মহিলাদের ঠোঁটের সৌন্দর্য এক অন্যরকম ৷ সেই সুন্দর ঠোঁটের যত্ন নেওয়া কি জরুরি নয় ? অতিরিক্ত রোদে যাওয়া, অতিরিক্ত লিপস্টিকের ব্যবহার, কফি, চা ইত্যাদির পান করার কারণে ঠোঁট কালো হয়ে যায় । এগুলি ছাড়াও ধূমপান ঠোঁটের সৌন্দর্য নষ্ট করে ৷ তবে এই সমস্যার সমাধান পেতে পারেন ঘরোয়া কিছু উপাদানেই ৷
বিশেষজ্ঞরা জানান, আপনার ঠোঁটের কালো দাগ থেকে মুক্তি পেতে প্রতিদিন আপনার ঠোঁটে বিটের রস, বেদেনার পাল্প এবং ধনেপাতার রস ব্যবহার করতে পারেন । বলা হয়ে থাকে এগুলি ব্যবহারে ঠোঁট লাল হওয়ার সম্ভাবনা থাকে । এছাড়াও মধু, লেবুর রস ও গ্লিসারিন ব্যবহার করলে কালো রং কমানোর পরামর্শ দেওয়া হয় ।
এছাড়াও, International Journal of Pharmaceutical Sciences- জার্নালে প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, লিপস্টিকের রঙে যে রঞ্জকগুলি থাকে তা মানুষের ব্যবহারের জন্য খুব ক্ষতিকারক । যারফলে অ্যালার্জি, ডার্মাটাইটিস এবং শুষ্ক ঠোঁটের কারণ হতে পারে । আরও গুরুতর আকারে কার্সিনোজেনিক এবং এমনকি মারাত্মক হতে পারে । তাই বিশেষজ্ঞরা পরামর্শ দেন, প্রাকৃতির রং ব্যবহার ভালো ৷ এক্ষেত্রে বিট একটি কার্যকরী উপায় ৷
ময়েশ্চারাইজেশন: বিশেষজ্ঞরা জানান, আর্দ্রতার অভাবেও ঠোঁট কালো হয়ে যায় । এজন্য ঠোঁটে পর্যাপ্ত আর্দ্রতা জোগাতে লিপবাম এবং বাদাম তেল লাগানোর পরামর্শ দেওয়া হয় । সেই সঙ্গে প্রতিদিন 8 থেকে 10 গ্লাস জল পান করলে ভালো ফল পাওয়া যায় ।
স্ক্রাবিং: কখনও আপনার ঠোঁট স্ক্রাব করতে চেয়েছিলেন ? বিশেষজ্ঞরা ত্বক স্ক্রাব করার চেয়ে 'এক্সফোলিয়েশন' করার পরামর্শ দেন । এটি করার জন্য নরম ব্রিসটেল দিয়ে একটি ব্রাশ নিন ৷ ঠোঁট একটু ভিজিয়ে তারপর ব্রাশ দিয়ে ঠোঁট ঘষে নিন । এরপর লিপবাম ব্যবহার করুন ৷ এতে ঠোঁটকে নরম করতে ও উজ্জ্বল করতে সাহায্য় করবে ৷ এটি রোজ রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে করতে পারেন ৷
(বিশেষ দ্রষ্টব্য: এই প্রতিবেদনে উল্লেখিত তথ্য শুধুমাত্র ধারণা আর সাধারণ জ্ঞানের জন্যই লেখা হয়েছে ৷ এখানে উল্লেখিত কোনও পরামর্শ অনুসরণের আগে অবশ্যই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করুন ৷ যদি আগে থেকেই কোনও স্বাস্থ্য সমস্যা থেকে থাকে, তা আগেই চিকিৎসককে জানাতে হবে ৷)