তেহরান, 20 মে: হেলিকপ্টারের ধ্বংসাবশেষের কাছে "কোনও প্রাণের অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি" ৷ ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসির চপার তল্লাশি অভিযান চলাকালীন এমনটাই জানাল উদ্ধারকারী দল ৷ ইরানের সরকারি সংবাদ সংস্থা আইআরএনএ-র পক্ষ থেকে জানান হয়, আজারবাইজানের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে যৌথভাবে সীমান্ত এলাকায় একটি বাঁধ উদ্বোধনের পর শহরে ফিরছিলেন প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি। তাঁর সফরসঙ্গী ছিলেন সে দেশের বিদেশমন্ত্রী হোসেন আমিরাবদোল্লাহিয়ান ।
ফেরার পথে খারাপ আবহাওয়ার কারণে হার্ড ল্যান্ডিং করতে বাধ্য হয় প্রেসিডেন্টের হেলিকপ্টার। ইরানের রাজধানী তেহরানের উত্তর-পশ্চিমে প্রায় 600 কিলোমিটার (375 মাইল) দূরে আজারবাইজান দেশের সীমান্তবর্তী শহর জোলফার কাছে ঘটে এই ঘটনা । কিন্তু তারপর চপারের ভিতরে থাকা প্রেসিডেন্ট এবং বিদেশমন্ত্রী হোসেন আমিরাবদোল্লাহিয়ানের কোনও খবর পাওয়া যায়নি ৷ শুরু হয় তল্লাশি ৷ সোমবার ভোরের আলো ফুটতেই হেলিকপ্টার দেখতে পান উদ্ধারকারীরা ৷ ইরান সরকারের তরফে জানান হয়, "দুর্ঘটনায় প্রেসিডেন্ট রাইসির হেলিকপ্টারটি সম্পূর্ণ পুড়ে গিয়েছে ৷ দুর্ভাগ্যবশত, সমস্ত যাত্রীর মৃত্যুর আশঙ্কা করা হচ্ছে ৷"
দুর্ঘটনার পর ইরানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আহমাদ ওয়াহিদি সে দেশের সরকারি এক বৈদ্যুতিন সংবাদমাধ্যমকে বলেন, "একাধিক উদ্ধারকারী দল এই অঞ্চলে অপেক্ষায় রয়েছে ৷ কারণ, খারাপ আবহাওয়া এবং চারিদিক কুয়াশাচ্ছন্ন হয়ে থাকার ফলে তাদের উদ্ধারকারী হেলিকপ্টারে দুর্ঘটনাস্থলে দ্রুত পৌঁছাতে পারছে না। অঞ্চলটি যোগাযোগ করা কঠিন হচ্ছে। উদ্ধারকারী দলের ঘটনাস্থলে পৌঁছনোর এবং এই সংক্রান্ত আরও তথ্য পাওয়ার জন্য আমরা অপেক্ষা করছি ।" যদিও তখনও পর্যন্ত প্রেসিডেন্টের অবস্থান সম্পর্কে কিছু জানাতে পারেননি তিনি ৷
এই দুর্ঘটনার খবর পেয়ে রবিবার উদ্বেগ প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ৷ এক্স হ্যান্ডেলে লেখেন, "আজ প্রেসিডেন্ট রাইসির হেলিকপ্টার ফ্লাইট সংক্রান্ত খবরে গভীরভাবে উদ্বিগ্ন! আমরা এই দুঃসময়ে ইরানি জনগণের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করছি এবং রাষ্ট্রপতি ও তাঁর সফরসঙ্গীদের সুস্থতার জন্য প্রার্থনা করছি।"
আরও পড়ুন: