কলকাতা, 9 অক্টোবর: বোধনের প্রায় তিনদিন আগে থেকেই ভিড় জমতে শুরু করেছিল । বুধবার ষষ্ঠীর সন্ধ্যায় সেই ভিড়ের মাত্রা দ্বিগুণ কলকাতার প্রাচীন সর্বজনীন দুর্গোৎসব বাগবাজারে । বিপ্লবের আঁতুড়ঘর ছিল বাগবাজার ।
এই পুজোতে একটা সময় চাঁদা দিতেন নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু । 106 বছরে পদার্পণ করা বাগবাজারের সাবেকিয়ানার পুজোতে এবারের মূল আকর্ষণ হল প্রতিমার মুকুট । রাজস্থানের হাওয়া মহলের আদলে তৈরি হয়েছে মণ্ডপ ।
বাগবাজরের এবারে দেবী দুর্গার মুকুটের উচ্চতা প্রায় 10 ফুট । নদিয়ার কৃষ্ণনগরের মাঝেরপাড়ার রাজকুমার কর এই মুকুট তৈরি করেছেন । তিনি গত চার বছর ধরে বাগাবাজারের প্রতিমার মুকুট তৈরি করে আসছেন । এবারের মুকুট তৈরি করতে রাজকুমারের প্রায় 2 মাস সময় লেগেছে বলে পুজো কমিটি সূত্রে খবর ।
কলকাতার অন্যতম পুজোগুলির মধ্যে যাদের নামডাক আছে তা হল বাগবাজার সার্বজনীন । ইতিহাস বলছে, কলকাতার প্রাক্তন মেয়ের নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু, চিত্তরঞ্জন দাশ-সহ বিশিষ্টরা এই পুজোর সঙ্গে যুক্ত ছিলেন ৷ 1930 সালে কলকাতার মেয়র সুভাষচন্দ্র বসু ও কলকাতা পুর অল্ডারম্যান দুর্গাচরণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের চেষ্টায় বাগবাজার সর্বজনীনের পুজো বড় আকার ধারণ করে । যদিও পুজোর শুরুটা তারও বছর দশেক আগে ।
1919 সালে স্থানীয় নেবুবাগান লেন এবং বাগবাজার স্ট্রিটের মোড়ে 55 নম্বর বাগবাজার স্ট্রিটে পুজো শুরু হয়েছিল । তখন নাম ছিল নেবুবাগান বারোয়ারি দুর্গাপুজো ৷ তখন পুজোতে লাঠি খেলা-সহ একাধিক সংস্কৃতিক অনুষ্ঠানও হত । এখন আর সেসব হয় না ৷ তবে প্রাচীনত্ব ও সাবেকিয়ানার টানে আজও মানুষ ভিড় জমান বাগবাজারের মায়ের দরবারে ৷