ঢাকা, 10 জানুয়ারি: বহিষ্কৃত প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে দু'টি গ্রেফতারি পরোয়না জারি করেছে বাংলাদেশের মহম্মদ ইউনুসের অন্তর্বর্তী সরকার ৷ সম্প্রতি হাসিনার পাসপোর্ট বাতিলের কথা ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ৷ এই আবহে তাঁর ভিসার মেয়াদ বৃদ্ধি করেছে ভারত ৷ তবে এর সঙ্গে শেখ হাসিনার প্রত্যর্পণের কোনও সম্পর্ক নেই বলে সাফ জানিয়ে দিল ইউনুস সরকার ৷
বৃহস্পতিবার বাংলাদেশের বিদেশ দফতরের মুখপাত্র রফিকুল আলম সাংবাদিক বিবৃতিতে বলেন, "বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে শেখ হাসিনাকে ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য আমরা ভারতের কাছে অনুরোধ জানিয়েছি ৷ এর সঙ্গে ভারতে তাঁর অবস্থান কী, তার কোনও সম্পর্ক নেই ৷ আর এই বিষয় নিয়ে আমাদের ভাবার কোনও কারণও নেই ৷"
গত 5 অগস্ট গণঅভ্য়ুথানের পর প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারের পতন হয় ৷ এরপর দেশ ছাড়তে বাধ্য হন মুজিবকন্যা ৷ আশ্রয় নেন ভারতে ৷ গত 8 অগস্ট বাংলাদেশে দায়িত্বে আসে মহম্মদ ইউনুসের অন্তর্বর্তী সরকার ৷ রাজনৈতিক চরম টানাপোড়েনের মধ্যে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে গুম হত্যার অভিযোগ তোলে সেদেশের অন্তর্বর্তী সরকার ৷ তাঁর বিরুদ্ধে দুটি গ্রেফতারি পরোয়ানাও জারি করা হয় ৷ ভারতের কাছে একাধিকবার তাঁকে ফিরিয়ে দেওয়ার আর্জি জানানো হয় বাংলাদেশের তরফে ৷ যদিও ভারতের তরফে এই বিষয়ে কোনও উচ্যবাচ্য করা হয়নি ৷ এরই মধ্যে গত মঙ্গলবার শেখ হাসিনার পাসপোর্ট বাতিলের কথা ঘোষণা করে ইউনুস সরকার ৷
এদিকে সূত্রের দাবি, বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর ভিসার মেয়াদ বৃদ্ধি করেছে নয়াদিল্লি ৷ বৃহস্পতিবার এই প্রসঙ্গে রফিকুল আলমকে জিজ্ঞেস করা হলে জবাবে তিনি জানান, নয়াদিল্লির তরফে এই বিষয়ে এখনও পর্যন্ত কোনও তথ্য দেওয়া হয়নি ৷ সুতরাং, সূত্রের খবরের উপর ভিত্তি করে এর থেকে বেশি কিছু তাঁর পক্ষে বলা সম্ভব নয় ৷
সেই সঙ্গে তিনি বলেন, "দেশের যেকোনও নাগরিকের পাসপার্ট বাতিল করা হলে, বাংলাদেশের মিশনের মাধ্যমে তা সংশ্লিষ্ট দেশকে জানানো হয় ৷ এই ক্ষেত্রে ভিসার কোনও প্রয়োজন হয় না ৷ পাসপোর্ট বাতিল করা হলে তার সঙ্গে ভিসার মেয়াদের কোনও সম্পর্ক নেই ৷" পাশাপাশি, শেখ হাসিনার প্রত্যর্পণ নিয়ে ভারতের জবাবের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, "এই বিষয়ে আমার কিছু বলার নেই ৷ এর কোনও সাদা-কালো জবাব দেওয়া সম্ভব নয় ৷ তবে আমরা নয়াদিল্লির জবাবের অপেক্ষা করছি ৷"