ঢাকা, 21 জুলাই: রক্তক্ষয়ী সংগ্রাম ও দেশব্যাপী অস্থিরতার মধ্যেই ছাত্রদের আংশিক জয় ৷ সরকারি চাকরির ক্ষেত্রে সংরক্ষণ ব্যবস্থার সংস্কারের নির্দেশ দিল বাংলাদেশের সুপ্রিম কোর্ট ৷
হাইকোর্টের রায় বাতিল করে সে দেশের সর্বোচ্চ আদালত জানিয়েছে, সরকারি চাকরির ক্ষেত্রে সাত শতাংশ সংরক্ষণ থাকবে ৷ তার মধ্যে মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তানদের জন্য থাকবে পাঁচ শতাংশ সংরক্ষণ ৷ মেধার ভিত্তিতে নিয়োগ হবে 93 শতাংশ প্রার্থীর ৷ আর বাকি 2 শতাংশ নিয়োগ জাতিগত সংখ্যালঘু, ট্রান্সজেন্ডার ও বিশেষভাবে সক্ষমদের জন্য রাখা হয়েছে ৷
ভালো চাকরির অভাবের কারণে হতাশ শিক্ষার্থীদের দাবি, 1971 সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের প্রবীণ সৈনিকদের আত্মীয়দের জন্য সরকারি চাকরিতে 30% সংরক্ষণের অবসান হোক ৷ ছাত্রদের গণবিক্ষোভের পর সরকার 2018 সালে এটি বন্ধ করে দিয়েছিল ৷ কিন্তু জুন মাসে বাংলাদেশের হাইকোর্ট কোটা পুনর্বহাল করে এবং তার ফলে নতুন করে বিক্ষোভ শুরু হয় ।
একটি আপিলের রায়ে সুপ্রিম কোর্ট আজ মুক্তিযোদ্ধাদের আত্মীয়দের জন্য সংরক্ষণ 30% থেকে কমিয়ে 5% করেছে ৷ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জানুয়ারিতে টানা চতুর্থ মেয়াদে বিজয়ী হওয়ার পর থেকে এই বিক্ষোভ বাংলাদেশের সরকারের কাছে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখা দেয় ৷ বিশ্ববিদ্যালয়গুলি বন্ধ করে দেওয়া হয়, ইন্টারনেট বন্ধ করে দেওয়া হয় এবং সরকার মানুষকে ঘরে থাকার নির্দেশ দেয় ।
এই নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ শুরু হওয়ার একদিন পর মঙ্গলবার বিক্ষোভ মারাত্মক রূপ নেয় । পাথর নিক্ষেপকারী বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করার জন্য পুলিশ কাঁদানে গ্যাস ও রাবার বুলেট ছোড়ে ৷ বাড়তে থাকে হিংসা । বাংলাদেশি কর্তৃপক্ষ নিহত ও আহতদের কোনও সংখ্যা সরকারিভাবে ঘোষণা করেনি ৷ তবে প্রথম আলো পত্রিকা শনিবার জানিয়েছে যে, এ পর্যন্ত বাংলাদেশে অন্তত 103 জনের মৃত্যু হয়েছে ৷