ওটোয়া, 15 অক্টোবর: ভারতের বিরুদ্ধে এবার বড়সড় অভিযোগ তুলল জাস্টিন ট্রুডোর সরকার ৷ কানাডার দাবি, খালিস্তানিদের সরাতে লরেন্স বিষ্ণোই গ্যাংকে ব্যবহার করছে ভারত সরকার ৷ সম্প্রতি এক সাংবাদিক সম্মেলনে রয়াল কানাডিয়ান মাউন্টেড পুলিশ (আরসিএমপি) তথা কানাডার ন্যাশনাল সিকিউরিটির অ্য়াসিস্টেন্ট কমিশনার ব্রিজেট গাউভিন জানান, এবার সংগঠিত অপরাধীদের সাহায্যে চরমপন্থী খালিস্তানিদের উপর হামলা করছে ভারতীয় গোয়েন্দারা ৷
গাউভিন বলেন, "বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করা হচ্ছে ৷ তাই এই প্রসঙ্গে বিশেষ কোনও মন্তব্য এই মুহূর্তে করা যাবে না ৷ তবে আমরা নিশ্চিত, খালিস্তানিদের প্রাণে মারতে এবার বিভিন্ন অপরাধী সংগঠনকে ব্যবহার করছে ভারত ৷ তালিকায় সব থেকে উপরে রয়েছে লরেন্স বিষ্ণোই গ্যাং ৷" তাঁর দাবি, "নিজ্জরের হত্যাকে কেন্দ্র করে দু'দেশের দ্বি-পাক্ষিক সম্পর্কে যে ফাটল ধরেছে, ভারতের এই কার্যকলাপে তা আরও বড় আকার ধারণ করবে ৷"
#WATCH | Ottawa, Ontario (Canada): Royal Canadian Mounted Police Commissioner, Mike Duheme says, " ...over the past few years and more recently, law enforcement agencies in canada have successfully investigated and charged a significant number of individuals for their direct… pic.twitter.com/5xtpM3DTwn
— ANI (@ANI) October 14, 2024
গত বছর সেদেশের সংসদে দাঁড়িয়ে ভারতের বিরুদ্ধে বড়সড় অভিযোগ করেছিলেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো ৷ তাঁর দাবি, "খালিস্তানি নেতা নিজ্জরকে পরিকল্পনা করে খুন করেছে ভারত ৷" ট্রুডোর এই দাবির পরই দু'দেশের দ্বি-পাক্ষিক সম্পর্ক এক প্রকার তলানিতে ঠেকে যায় ৷ ভারতের তরফে কানাডার এই অভিযোগকে সাফ অস্বীকার করা হয় ঠিকই ৷ কিন্তু কানাডার দাবি, অভিযোগ সংক্রান্ত যথাযথ তথ্য রয়েছে তাদের কাছে ৷
কানাডার বক্তব্যে পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে শুরু করে ৷ এমনকী, দিল্লিতে আয়োজিত জি20 সামিটে এসেও এই বিষয়ে মন্তব্য করতে চাননি কানাডার প্রধানমন্ত্রী ৷ এরপর বেশ খানিকটা সময় কেটে গিয়েছে ৷ সম্প্রতি কানাডার প্রধানমন্ত্রী দাবি করেন, খালিস্তানি জঙ্গি হরদীপ সিং নিজ্জরের মৃত্যুর ঘটনায় জড়িত কানাডায় ভারতের হাইকমিশনার । এরপরই সেই দেশ থেকে ভারতীয় হাইকমিশনারকে ফেরানোর সিদ্ধান্ত নেয় দিল্লি ৷ অন্যদিকে, ভারতে নিযুক্ত কানাডার 6 জন কূটনীতিককে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সরকার ৷
তারপরই এই বিষ্ণোই গ্যাংয়ের যুক্ত থাকার তত্ত্বটি তুলে ধরে কানাডা সরকার ৷ আরসিএমপি-এর কমিশনার মাইক দুহেমের দাবি, তাঁদের কাছে ভারতের কার্যকলাপের পক্ষে উপযুক্ত তথ্যপ্রমাণ রয়েছে ৷ যদিও ভারতের দাবি, দেশের আধিকারিকদের বিরুদ্ধে ভিত্তিহীন অভিযোগ করেছে কানাডা ৷