বসিরহাট, 10 অক্টোবর: গল্পের বইয়ে নয় ! বর্তমান প্রজন্মের ঝোঁক বাড়ছে মোবাইলে ৷ তাই, সুকুমার রায়ের 'আবোল তাবোল'-এর গল্প তুলে ধরে বর্তমান প্রজন্মকে বার্তা দিল বসিরহাটের নেতাজি ইউনিয়ন ক্লাব ৷ এবারে তাঁদের পুজো মণ্ডপ সেজে উঠেছে সুকুমার রায়ের 'আবোল তাবোল'-এর আদলে ৷
এবছর 39তম বর্ষে পদার্পণ করেছে এই দুর্গা পুজো ৷ মণ্ডপের ভিতরে প্রবেশ করলেই দর্শনার্থীদের মনে পড়ে যাবে ছোটবেলার নানা গল্পের কথা ৷ বিশেষ করে সুকুমার রায় অথবা সত্যজিৎ রায়ের গল্পের নানা দৃশ্য চাক্ষুস করতে পারবেন দর্শনার্থীরা ৷ উদ্যোগক্তাদের দাবি, "বর্তমান যুগে মোবাইলের রমরমায় হারিয়ে যেতে বসেছে সুকুমার রায় এবং সত্যজিৎ রায়ের নানা ছোট গল্প ৷ সেই সমস্ত গল্পের প্রতি বর্তমান প্রজন্মের ছেলে-মেয়েদের আগ্রহ বাড়াতেই এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে ৷"
মণ্ডপের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে মাতৃ প্রতিমাতেও আনা হয়েছে অভিনবত্বের ছোঁয়া ৷ এখানে দেবী দুর্গা এবং তাঁর সন্তানরা বিরাজমান একেবারে শান্ত স্বভাবে ৷ শিব-রূপী দেবী দুর্গা ধ্যান করে চলেছেন এক মনে ৷ শুধু তাই নয়, দেবী দুর্গার দশ হাতে নেই কোনও অস্ত্র ৷ অসুরকে-ও রাখা হয়নি মায়ের পদতলে ৷ সম্পূর্ণ এক অন্য রূপে তুলে ধরা হয়েছে দুর্গা প্রতিমা এবং তাঁর সন্তানদের ৷ যা নজর কেড়েছে দর্শনার্থীদেরও ৷
এই বিষয়ে ক্লাবের কর্মকর্তা শঙ্কর অধিকারী বলেন, "গল্পের বইয়ের বদলে বর্তমান প্রজন্মের দিনদিন আসক্তি বাড়ছে মোবাইলে । শিশুর কান্না থামাতেও এখন মোবাইলের আশ্রয় নেন তাঁর মা ৷ অথচ একসময় সুকুমার রায় কিংবা সত্যজিৎ রায়ের গল্প অথবা উপন্যাস পড়েই দিন কেটেছে আমাদের । সেসব থেকে এখন সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন বর্তমান প্রজন্মের ছেলে-মেয়েরা ৷ তাই, মোবাইলের পরিবর্তে গল্প, উপন্যাসের প্রতি বর্তমান প্রজন্মের ছেলে-মেয়েদের ঝোঁক বাড়াতে এই ধরনের মণ্ডপ তৈরি করা হয়েছে ৷ আমরা চাই, বাংলার সেই হৃত গৌরব পুনরায় ফিরে আসুক ৷"