্রোজেন উৎপাদনের জন্য উল্লেখযোগ্য পরিমাণে নবায়নযোগ্য শক্তি প্রয়োজন । ক্রমবর্ধমান বিদ্যুতের চাহিদা এবং গ্রিন হাইড্রোজেন উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা উভয়ই পূরণ করতে, ভারতকে অবশ্যই পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তির ক্ষমতা দ্রুত প্রসারিত করতে হবে । পরিচ্ছন্ন বিদ্যুতের পর্যাপ্ত সরবরাহ নিশ্চিত করা একটি বড় চ্যালেঞ্জ হবে গ্রিন হাইড্রোজেন তৈরি করার জন্য ।

গ্রিন হাইড্রোজেনের গুরুত্ব স্বীকার করে ভারত সরকার 2021 সালে জাতীয় হাইড্রোজেন মিশন চালু করেছিল ৷ যার লক্ষ্য ছিল গ্রিন হাইড্রোজেন উৎপাদন ও রফতানির ক্ষেত্রে ভারতকে একটি গ্লোবাল হাব হিসেবে গড়ে তোলা ৷ এই মিশনের মাধ্যমে গ্রিন হাইড্রোজেনের উৎপাদন বৃদ্ধি করা, খরচ কমানো এবং হাইড্রোজেন প্রযুক্তিতে গবেষণা ও উন্নয়নের প্রচার করার লক্ষ্য নেওয়া হয়েছে ।

Green Hydrogen
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি 28 ফেব্রুয়ারি, 2024-এ তামিলনাড়ুর থুথুকুডিতে 'দেশের প্রথম গ্রিন হাইড্রোজেন হাব পোর্ট'-এ প্রদর্শিত প্রদর্শনী ঘুরে দেখছেন৷ (ইটিভি ভারত ভায়া পিআইবি)

এছাড়াও, সরকার গ্রিন হাইড্রোজেন খাতে বিনিয়োগ আকৃষ্ট করার জন্য বিভিন্ন ইনসেনটিভের রূপরেখা দিয়েছে ৷ এর মধ্যে কর ছাড়, ভর্তুকি এবং গবেষণা ও মানোন্নয়নের জন্য আর্থিক সহায়তার বিষয়টি রয়েছে । উৎপাদন খরচ কমাতে হাইড্রোজেন উৎপাদনের জন্য নবায়নযোগ্য শক্তি প্ল্যান্ট স্থাপনের ইনসেনটিভের বিবেচনা করা হচ্ছে ।

সরকার গ্রিন হাইড্রোজেন কেনা বাধ্যতামূলক করার কথা ভেবেছে ৷ যার জন্য সার ও শোধনাগারের মতো নির্দিষ্ট শিল্পগুলিকে গ্রিন উৎস থেকে তাদের হাইড্রোজেনের একটি নির্দিষ্ট শতাংশ কিনতে হবে । এই পদক্ষেপটি গ্রিন হাইড্রোজেনের জন্য একটি স্থিতিশীল চাহিদা তৈরি করবে এবং ভবিষ্যতে এর উৎপাদনে বিনিয়োগকে উৎসাহিত করবে বলে আশা করা হচ্ছে ।

এছাড়াও, ভারত হাইড্রোজেন উৎপাদন, সঞ্চয়স্থান এবং ব্যবহারে প্রযুক্তি ও দক্ষতা শেয়ার করার জন্য জাপান, জার্মানি এবং অস্ট্রেলিয়ার মতো দেশগুলির সঙ্গে অংশীদারিত্ব করেছে । ভারতে গ্রিন হাইড্রোজেন প্রযুক্তিগুলি দ্রুত গ্রহণ করা এবং বিশ্বব্যাপী গ্রিন হাইড্রোজেনের বাজারে একটি গুরুত্বপূর্ণ শক্তি হিসেবে আর্বিভূত হওয়াই আসল লক্ষ্য ৷ তাই, গ্রিন হাইড্রোজেনের জন্য প্রয়াস সত্যিই ভারতের জন্য প্রয়োজন ।

উচ্চ নির্গমনের ক্ষেত্রগুলিতে ডিকার্বনাইজ করার, জীবাশ্ম জ্বালানি আমদানির উপর নির্ভরতা কমিয়ে ও আরও অর্থনৈতিক বৃদ্ধির সম্ভাবনার সঙ্গে গ্রিন হাইড্রোজেন ভারতের শক্তি পরিবর্তনের ভিত্তি হতে পারে । যদিও, এই সম্ভাবনা উপলব্ধি করার জন্য পরিকাঠামো, গবেষণা ও উন্নয়ন, প্রযুক্তি এবং নীতি সহায়তায় বিনিয়োগ-সহ একটি টেকসই এবং সহযোগিতামূলক প্রচেষ্টা প্রয়োজন । গ্রিন হাইড্রোজেনের পরিসরে নিজেকে একজন নেতা হিসেবে অবস্থান করতে হলে ভারতকে একটি পরিচ্ছন্ন ও আরও স্থিতিস্থাপক এবং স্বয়ংসম্পূর্ণ শক্তির ভবিষ্যত গড়ে তুলতে পারে, পাশাপাশি বৈশ্বিক জলবায়ুর লক্ষ্যে অবদান রাখতে পারে ও অন্যান্য দেশগুলির অনুসরণ করার জন্য একটি উদাহরণ স্থাপন করতে পারে ।

(এই নিবন্ধে প্রকাশিত মতামত লেখকের ৷ এখানে প্রকাশিত তথ্য ও মতামত ইটিভি ভারত-এর মতামতকে প্রতিফলিত করে না ৷)

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.