ইসলামাবাদ, 9 ফেব্রুয়ারি: অর্থনৈতিক সংকটের মধ্যেই পাকিস্তানের ভাগ্যনির্ধারণ ৷ শুক্রবারের সকাল থেকেই একের পর এক চমক । পড়শি দেশে ভোটগণনা শুরু হয়েছে নির্ধারিত সময়ের কয়েকঘণ্টা পরে । দেশের 76 বছরের ইতিহাসে এটি 12তম নির্বাচন ৷ মূলত কুর্সি দখলের লড়াইয়ে রয়েছে তিনটি রাজনৈতিক দল । পাকিস্তান মুসলিম লিগ-নওয়াজ (পিএমএল-এন), পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) এবং পাকিস্তান পিপলস পার্টি (পিপিপি)।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলি জানাচ্ছে, জেলবন্দি ইমরানের দল পিটিআই যে সমস্ত নির্দল প্রার্থীদের সমর্থন করেছিল, তাঁরা অনেকেই এগিয়ে রয়েছেন । তুলনায় খানিক পিছিয়ে রয়েছে নওয়াজ শরিফ ও বিলওয়াল ভুট্টোর দল ।
একনজরে:
- পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ । পিএমএল-এন দলের প্রতিনিধিত্ব করছেন তাঁর ভাই নওয়াজ শরিফ । সকাল 9 টা পর্যন্ত দলের মোট জেতা আসন চারটি ।
- জেলবন্দি ইমরান খানের নেতৃত্বাধীন পিটিআই সমর্থিত নির্দল প্রার্থীরা পাঁচটি সংসদীয় আসনে বিজয়ী হয়েছে ।
- বিলওয়াল ভুট্টো জারদারির নেতৃত্বে পিপিপি সকাল 9টা পর্যন্ত মাত্র তিনটি আসনে জয়লাভ করেছে । পিপিপি পিএমএল-এন এবং পিটিআই, দুই দলের চেয়েই পিছিয়ে রয়েছে ।
- পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশনের (ইসিপি) বিশেষ সচিব জাফর ইকবাল, ফলাফল ঘোষণার দেরির জন্য ইন্টারনেট সমস্যাকে দায়ী করেছেন । যার কারণে ভোটগ্রহণের দশ ঘণ্টারও বেশি সময় পরে একটি নির্বাচনী এলাকার প্রথম আনুষ্ঠানিক ফলাফল ঘোষণা করা হয়েছে ।
সংসদের নিম্নকক্ষে 266টি আসনের ভাগ্য নির্ধারণে অংশ নিয়েছেন 12 কোটি 70 লক্ষ পাকিস্তানি ৷ এছাড়া মহিলা ও সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের জন্য অতিরিক্ত 70টি আসন সংরক্ষিত রয়েছে ৷ কখনও সামরিক অভ্যুত্থান, কখনও বা জঙ্গি হামলা, ভারত ও অন্য প্রতিবেশী দেশগুলির সঙ্গে সম্পর্কের টানাপোড়েনে এমনিতেই বিধ্বস্ত পাকিস্তান ৷ এর সঙ্গে রাজনৈতিক ওঠাপড়া তো রয়েছেই ৷ এরই মধ্যে এই নির্বাচনের মাধ্যমে দেশের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রীর নাম সামনে আসবে ৷
আরও পড়ুন: