মস্কো, 5 মে: দুবছরের বেশি সময় ধরে যুদ্ধ চলছে ইউক্রেন ও রাশিয়ার মধ্যে ৷ 2022 সালের ফেব্রুয়ারি মাসের 20 তারিখ যুদ্ধের সূচনা করেছিল রাশিয়া ৷ সময়ের সঙ্গে সঙ্গে মারাত্মক রূপ নিয়েছে সেই যুদ্ধ ৷ সেই রাশিয়ার যুদ্ধোপরাধীর তালিকায় নাকি নাম রয়েছে ইউক্রেন প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি এবং তাঁর উত্তরসূরী পেত্রো পোরোশেনকোর ৷ তালিকায় রয়েছে ইউক্রেন সেনার কমান্ডর জেনারেল ওলেকসান্দার পাভলিউকের নামও ৷ তাঁদের সকলের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা রুজু হয়েছে ৷
শনিবার 'মিডিয়াজোনা' নামক এক রুশ সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, গত ফেব্রুয়ারি মাস থেকে জেলেনস্কি এবং পোরোশেনকোর নাম রয়েছে এই তালিকায় ৷ যদিও এই প্রসঙ্গে এখনও পর্যন্ত কোনও অভিযোগ শিকার করেনি ভ্লাদিমির পুতিনের সরকার ৷ অন্যদিকে, রুশ সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনের কোনও সত্যতা নেই বলে সাফ জানিয়েছে ইউক্রেন ৷ শনিবার দেশের বিদেশমন্ত্রকের তরফে অনলাইনে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে জানান হয়েছে, বিষয়টি সম্পূর্ণভাবে মিথ্যা ৷ ক্ষমতা প্রদর্শনের জন্য ভুয়ো প্রচার চালাচ্ছে রুশ সরকার ৷
কিয়েভকে কূটনৈতিকভাবে এবং সামরিকভাবে সাহায্যের জন্য রুশের তালিকায় ন্যাটো-র প্রধানমন্ত্রী কাজা ক্যালাস এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নেপর সদস্য এস্তোনিয়োর নামও রয়েছে ৷ তবে এই প্রসঙ্গে ক্রেমলিনের তরফে সাফাই, বালটিকে রেড আর্মিদের স্মৃতির উদ্দেশে তৈরি সোভিয়েত যুগের প্রতীক অপসারণের চেষ্টা করেন ক্যালাস ৷ সেকারণে রাশিয়ার ওয়ান্টেড তালিকায় নাম রয়েছে তাঁর ৷ এখানেই শেষ নয় ৷ রুশ সংবাদমাধ্যমের দাবি, এই তালিকায় নাম রয়েছে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের প্রসেকিউটরেরও ৷ উল্লেখ্য, গত বছর যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে রুশ প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে ওয়ারেন্ট প্রস্তুত করেছিলেন এই প্রসেকিউটর ৷
উল্লেখ্য, দীর্ঘদিন ধরে ইউক্রেনীয় নেতাদের 'নাৎসিবাদের' সঙ্গে যুক্ত করার প্রাণপন চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে ক্রেমলিন ৷ অন্যদিকে, দেশের গণতন্ত্রকে শক্তিশালী করার লক্ষ্যে এবং দুর্নীতি হ্রাসের লক্ষ্যে, সর্বোপরি পশ্চিমী শক্তিধর দেশগুলির কাছাকাছি আসার লক্ষ্যে হার না মানা লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে কিয়েভ ৷
আরও পড়ুন: