ETV Bharat / international

ফ্রান্সে এগিয়ে বামপন্থী জোট, ইস্তফা দিতে চলেছেন প্রধানমন্ত্রী আটাল - France Elections 2024

New Popular front in France Election 2024: দেশের সংসদীয় নির্বাচনে হার নিশ্চিত জেনে ইস্তফার সিদ্ধান্ত নিলেন ফ্রান্সের প্রধানমন্ত্রী গ্যাব্রিয়েল আটাল ৷ ফ্রান্সে দ্বিতীয় দফার নির্বাচনের শেষে প্রথম স্থানে রয়েছে বামপন্থী জোট নিউ পপুলার ফ্রন্ট ৷ দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে আটালের মধ্যপন্থী দল ৷ আর তৃতীয় স্থানে রয়েছে দক্ষিণপন্থী ন্যাশনাল ব়্যালি ৷

author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Jul 8, 2024, 11:17 AM IST

France Election 2024
প্রধানমন্ত্রী গ্যাব্রিয়েল আটাল (ইটিভি ভারত)

প্যারিস, 8 জুলাই: ফ্রান্সের পার্লামেন্টে লাল ঝড় ! নির্বাচনে বামপন্থীদের উত্থানে প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন গ্যাব্রিয়েল আটাল ৷ সোমবার প্রধানমন্ত্রী পদে ইস্তফা দেবেন তিনি ৷ তবে পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত না-হওয়া পর্যন্ত দায়িত্ব সামলাবেন তিনি বলেও স্পষ্ট জানিয়েছেন ফ্রান্সের কনিষ্ঠ প্রধানমন্ত্রী গ্যাব্রিয়েল আটাল ৷ দ্বিতীয় দফার নির্বাচনের শেষে দক্ষিণপন্থী ন্যাশনাল ব়্যালিকে পিছনে ফেলে সবচেয়ে বেশি আসনে রয়েছে বামপন্থী জোট নিউ পপুলার ফ্রন্ট ৷

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তথ্য অনুসারে, রবিবার দ্বিতীয় দফার ভোটগ্রহণের পর দেখা যাচ্ছে সংসদীয় নির্বাচনে 577টি আসনের পার্লামেন্টে এখনও পর্যন্ত 181টি আসন পেয়েছে বামপন্থী জোট নিউ পপুলার ফ্রন্ট ৷ 160টির বেশি আসন পেয়েছে প্রধানমন্ত্রী গ্যাব্রিয়েল আটালের মধ্যপন্থী দল রেনেসাঁ ৷ মেরিন লে পেনের দক্ষিণপন্থী দল ন্যাশনাল ব়্যালি পেয়েছে 143টি আসন। ফ্রান্সে সরকার গঠন করার জন্য প্রয়োজন 289টি আসন ৷ ফলে এখনও পর্যন্ত সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করতে পারেনি জঁ লুক মেলেনকোনের দল নিউ পপুলার ফ্রন্ট ৷

জুনের শুরুতে ইউরোপীয় পার্লামেন্টে ন্যাশনাল ব়্যালির কাছে পরাজয়ের পর আগাম নির্বাচনের ঘোষণা করেন প্রেসিডেন্ট ইমালুয়েল ম্যাক্রোঁ ৷ ওয়াকিবহাল মহলের দাবি, ন্যাশনাল ব়্যালির বর্ণ বৈষম্যবাদ এবং মুসলিম বিরোধী মনোভাবকে 'তুরুপের তাস' হিসেবে গণ্য করেছিলেন ম্যাক্রোঁ ৷ তবে সংসদীয় নির্বাচনের প্রথম দফার নির্বাচনেই পাল্টে যায় সমস্ত সমীকরণ ৷ দেশের মুদ্রাস্ফিতি এবং অর্থনৈতিক উদ্বেগের কারণে ম্যাক্রোঁর নেতৃত্বে অসন্তুষ্ট দেশের মানুষ ৷ সেই অসন্তোষকে কাজে লাগিয়ে নির্বাচনী প্রচারে জোর দেন অভিবাসন বিরোধী ন্যাশনাল ব়্যালি পার্টির নেত্রী মেরিন লে পেন ৷

দুই দলের হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের মধ্যে দ্বিতীয় দফার নির্বাচনে বাজিমাৎ করেছে বামপন্থী জোট ৷ সেইসঙ্গে 22 বছরে এই প্রথম প্রেসিডেন্ট ও ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলির নেতা প্রধানমন্ত্রী একই দলের হবেন না । এই ঘটনাকে বলা হয় কো-হ্যাবিটেশন ৷ ফ্রান্সের পঞ্চম প্রজাতন্ত্রের শাসনকালে এমনটি তিনবার ঘটেছে । নির্বাচনের চূড়ান্ত ফল প্রকাশের আগে প্রধানমন্ত্রী গ্যাব্রিয়েল বলেন, "এক অভূতপূর্ব রাজনৈতিক পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে চলেছে আমাদের দেশ ৷"

প্যারিস, 8 জুলাই: ফ্রান্সের পার্লামেন্টে লাল ঝড় ! নির্বাচনে বামপন্থীদের উত্থানে প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন গ্যাব্রিয়েল আটাল ৷ সোমবার প্রধানমন্ত্রী পদে ইস্তফা দেবেন তিনি ৷ তবে পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত না-হওয়া পর্যন্ত দায়িত্ব সামলাবেন তিনি বলেও স্পষ্ট জানিয়েছেন ফ্রান্সের কনিষ্ঠ প্রধানমন্ত্রী গ্যাব্রিয়েল আটাল ৷ দ্বিতীয় দফার নির্বাচনের শেষে দক্ষিণপন্থী ন্যাশনাল ব়্যালিকে পিছনে ফেলে সবচেয়ে বেশি আসনে রয়েছে বামপন্থী জোট নিউ পপুলার ফ্রন্ট ৷

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তথ্য অনুসারে, রবিবার দ্বিতীয় দফার ভোটগ্রহণের পর দেখা যাচ্ছে সংসদীয় নির্বাচনে 577টি আসনের পার্লামেন্টে এখনও পর্যন্ত 181টি আসন পেয়েছে বামপন্থী জোট নিউ পপুলার ফ্রন্ট ৷ 160টির বেশি আসন পেয়েছে প্রধানমন্ত্রী গ্যাব্রিয়েল আটালের মধ্যপন্থী দল রেনেসাঁ ৷ মেরিন লে পেনের দক্ষিণপন্থী দল ন্যাশনাল ব়্যালি পেয়েছে 143টি আসন। ফ্রান্সে সরকার গঠন করার জন্য প্রয়োজন 289টি আসন ৷ ফলে এখনও পর্যন্ত সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করতে পারেনি জঁ লুক মেলেনকোনের দল নিউ পপুলার ফ্রন্ট ৷

জুনের শুরুতে ইউরোপীয় পার্লামেন্টে ন্যাশনাল ব়্যালির কাছে পরাজয়ের পর আগাম নির্বাচনের ঘোষণা করেন প্রেসিডেন্ট ইমালুয়েল ম্যাক্রোঁ ৷ ওয়াকিবহাল মহলের দাবি, ন্যাশনাল ব়্যালির বর্ণ বৈষম্যবাদ এবং মুসলিম বিরোধী মনোভাবকে 'তুরুপের তাস' হিসেবে গণ্য করেছিলেন ম্যাক্রোঁ ৷ তবে সংসদীয় নির্বাচনের প্রথম দফার নির্বাচনেই পাল্টে যায় সমস্ত সমীকরণ ৷ দেশের মুদ্রাস্ফিতি এবং অর্থনৈতিক উদ্বেগের কারণে ম্যাক্রোঁর নেতৃত্বে অসন্তুষ্ট দেশের মানুষ ৷ সেই অসন্তোষকে কাজে লাগিয়ে নির্বাচনী প্রচারে জোর দেন অভিবাসন বিরোধী ন্যাশনাল ব়্যালি পার্টির নেত্রী মেরিন লে পেন ৷

দুই দলের হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের মধ্যে দ্বিতীয় দফার নির্বাচনে বাজিমাৎ করেছে বামপন্থী জোট ৷ সেইসঙ্গে 22 বছরে এই প্রথম প্রেসিডেন্ট ও ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলির নেতা প্রধানমন্ত্রী একই দলের হবেন না । এই ঘটনাকে বলা হয় কো-হ্যাবিটেশন ৷ ফ্রান্সের পঞ্চম প্রজাতন্ত্রের শাসনকালে এমনটি তিনবার ঘটেছে । নির্বাচনের চূড়ান্ত ফল প্রকাশের আগে প্রধানমন্ত্রী গ্যাব্রিয়েল বলেন, "এক অভূতপূর্ব রাজনৈতিক পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে চলেছে আমাদের দেশ ৷"

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.